হোবার্ট এয়ারপোর্টে সাকিব
হোবার্ট এয়ারপোর্টে সাকিব

নেদারল্যান্ডস–জিম্বাবুয়েকে নিয়ে স্বস্তি সংবাদমাধ্যমের সৃষ্টি

নামিবিয়া যেদিন এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে দিল, একটু অস্বস্তি এসেই ভর করেছিল বাংলাদেশের ক্রিকেট মহলে। ‘এ’ গ্রুপের রানার্সআপ হয়ে না সুপার টুয়েলভে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচের প্রতিপক্ষ হয়ে যায় লঙ্কানরা, অস্বস্তি ছিল সেটি নিয়েই।

শেষ পর্যন্ত সেটি হয়নি। শ্রীলঙ্কা শেষ পর্যন্ত গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই উঠেছে সুপার টুয়েলভে। আর সেই গ্রুপ থেকে রানার্সআপ হয়ে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচের প্রতিপক্ষ হয়েছে নেদারল্যান্ডস। অন্যদিকে বিশ্বকাপ শুরুর আগে ‘বি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে বাংলাদেশের গ্রুপে পড়ার সম্ভাবনায় এগিয়ে ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দুবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা বিদায় নিল সুপার টুয়েলভের আগেই। সেই গ্রুপ থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়ে বাংলাদেশের গ্রুপসঙ্গী হয়েছে জিম্বাবুয়ে।

সংবাদ সম্মেলনে সাকিব

অনেকেই মনে করছেন জিম্বাবুয়ে-নেদারল্যান্ডস বাংলাদেশের গ্রুপে পড়াটা স্বস্তি বয়ে এনেছে সাকিবদের জন্য। বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান অবশ্য একমত নন এ নিয়ে। বাংলাদেশ সব দলকেই সমান গুরুত্ব দিচ্ছে বলে সাকিবের দাবি স্বস্তি-টস্তির বিষয় পুরোপুরিই সংবাদমাধ্যমের তৈরি।

আগামীকাল নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করবে বাংলাদেশ। আজ হোবার্টে ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে সাকিব দাবি করলেন প্রতিপক্ষ কারা সেটি বিবেচনা করে তাঁরা প্রস্তুতি সারেন না, ‘দেখুন, ওয়ার্ল্ড কাপে পাঁচটা ম্যাচ আছে। এই পাঁচটা ম্যাচের প্রস্তুতি নিয়েই আমরা এখানে এসেছি। এখানে আমরা যার সঙ্গেই খেলি প্রস্তুতি একই রকম থাকবে, সেটাই থাকা উচিত। সেটি নেদারল্যান্ডস, দক্ষিণ আফ্রিকা ভারত, পাকিস্তান, কিংবা জিম্বাবুয়ে সঙ্গে একই রকম থাকবে, প্রস্তুতিতে কোনো পরিবর্তন আসবে না, চিন্তাতেও কোনো পরিবর্তন আসবে না।’

যদি শ্রীলঙ্কা আসত, যদি ওয়েস্ট ইন্ডিজ আসত—তাহলেও যে প্রস্তুতি নিতাম, অন্য যে দলের সঙ্গে খেলব একইরকম প্রস্তুতি থাকবে। আর যেটি বললেন স্বস্তি কি না সেটি মিডিয়ার (সংবাদমাধ্যমের) সৃষ্টি।
সাকিব আল হাসান

প্রথম ম্যাচের প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডসকে হালকাভাবে নেওয়ার মতো ভুল বাংলাদেশ করবে না বলেও জানালেন সাকিব, ‘তারা (ডাচরা) কিন্তু কোয়ালিফাই করেই এসেছে, যোগ্য দল হিসেবেই এসেছে। এই ধারণা হয়তো আপনারাই তৈরি করেছেন যে নেদারল্যান্ডস আসায় বাংলাদেশ স্বস্তি বোধ করছে। আমরা এভাবে কখনো চিন্তা করি না। পৃথিবীর কোনো দলই এভাবে চিন্তা করে না কে আসলে ভালো, কে আসলে খারাপ। সব দলই সময় চেষ্টা করে দলের ভালোর জন্য যা করার তা করতে।’

প্রতিপক্ষ যারাই হোক না কেন তা নিয়ে যে তাঁরা ভাবছেন না সেটিই বললেন সাকিব, ‘আমাদের দলের মধ্যে ওরকম কোনো ফিলিংস (স্বস্তি) নেই। সেটা যদি শ্রীলঙ্কা আসত, সেটা যদি ওয়েস্ট ইন্ডিজ আসত—তাহলেও যে প্রস্তুতি নিতাম, অন্য যে দলের সঙ্গে খেলব একইরকম প্রস্তুতি থাকবে। আর যেটি বললেন স্বস্তি কি না সেটি মিডিয়ার (সংবাদমাধ্যমের ) সৃষ্টি।’

টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভালো করার চ্যালেঞ্জটা কি নিতে পারবে বাংলাদেশ

নিজেদের প্রস্তুতি নিয়েও সন্তুষ্ট সাকিব। বললেন সবাই প্রস্তুত ঝাঁপিয়ে পড়তে, ‘আমি মনে করি আমাদের প্রস্তুতি খুব ভালো হয়েছে। ছেলেরা সবাই সুস্থ আছে, খেলার জন্য মুখিয়ে আছে। নিউজিল্যান্ডের চারটি ম্যাচের অভিজ্ঞতা আমাদের খুব কাজে লাগবে, কারণ হোবার্টের আবহাওয়া নিউজিল্যান্ডের মতোই। ছেলেরা প্রস্তুত, আগামীকালের ম্যাচের নিয়ে সবাই রোমাঞ্চিত হয়ে আছে।’