অভিষেকে ৬ উইকেট নিয়েছেন পাকিস্তান পেসার আমের জামাল
অভিষেকে ৬ উইকেট নিয়েছেন পাকিস্তান পেসার আমের জামাল

পার্থ টেস্ট

অভিষেকে ৬ উইকেট নিয়ে ৫৬ বছর আগের স্মৃতি ফেরালেন জামাল

পার্থ টেস্টে অভিষেকে ৬ উইকেট নিয়ে ৫৬ বছরের পুরোনো স্মৃতি ফিরিয়ে এনেছেন পাকিস্তান পেসার আমের জামাল। গতকাল ২ উইকেট নেওয়া জামাল আজ অস্ট্রেলিয়ার ৫ উইকেটের চারটিই নিয়েছেন। ১১১ রানে ৬ উইকেটের বোলিং ফিগার নিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম ইনিংস শেষ করেন ২৭ বছর বয়সী এই পেসার, প্রথম ইনিংসে ৪৮৭ রানে অলআউট হয়েছে অস্ট্রেলিয়া।

জামালের বোলিং ফিগার অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সফরকারী কোনো বোলারের অভিষেকে তৃতীয় সেরা। সর্বশেষ অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ক্যারিয়ার অভিষেকে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন ভারতের সৈয়দ আবিদ আলী। অ্যাডিলেডে ১৯৬৭ সালে ৫৫ রানে ৬ উইকেট নেন তিনি। আবিদের ৩ বছর আগে একই কীর্তি ছিল জামালের পূর্বসূরি আরিফ বাটের। মেলবোর্নে তিনি নিয়েছিলেন ৮৯ রানে ৬ উইকেট।

আজ অস্ট্রেলিয়ার ৫ উইকেটের ৪টিই নেন জামাল

আবিদ ভারতের হয়ে খেলেছিলেন ২৯টি টেস্ট। আরিফের ক্যারিয়ার অবশ্য থেমে গিয়েছিল ৩ টেস্টেই। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওই টেস্টের পর নিউজিল্যান্ড সফরে আর দুটি টেস্ট খেলেন তিনি।

সব মিলিয়ে অভিষেকে ৫ বা এর বেশি উইকেট নেওয়া ১৪তম পাকিস্তানি বোলার হলেন জামাল। এ ক্ষেত্রে তাঁর চেয়ে ভালো বোলিং ফিগার আছে আর পাঁচ পাকিস্তানি বোলারের। ৬৬ রানে ৭ উইকেট নিয়ে সবার ওপরে আরেক পেসার মোহাম্মদ জাহিদ। ক্যারিয়ারে পাঁচটি টেস্ট খেলা জাহিদের ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল ১৯৯৬ সালে রাওয়ালপিন্ডিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৬৬ রানে ৭ উইকেট নিয়ে।

প্রতিপক্ষের মাটিতে অভিষেকে সেরা বোলিং ফিগারে অবশ্য আরিফের পরই আছেন জামাল। দেশের বাইরে পাকিস্তানের হয়ে অভিষেকে সেরা বোলিং ফিগারটি অফ স্পিনার বিলাল আসিফের। তবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২০১৮ সালে তিনি ৩৬ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন দুবাইয়ে, যেটি ছিল পাকিস্তানের ‘ঘরের বাইরে ঘর’।

প্রথম শ্রেণিতে ২৮ ম্যাচের অভিজ্ঞ জামাল এর আগে পাকিস্তানের হয়ে খেলেছেন চারটি টি-টোয়েন্টি। চোটের কারণে বাইরে থাকা নাসিম শাহ এ সফরে নেই, পার্থেই পাকিস্তান জামালের সঙ্গে অভিষেক করিয়েছে আরেক পেসার খুররম শেহজাদকে।

গতকাল ৫ উইকেটে ৩৪৬ রান তুলেছিল অস্ট্রেলিয়া, যদিও ফিল্ডারদের সহায়তা পেলে পাকিস্তান বোলারদের দিনটি ভালো হতে পারত। আজ মিচেল মার্শের পাল্টা আক্রমণের ৯০ রানের ইনিংসের পরও পেস সহায়ক উইকেটে অস্ট্রেলিয়াকে বেশি দূর যেতে দেয়নি ১৯৯৫ সালের পর থেকে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে জয়শূন্য পাকিস্তান।