৪ ওভারে প্রয়োজন ৫২ রান, ১৭তম ওভার করতে এলেন রুবেল হোসেন। সেখানেই দিলেন ২৩ রান। ওই ওভারে জনসন চার্লসের কাছে দুটি ছক্কা খেয়েছেন রুবেল। চার্লসের রান যখন ৮, তাঁর সহজ ক্যাচ রুবেল নিজেই ফেলেছেন। ফাইনালে দিনটা তাই ভুলে যাওয়ার মতোই গেছে বাংলাদেশের অভিজ্ঞ এ পেসারের। তবে ফাইনাল শেষে সেই রুবেলকেই ম্যাচে নিজেদের সেরা বোলার বলেছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা।
এর আগে চারবার ফাইনাল খেলে চারবারই চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। এবার বিপিএলে প্রথমবারের মতো ফাইনালে হারের স্বাদ পেলেন মাশরাফি। সেটিও ব্যাটিং ও বোলিং—দুই ক্ষেত্রেই ভালো শুরুর পরও। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের সঙ্গে কোথায় ফাইনাল হারলেন, সংবাদ সম্মেলনে সেসবের কিছুটা এসেছে মাশরাফির কথায়।
ফাইনালে ১৭৫ রান বেশ বড়ই মনে হওয়ার কথা, তার ওপর এর আগে কখনোই বিপিএলের ফাইনালে এত রান তাড়া করে জেতেনি কোনো দল। তবে অন্যান্যবারের তুলনায় এবারের মিরপুরের উইকেটে পার্থক্যও আছে, এবার ব্যাটিংয়ের জন্য বেশ ভালো উইকেট ছিল টুর্নামেন্টজুড়েই। এমন উইকেটে ১৫-২০ রান কম হয়ে গেছে বলেই মনে করেন মাশরাফি।
থিতু হয়ে যাওয়ার পর নাজমুল হোসেনের আউট হয়ে যাওয়া ভুগিয়েছে বলেও মনে করেন মাশরাফি, ‘মিডলে শান্তর (নাজমুলের) আউট হয়ে যাওয়াটা ক্ষতি হয়েছে। আরও বেশি রান হওয়ার সুযোগ ছিল, ১০-১৫ রানের বেশি। ওদের ডেথে নারাইন-মোস্তাফিজ বোলিং করেছে, জর্জ (লিন্ডা) আউট হয়ে গেছে। থিতু ব্যাটসম্যান খেলতে পারলে রান আরও বেশি হতো।’
যে–ই বোলিং করত, অমন ওভার হলে ম্যাচ বের হয়ে যাবে খুবই স্বাভাবিক। রুবেল আমাদের সেরা বোলার ছিল। রুবেল না হলে পেরেরা, না হলে তানজিম অপশন ছিল। আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম, তানজিম রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে ভালো করবে। উইকেটে গ্রিপ করছিল। তবে অমন ওভারের পর ম্যাচে ফেরা কঠিন হয়ে যায়।মাশরাফি বিন মুর্তজা
এরপরও বোলিংয়ে শুরুতে ভালো লড়াই করেছে সিলেট। প্রথম ৩ ওভারে মাত্র ১৬ রান দিয়ে লিটন দাসের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নিয়েছিলেন রুবেল। তবে কুমিল্লার ওপর যে চাপ তৈরি করেছিল সিলেট, রুবেলের করা ১৭তম ওভারেই তা আলগা হয়ে যায়। মাশরাফি তবু রুবেলকে কোনো দোষ দিতে চান না, ‘সত্যি বলতে রুবেলই আমাদের ম্যাচে ফিরিয়েছিল। হ্যাঁ, ১৩ রান করে দরকার ছিল, কঠিন। সে সময় পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করাটা গুরুত্বপূর্ণ। সেটা করতে না পারলে হতেই পারে। রুবেলই আমাদের ম্যাচে ফিরিয়েছিল। একটা ওভার এদিক-ওদিক হয়েছে।’
অবশ্য সে ওভারের পর ম্যাচে ফেরার সম্ভাবনা শেষ হয়ে গেছে, তা মানছেন মাশরাফি, ‘যে–ই বোলিং করত, অমন ওভার হলে ম্যাচ বের হয়ে যাবে খুবই স্বাভাবিক। রুবেল আমাদের সেরা বোলার ছিল। রুবেল না হলে পেরেরা, না হলে তানজিম অপশন ছিল। আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম, তানজিম রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে ভালো করবে। উইকেটে গ্রিপ করছিল। তবে অমন ওভারের পর ম্যাচে ফেরা কঠিন হয়ে যায়।’
চোটের কারণে এ ম্যাচেও বোলার মাশরাফিকে পায়নি সিলেট। শেষ ওভারে নিজে সংক্ষিপ্ত রান আপে এসেছিলেন, তবে ততক্ষণে কুমিল্লার জয় শুধুই আনুষ্ঠানিকতা। তাঁর বোলিং না করতে পারাও সিলেটকে ভুগিয়েছে, স্বীকার করেছেন মাশরাফি, ‘আগের দিন ২ ওভার করার পর বুঝেছি চোটে পড়ার শঙ্কা আছে। আজকে উইকেটটা একটু স্টিকি ছিল। বোলিং করতে পারলে সুবিধা হতো।’