৬ ওভার ও ৭ উইকেট হাতে রেখেই জিতেছে আয়ারল্যান্ড
৬ ওভার ও ৭ উইকেট হাতে রেখেই জিতেছে আয়ারল্যান্ড

স্টার্লিং ঝড়ে ৬ ওভার হাতে রেখেই আয়ারল্যান্ডের জয়

স্কোরবোর্ডে মাত্র ১২৪ রান। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের ব্যাটিং স্বর্গে এই রানটা রয়েসয়ে খেললেই হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু আয়ারল্যান্ড দলের অধিনায়ক পল স্টার্লিং সেটি না করে প্রতি আক্রমণের পথটা বেছে নিলেন। তাঁর বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ দল খুব দ্রুতই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হারায়।

ছোট লক্ষ্য নিয়ে লড়াই করার যেটুকু আশা ছিল, সেটি ধূলিসাৎ হয়ে যায় স্টার্লিংয়ের ৭৭ রানের বিস্ফোরক ইনিংসে। তাতে ৬ ওভার ও ৭ উইকেট হাতে রেখেই জিতে যায় আয়ারল্যান্ড। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুটি জিতে সিরিজ জয় আগেই নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। আইরিশদের আজকের জয়ে ২-১ এ শেষ হলো টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এবারের বাংলাদেশ সফরে আয়ারল্যান্ডের প্রথম জয় এটি।

টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে তাসকিন আহমেদের বলে আউট হয়েছিলেন স্টার্লিং - প্রথম ম্যাচে বোল্ড, পরের ম্যাচে কট বিহাইন্ড। আজও হয়তো সে ম্যাচ-আপের কথা ভেবে নতুন বলটা তাসকিনের হাতে তুলে দেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। কিন্তু আজ তাসকিনের চ্যালেঞ্জটা ভালোই সামলেছেন স্টার্লিং।

৪১ বলে ৭৭ রানের ইনিংস খেলেছেন স্টার্লিং

যদিও ইনিংসের তৃতীয় ওভারে স্টার্লিংয়ের ওপেনিং সঙ্গী রস অ্যাডাইরকে দুর্দান্ত এক ইয়র্কারে বোল্ড করেন তাসকিন। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে এসে শরীফুল ইসলামের বলে লরকান টাকার আউট হন। ততক্ষণে অবশ্য ম্যাচটা বাংলাদেশের নাগালের বাইরে। অন্য প্রান্ত থেকে দ্রুত রান তুলে ম্যাচটাকে এক পেশে করে তোলেন স্টার্লিং।

ইনিংসের ১৩তম ওভারে অভিষিক্ত রিশাদ হোসেনের বলে স্টার্লিং যখন আউট হন, তখন জয়ের জন্য আইরিশদের দরকার মাত্র ১৬ রান। আইরিশ অধিনায়কের ব্যাট থেকে এসেছে ৪১ বলে ৭৭ রানের ইনিংস। ১০টি চার ও ৪টি ছক্কা ছিল তাঁর ইনিংসে। রান তাড়ার বাকি কাজটা সেরেছেন হ্যারি টেক্টর (১৪) ও কার্টিস ক্যাম্ফার (১৬)।

স্টার্লিংকে ফিরিয়েছেন অভিষিক্ত রিশাদ

এর আগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪১ রানে ৫ উইকেটের পর ৬১ রানে ৭ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। নাসুম আহমেদ, শরীফুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদকে নিয়ে এরপর বাংলাদেশকে ১২৪ রান পর্যন্ত নিয়ে যান শামীম হোসেন। ৪২ বলে ৫১ রানের ইনিংসে শামীম মেরেছেন ৫টি চার ও ২টি ছক্কা। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটি শামীমের প্রথম ফিফটি।