সবশেষ এশিয়া কাপে মিডল অর্ডার নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছিল পাকিস্তান। তখন দেশটির সাবেক ক্রিকেটারদের মধ্য থেকে আওয়াজটা উঠেছিল, শোয়েব মালিককে জাতীয় দলে ফেরানো হোক। কিন্তু সেটি আর হয়নি।
গত সেপ্টেম্বরে পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো কিছু ইনিংস খেলেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে জায়গা পাননি এই অলরাউন্ডার। নির্বাচকদের এ সিদ্ধান্তের সমালোচনাও হয়েছে। কেউ কেউ তো সন্দেহও করেছেন, পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজমের সঙ্গে শোয়েব মালিকের সম্পর্কটা বোধ হয় ভালো নয়, সম্ভবত এটাই কারণ!
৪০ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার বাবরের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ও বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ পড়া নিয়ে কাল প্রথমবারের মতো মুখ খুলেছেন।এশিয়া কাপ চলাকালে পাকিস্তানের ন্যাশনাল টি-টোয়েনটি কাপে ৯ ইনিংসে ১৪০.৬৮ স্ট্রাইক রেটে ২০৪ রান করেন মালিক।
গত বছর নভেম্বরে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের পর থেকে জাতীয় দলের বাইরে থাকা এই ক্রিকেটার এ বছর পিএসএলেও দারুণ ছন্দে ছিলেন। ১৩৭.৩২ স্ট্রাইক রেটে ১১ ইনিংসে ৪০১ রান করেছেন, তিনটি ফিফটিও ছিল। তবু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে জায়গা না পাওয়া নিয়ে আক্ষেপ নেই এই তারকা অলরাউন্ডারের।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ‘সামা টিভি’কে মালিক জানিয়েছেন, তাঁর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে থাকা না থাকার বিষয়টি পুরোপুরি নির্বাচক ও টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত। এ জন্য তিনি কাউকে দোষারোপ করতে চান না, ‘দেখুন, আমার কাজ হলো ক্রিকেট খেলা। নির্বাচনের বিষয়টি নির্বাচক মহল, টিম ম্যানেজমেন্ট ও পিসিবির সিদ্ধান্ত। যখনই কোনো সুযোগ পাব, সেটা কাজে লাগানোর চেষ্টা করাই আমার কাজ।’
শোয়েব মালিক এরপর বাবরের সঙ্গে বাজে সম্পর্কের গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, ‘আমার কারও সঙ্গে কোনো সমস্যা নেই। আমি কারও বিরুদ্ধেও নেই। সব সময় ইতিবাচক থাকাই আমার ক্যারিয়ারে সফলতার রহস্য।’
১৯৯৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষিক্ত শোয়েব মালিক পাকিস্তানের হয়ে ৩৫ টেস্ট, ২৮৭ ওয়ানডে ও ১২৪ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। বাবরের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে মালিক আরও বলেছেন, অধিনায়ক হিসেবে তাঁকে সব সময় কাজের জায়গা করে দিয়েছেন। দলে থাকার জন্য অধিনায়ককে কখনো প্রভাবিত করার চেষ্টা করেননি, ‘আমাদের মধ্যে নিয়মিতই কথা হয়। আগে বেশি হতো, কিন্তু কেউ যখন অধিনায়ক হয়, তখন তাকে কাজের জায়গাটা করে দিতে হয়। আমি নিজেই এর মধ্য দিয়ে গিয়েছি। এ কারণে আগেও কখনো প্রভাবিত করার চেষ্টা করিনি, ভবিষ্যতেও করব না।’
ত্রিদেশীয় সিরিজে আজ ক্রাইস্টচার্চে নিউজিল্যান্ডকে ৫ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে পাকিস্তান। এ ম্যাচে জ্বলে উঠেছিল পাকিস্তানের মিডল অর্ডার। চতুর্থ উইকেটে ২৬ বলে ৫৬ রানের জুটি বাবর আজমের দলের জয়ের ভিত গড়ে দেয়, আর তা গড়েছেন মোহাম্মদ নওয়াজ ও হায়দার আলী। পাকিস্তানের মিডল অর্ডার দারুণভাবে জ্বলে ওঠায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে নিশ্চয়ই মালিকের অভাব একটু হলেও ভুলবেন তাঁর ভক্তরা।