শেষ বলে দরকার ৫ রান। এমন পরিস্থিতিতে চেন্নাই সুপার কিংসের সমর্থকেরা মনেপ্রাণে যাঁর ওপর ভরসা রাখেন, সেই মহেন্দ্র সিং ধোনি স্ট্রাইকে। পুরো এমএ চিদাম্বরাম স্টেডিয়ামে তখন শুধু একটা নামই উচ্চারিত হচ্ছে—ধোনি, ধোনি, ধোনি...। কিন্তু সন্দীপ শর্মা শেষ বলটা করতেই নেমে এল পিনপতন নীরবতা।
বিশাল ছক্কা মেরে ধোনি ম্যাচ জেতাবেন, সে আশায় সমর্থকদের চোখগুলো হয়তো আকাশ পানে চেয়ে ছিল। কিন্তু রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে সন্দীপের করা দুর্দান্ত ইয়র্কারে বল ডিপ মিড উইকেটে পাঠিয়ে ধোনি নিতে পারলেন কেবল ১ রান।
ট্রেন্ড হয়ে ওঠা আরেকটি শেষ বলের নাটকীয়তায় রাজস্থান রয়্যালস জিতল ৩ রানে। টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে জস বাটলারের ফিফটিতে ৮ উইকেটে ১৭৫ রান তুলেছিল রাজস্থান। চেন্নাই থামল ৬ উইকেটে ১৭২ রানে।
রুদ্ধশ্বাস এ জয়ে পয়েন্ট পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠে এল কুমার সাঙ্গাকারা–লাসিথ মালিঙ্গাদের রাজস্থান। চেন্নাই রয়ে গেল পাঁচেই। এবারের আসরে এই প্রথম কোনো দল ১৯০ রানের কম করেও বিজয়ীর বেশে মাঠ ছাড়ল।
আইপিএল ইতিহাসের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে নির্দিষ্ট একটি দলকে ২০০ ম্যাচে নেতৃত্ব দিতে নেমেছিলেন ধোনি। তবে অনন্য কীর্তির রাতটা অল্পের জন্য রাঙাতে পারলেন না। আসলে রাঙাতে দেননি ‘ঘরের ছেলে’ রবিচন্দ্রন অশ্বিন। জন্মশহর চেন্নাইয়ের মাঠটা যে তাঁর হাতের তালুর মতোই চেনা, সাবেক ফ্র্যাঞ্চাইজির বিপক্ষে সেটা প্রমাণ করতেই বোধহয় নেমেছিলেন এই স্পিন অলরাউন্ডার। ব্যাট হাতে ৩০ রান করার পর নেন মূল্যবান দুটি উইকেট। ব্যবধানটা গড়ে দেন সেখানেই। অনুমতিভাবে ম্যাচসেরার পুরস্কারটাও উঠেছে তাঁরই হাতে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
রাজস্থান রয়্যালস : ২০ ওভারে ১৭৫/৮
(বাটলার ৫২, পাড়িক্কল ৩৮, হেটমায়ার ৩০*, অশ্বিন ৩০; জাদেজা ২/২১, দেশপাণ্ডে ২/৩৭, আকাশ ২/৪০, মঈন ১/২১)
চেন্নাই সুপার কিংস : ২০ ওভারে ১৭২/৬
(কনওয়ে ৫০, ধোনি ৩২*, রাহানে ৩১, জাদেজা ২৫*; অশ্বিন ২/২৫, চাহাল ২/২৭, সন্দীপ ১/৩০, জাম্পা ১/৪৩)
ফল : রাজস্থান রয়্যালস ৩ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : রবিচন্দ্রন অশ্বিন।