সূর্যকুমার যাদব এবার স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতেই পারেন!
ওয়ানডে সংস্করণে রান নেই, ছিল টিম ম্যানেজমেন্টের ভরসা। সেই ভরসাটাই কাজে লাগালেন টি-টোয়েন্টির ক্রিকেটের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান। দেড় বছর ও ১৯ ইনিংস পর ওয়ানডেতে পেলেন ফিফটি।
ম্যাচে সূর্যর আগে ও পরে ফিফটি পেয়েছেন শুবমান গিল, রুতুরাজ গায়কোয়াড় ও লোকেশ রাহুল। তবে সবচেয়ে বড় কৃতিত্বটা মোহাম্মদ শামির। ক্যারিয়ারসেরা বোলিং (৫/৫১) করেছেন এই পেসার। তাতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে অস্ট্রেলিয়াকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে ভারত।
সিরিজে এগিয়ে যাওয়ার পর বড় সুসংবাদই পেয়েছে ভারত। পাকিস্তানকে টপকে ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠে এসেছে তারা। টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে আগেই র্যাঙ্কিংয়ের চূড়ায় ছিল ভারত। এখন ভারতকে ‘ত্রিভুবনের রাজা’ বলাই যায়।
মোহালিতে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া তুলেছিল ২৭৬ রান; যা ৫ উইকেট আর ৮ বল বাকি থাকতেও টপকে যায় লোকেশ রাহুলের দল। ২৭৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ভারতের শুরুটা হয় দুর্দান্ত। গিল ও রুতুরাজ মিলে উদ্বোধনী জুটিতে গড়েন ১৩০ বলে ১৪২ রানের জুটি। ইনিংসের শুরু থেকে দাপটে ক্রিকেট খেলতে শুরু করে ভারত; যার নেতৃত্বে ছিলেন গিল।
প্রথম ৬ ওভারেই ৪১ রান তোলে রুতুরাজ-গিল জুটি। দুজনে ফিফটি পেলেও অবশ্য কেউই সেঞ্চুরি পাননি। অস্ট্রেলিয়ান লেগ স্পিনার অ্যাডাম জাম্পার বলে সুইপ খেলতে গিয়ে ৭১ রানে এলবিডব্লু হন রুতুরাজ। জাম্পার বলেই ৬৩ বলে ৭৪ রানের ইনিংস খেল বোল্ড হন গিল।
গিল-রুতুরাজের ১৪২ রানের জুটির পর ম্যাচ জিততে হলে দুর্দান্ত কিছু করতে হতো অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের। সেটা করতে পারেননি জাম্পা, কামিন্সরা। উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর শ্রেয়াস আইয়ার, ঈশান কিষানরা বেশিক্ষণ টিকতে না পালেও ভারত রান তাড়া করেছে অনায়াসেই। আইয়ার কিষানরা ফিরে যাওয়ার পর ৮৫ বলে ৮০ রানের জুটি গড়েন রাহুল ও সূর্যকুমার। ৪৭ বলে ফিফটি করার পথে একবারও সুইপ শট খেলেননি সুইপ খেলতে অভ্যস্ত সূর্যকুমার। সূর্য ৫০ রানে ফিরে গেলেও রাহুল অপরাজিত ছিলেন ৫৮ রানে।
অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহটা আরও বড় হতে পারত। ৪৬.৩ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার রান ছিল ৫ উইকেটে ২৪৮। ক্রিজে ছিলেন জশ ইংলিস ও মার্কাস স্টয়নিস। স্বাভাবিকভাবেই অস্ট্রেলিয়ার চোখ ছিল ২৯০ রানে। তবে যসপ্রীত বুমরা ও শামির দুর্দান্ত বোলিংয়ে অস্ট্রেলিয়া থামে ২৭৬ রানে। শেষ দিকে ৯ বলে ২১ রান করেন প্যাট কামিন্স।
অস্ট্রেলিয়া শুরুতেই হারায় মিচেল মার্শকে। ৪ রান করে এই অলরাউন্ডার ফেরেন শামির বলে। এরপর ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে ১০৬ বলে ৯৪ রানের জুটি গড়েন চোট থেকে ফেরা স্টিভ স্মিথ। ওয়ার্নার ফিফটি পেলেও স্মিথের ইনিংস থামে ৬০ বলে ৪১ রানে। তাকেও ফিরিয়েছেন শামি। চারে নামা মারনাস লাবুশেনের ব্যাট থেকে এসেছে ৩৯ রান। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে স্টাম্পড হয়েছেন লাবুশেন।
১৫৭ রানে চতুর্থ উইকেট হারানো অস্ট্রেলিয়া পরের উইকেট হারায় ১৮৬ রানে। ৩১ রানে রানআউট হন ক্যামেরন গ্রিন। এরপর অস্ট্রেলিয়াকে পথ দেখাতে থাকেন স্টয়নিস ও ইংলিস। গড়েন ৪৩ বলে ৬২ রানের জুটি। তবে দারুণ মঞ্চ তৈরি করেও শেষে ঝড় তুলতে পারেননি অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানরা। বুমরা, অশ্বিন, জাদেজা একটি করে উইকেট নিয়েছেন।