সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের পেসার তাসকিন আহমেদ। গতকাল চেন্নাইয়ে
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের পেসার তাসকিন আহমেদ। গতকাল চেন্নাইয়ে

পাকিস্তানে আর ভারতে বাংলাদেশের পারফরম্যান্সের পার্থক্যের ব্যাখ্যা দিলেন তাসকিন

পাকিস্তানকে তাদের মাটিতে দুই টেস্টের সিরিজে ধবলধোলাই করে প্রত্যাশার পারদটা উঁচুতে নিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ দল। ভারত সফর ঘিরেও তাই বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা অনেক বড় কিছুর আশা করতে শুরু করেন। কিন্তু তাঁদের সেই আশায় চেন্নাই প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনেই ভাটার টান লাগতে শুরু করেছে।

দ্বিতীয় দিন শেষেই যে চেন্নাইয়ে বাংলাদেশ দল হারের মুখে দাঁড়িয়ে। ভারত তাদের প্রথম ইনিংসে ৩৭৬ রান তুলেছে। এরপর বাংলাদেশকে অলআউট করে দিয়েছে ১৪৯ রানে। ২২৭ রানে এগিয়ে থাকা ভারত বাংলাদেশকে ফলোঅন না করিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে। ৩ উইকেটে ৮১ রান নিয়ে তারা দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে। বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে আছে ৩০৮ রানে।

পাকিস্তানে দুর্দান্ত এই পারফরম্যান্সের পর ভারত সফরের শুরুতেই এমন হাল কেন বাংলাদেশ দলের। এর একটা ব্যাখ্যা গতকাল দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন বাংলাদেশের পেসার তাসকিন আহমেদ। দুই ইনিংস মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ভারতের ৪ উইকেট নেওয়া তাসকিন এর জন্য অবশ্য দুই দেশে খেলা বল আর কন্ডিশনের পার্থক্য তুলে ধরেছেন। এ ছাড়া পাকিস্তানে বাংলাদেশের সব বিভাগে জ্বলে উঠতে পারার বিষয়টিও ছিল।

প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেটের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের ১ উইকেট নিয়েছেন তাসকিন

সংবাদ সম্মেলনে তাসকিন বলেছেন, ‘আসলে পাকিস্তান সিরিজে সব মিলিয়ে ভালো খেলেছিলাম আমরা। ব্যাটিং, বোলিং—সব মিলিয়ে। এ কারণেই আমরা সেখানে জিততে পেরেছিলাম। টেস্ট ক্রিকেটে এটা গুরুত্বপূর্ণ যে সব সেশনে ব্যাটিং-বোলিং সব গুরুত্বপূর্ণ।’

তাসকিন এরপর যোগ করেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে এখানে চ্যালেঞ্জিং কন্ডিশন আর এসজি বল—এসজি বলে ওরা একটু বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে। কারণ, ছোটবেলা থেকেই ওরা এই বলে খেলে, ঘরোয়াতেও তারা এই বলে খেলে এবং আমাদের চেয়ে একটু ভালো জানে, কীভাবে এই বল ব্যবহার করতে হয়।’

এসজি বল নিয়ে লড়াই করার বিষয়টি ছাড়াও তাসকিন ব্যাটিং-ব্যর্থতার কথাও তুলে ধরেছেন, ‘আমরা শুরুতে হয়তো একটু লড়াই করেছি। তবে আমরা আরও একটু ভালো ব্যাটিং করতে পারতাম, সবাই সেটাতে একমত হয়েছে। ওদের বোলিং লাইনআপটা শক্তিশালী। তবে নতুন বলে আমরা যদি আরেকটু ভালো খেলতাম, তাহলে এতগুলো উইকেট যেত না।’