মিরপুরে খেলবেন রয়েসয়ে, সিলেটে হাত খুলে—দুই ভেন্যুর উইকেটের কথা ভেবে বিপিএল নিয়ে হয়তো এ রকমই পরিকল্পনা করে রেখেছিলেন লিটন দাস। লিটনের দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস এখন পর্যন্ত খেলেছে চার ম্যাচ। দুটি মিরপুরে, দুটি সিলেটে। মিরপুরের দুই ম্যাচে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ১৩ ও ১৪ রান। দুই ইনিংসেই স্ট্রাইক রেট এক শর নিচে।
আর সিলেটে তো দুটি ইনিংসের একটিও যায়নি দুই অঙ্কে। সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ৮ রানে আউট হয়েছেন ক্রিজ ছেড়ে তেড়েফুঁড়ে মারতে গিয়ে। কাল রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষেও একইভাবে আউট হয়েছেন প্রথম বলে।
লিটন সাধারণত ক্রিকেটীয় শট খেলেই রান করলেও এবারের বিপিএলে তা দেখা যায়নি। কুমিল্লায় লিটনের ওপেনিং সঙ্গী মোহাম্মদ রিজওয়ান। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এই পাকিস্তানি ব্যাটিং করেন রয়েসয়ে। তাই লিটনকে মেরে খেলতে হচ্ছে, বিশেষ করে সিলেটের কন্ডিশনে। ভালো উইকেটের চাহিদা মেটাতে গিয়েই হয়তো একটু বেশি আক্রমণাত্মক খেলছেন তিনি। ২৩ জানুয়ারি ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে এসে লিটন নিজেই বলেছেন, ‘আমি যে ধরনের ব্যাটিং করি, তা করতে পারছি না। তবে আমি চেষ্টা করছি, অনুশীলন করছি।’
এরপর লিটন আরও দুটি ম্যাচ খেলে ফেলেছেন, কিন্তু ভাগ্য বদলায়নি। বদলায়নি ব্যাটিং পারফরম্যান্সও। এবার তো কুমিল্লার অধিনায়কের দায়িত্বও পালন করতে হচ্ছে লিটনকে। গত তিন আসরে কুমিল্লাকে শিরোপা এনে দেওয়া অধিনায়ক ইমরুল কায়েস দলে থাকলেও অধিনায়কত্ব করছেন না। ভবিষ্যতের কথা ভেবেই লিটনকে নেতৃত্ব দেওয়া।
কিন্তু কুমিল্লার মতো বড় ফ্র্যাঞ্চাইজির অধিনায়কত্বের চাপ তিনি সামলাতে পারছেন কি না, সেই প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে লিটনের পারফরম্যান্সই। অধিনায়কত্ব প্রসঙ্গে সেদিন লিটন নিজেই বলেছেন, ‘জাতীয় দলে সব কিছু গোছানো থাকে। গোছানো দিয়ে বুঝাচ্ছি, আপনি যে খেলোয়াড় খেলাবেন, তাদের সঙ্গে আপনি প্রতিদিন অনুশীলন করেন, সবাইকে জানেন। ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে বিদেশি খেলোয়াড় থাকে। স্থানীয় যারা আছে, তারাও সবাই খুব ভালো চেনাপরিচিত নয়। অনেক দিন খেলা হয়নি তাদের সঙ্গে। আর বড় দলে খেললে মাস্ট উইন গেম থাকে। এসবের একটু চাপ তো থাকেই।’
প্রশ্নটা তাই আসেই—তাহলে কি অধিনায়কত্বের চাপেই এলোমেলো লিটনের ব্যাটিং!