ভারতীয় বংশোদ্ভূত কিউই অলরাউন্ডার রাচিন রবীন্দ্র
ভারতীয় বংশোদ্ভূত কিউই অলরাউন্ডার রাচিন রবীন্দ্র

শিকড় ভারতে হলেও নিজেকে শতভাগ কিউই ভাবেন রবীন্দ্র

২০১৬ সালে বাংলাদেশে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলে গেছেন। তবে রাচিন রবীন্দ্র নামটার সঙ্গে বাংলাদেশের সমর্থকদের ভালো করে পরিচয় ২০২১ সালে। সে বছর বাংলাদেশের বিপক্ষে মিরপুরে আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়েছিল নিউজিল্যান্ডের এই অলরাউন্ডারের। আর এবারের বিশ্বকাপে নামটা এমনভাবে খোদাই করে রেখেছেন যে, কারও ভুলে যাওয়ার সুযোগ নেই!

বিশ্বকাপে ৬ ম্যাচে দুটি করে শতক ও অর্ধশতকে ৪০৬ রান করেছেন রবীন্দ্র। সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকায় তিনি আছেন তিন নম্বরে। এ ছাড়া বল হাতে নিয়েছেন ৩ উইকেট। সর্বশেষ গতকাল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১১৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস উপহার দিয়েছেন। যদিও অল্পের জন্য তাঁর ইনিংসটা বৃথা গেছে। রানবন্যার রোমাঞ্চ ছড়ানো ম্যাচে নিউজিল্যান্ড ৫ রানে হেরে গেছে।

নিউজিল্যান্ডকে কাল জেতাতে না পারলেও নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে খুশি রবীন্দ্র। ম্যাচ–পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ২৩ বছর বয়সী অলরাউন্ডার বলেছেন, ‘সবাই আমার ক্রিকেট জীবনের শুরুটা দেখতে পাচ্ছেন। এভাবে শুরু করতে পেরে ভালো লাগছে। এখানে বিশ্বকাপ খেলতে আসার অনুভূতি দারুণ। সবকিছু যেভাবে হচ্ছে, তাতে (বিশ্বকাপ) আরও বেশি উপভোগ্য হয়ে উঠছে। আমাকে নিয়ে কারও কোনো প্রত্যাশা ছিল কি না, জানি না। আমিও বড় প্রত্যাশা নিয়ে আসিনি। শুধু দেশের জন্য ভালো খেলতে চেয়েছি।’

নিউজিল্যান্ডের রাজধানী ওয়েলিংটনে জন্ম হলেও রবীন্দ্রর শিকড় ভারতে, সেটা অনেকেরই জানা। ’৯০-এর দশকে ভারতের বেঙ্গালুরু থেকে নিউজিল্যান্ডে পাড়ি জমিয়েছিলেন রবীন্দ্রর বাবা রবি কৃষ্ণমূর্তি ও মা দীপা কৃষ্ণমূর্তি। রবি পেশায় সফটওয়্যার প্রকৌশলী হলেও একসময় ক্লাব ক্রিকেট খেলতেন। রবি-দীপা দম্পতির খুব পছন্দের ক্রিকেটার রাহুল দ্রাবিড় ও শচীন টেন্ডুলকার। তাই রাহুলের ‘রা’ আর শচীন থেকে ‘চিন’ নিয়ে ছেলের নাম রেখেছেন।

মা–বাবার দেশ ভারতে দারুণ পারফর্ম করতে পেরে গর্বিত রাচিন রবীন্দ্র

যেখানে তাঁর শিকড়, সেই ভারতে পারফর্ম করার ক্ষেত্রে কোনো চাপ অনুভব করছেন কি না, এমন প্রশ্নে রাচিন রবীন্দ্র বলেছেন, ‘এ ধরনের প্রশ্ন আমাকে বহুবার করা হয়েছে। তবে আমি নিজেকে ১০০% কিউই মনে করি। পাশাপাশি ভারতীয় ঐতিহ্য নিয়েও গর্বিত। আমার মা-বাবা যে দেশে জন্মেছেন, যে দেশে তাঁরা বেড়ে উঠেছেন, যে দেশে আমার বেশির ভাগ আত্মীয়স্বজন থাকেন, সে দেশে ভালো খেলতে পেরে গর্ব বোধ হচ্ছে।’