প্রথম দুই ম্যাচে লড়াই করেই জিততে হয়েছে নিউজিল্যান্ডকে। কিন্তু আজ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে প্রথমে ব্যাট করে নিউজিল্যান্ড ৬ উইকেটে ৩৬০ রান তোলার পর কী মনে হয়েছিল? বেশির ভাগ ক্রিকেটপ্রেমীই হয়তো ভেবেছিলেন, হেসেখেলেই জিতবে কিউইরা! কিন্তু শেষ ওভারে গড়ানো হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ম্যাচটিতে মাত্র ১ রানেই জিতেছে নিউজিল্যান্ড।
টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ড ৩৬০ রান করতে পারে মার্টিন গাপটিলের শতক আর হেনরি নিকোলসের অর্ধশতকে ভর করে। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ১৭তম শতক করা গাপটিল ১২৬ বলে করেছেন ১১৫ রান। ইনিংসটি তিনি সাজিয়েছেন ১৫টি চার ও ২টি ছয়ে। আর নিকোলস ৭৯ রানের ইনিংসটি খেলতে মুখোমুখি হয়েছেন ৫৪টি বলের। মেরেছেন ৭টি চার ও ৩টি ছয়।
রান তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই অ্যান্ডি বলবার্নির উইকেট হারায় আইরিশরা। দশম ওভারে দলকে ৬২ রানে রেখে ফিরে যান অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইনও। এরপর পল স্টার্লিংয়ের সঙ্গে জুটি গড়েন হ্যারি টেক্টর। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ১৫০ বলে ১৭৯ রান করে আইরিশদের জয়ের স্বপ্ন দেখান তাঁরা।
জুটি ভাঙে ১৪ চার ও ৫ ছয়ে ১০৩ বলে ১২০ রান করে স্টার্লিং আউট হয়ে ফিরলে। তখনো আইরিশদের জয়ের আশা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন টেক্টর। শেষ ১০ ওভারে তাদের জয়ের জন্য দরকার ছিল ৮২ রান। হাতে ছিল ৫ উইকেট। দুর্দান্ত ছন্দে থাকা টেক্টর উইকেটে ছিলেন বলেই হয়তো আশা ছিল আইরিশদের। কিন্তু ৪৪তম ওভারে ব্যক্তিগত ১০৮ রান করে আউট হয়ে ফেরেন তিনি। তখন আয়ারল্যান্ডকে জিততে হলে ৪০ বলে ৫১ রান করতে হতো।
চেষ্টাটা চালিয়ে যেতে থাকেন শেষ দিকের ব্যাটসম্যানরা। শেষ ওভারে এসে আয়ারল্যান্ডের হিসাবটা দাঁড়ায় ১০ রানে, হাতে ছিল ২ উইকেট। সেই ওভারে ৯ রান নিতে পারে তারা। শেষ বলে ২ রান করতে পারলে ম্যাচটি টাই করতে পারত আইরিশরা। কিন্তু টিকনারের বলটি হিউম ব্যাটেই লাগাতে পারেননি, একটি বাই রান পায় তারা।