মুশফিকুর রহিম
মুশফিকুর রহিম

বিশ্বকাপ নিয়ে মুশফিকের বড় স্বপ্ন

ঘরের মাঠে ইংল্যান্ড সিরিজ দিয়ে শুরু। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ ২-১–এ হারলেও টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ গড়ে ইতিহাস। ইংল্যান্ডকে ৩-০ ব্যবধানে হারায় সাকিব আল হাসানের দল। সেই দাপুটে বাংলাদেশকে দেখা গেল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজেও

শুধু মাঠের ক্রিকেটে সাফল্য নয়, চন্ডিকা হাথুরুসিংহে প্রধান কোচ হয়ে আসার পর বাংলাদেশ দলের চেহারাটাই যেন বদলে গেছে। দলের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিমের কথায়ও সে আভাস পাওয়া গেল। আজ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডের আগে টিভি সম্প্রচারকদের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে মুশফিক বলছিলেন, ‘এখন পর্যন্ত দারুণ কাটছে। নতুন কোচ এসেছে, আমরা ভালোভাবে গড়ে উঠতে শুরু করেছি।’

এই ছন্দটা ধরে রাখতে পারলে এ বছরের অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতে অনুষ্ঠেয় ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে দারুণ একটা দল হয়ে উঠবে বাংলাদেশ, ‘আশা করি, আমরা এই ছন্দটা ধরে রাখতে পারব। সারা বছর যদি এটা ধরে রাখতে পারি, তাহলে আমরা বিশ্বকাপে ভালো দল হিসেবে যেতে পারব।’

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি করেন মুশফিক

আয়ারল্যান্ড সিরিজে বাংলাদেশ দলের দাপুটে ব্যাটিংয়ের প্রসঙ্গও এসেছে মুশফিকের কথায়, ‘এটা কন্ডিশনের ওপর নির্ভর করে। গত দুই সিরিজে আমরা এমন স্পোর্টি উইকেটে খেলিনি। সেখানে স্পিনার ও পেসারদের জন্য যথেষ্ট সাহায্য ছিল। এখন উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য খুবই ভালো। আমরা এখানে স্বাধীনতা নিয়ে খেলতে পারছি। দেখি, আমরা ব্যাটিং দল হিসেবে কত দূর যেতে পারি।’

ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দ্যুতি ছড়িয়েছেন মুশফিকই। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের দ্রুততম ওয়ানডে সেঞ্চুরি করেছেন। ৬০ বলে ১০০ রানের স্মরণীয় ইনিংসটি মুশফিকও যথেষ্ট উপভোগ করেছেন, ‘যখন আপনি ওই স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করবেন, আর অন্য প্রান্তে তরুণ একজন ব্যাটসম্যান থাকবে, এটা খুবই উপভোগ্য। আশা করি, আমি এটা ধরে রাখতে পারব।’

এমন স্বাধীনতা নিয়ে ব্যাটিংয়ের জন্য দলের তরুণ ক্রিকেটারদের অবদানও আলাদা করে উল্লেখ করলেন মুশফিক, ‘অভিজ্ঞ ক্রিকেটার হিসেবে এটা আমাকে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস দেয়। হৃদয় ও শান্তরা দলে এসে রান করছে, এটা আমাকে প্রথম বল থেকে মেরে খেলার স্বাধীনতা দেয়।’

মুশফিক এখন স্বাধীনতা নিয়ে ব্যাট করেন

মুশফিক আয়ারল্যান্ড সিরিজে দুটি ম্যাচেই ৬ নম্বরে ব্যাট করেছেন। ২০১৬ সালে সর্বশেষ মুশফিক ওয়ানডে ক্রিকেটে ছয়ে খেলেছেন, সফলও হয়েছেন। তবে মুশফিক সাফল্যের কৃতিত্বটা টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের দিয়েছেন, ‘ছয়ে ব্যাট করার একটা ভালো সুযোগ পেয়েছিলাম। যতটুক মনে পড়ে, আমি এর আগেও ছয়ে খেলেছিলাম। সেদিন শুরুর দিকে উইকেটে বোলারদের যথেষ্ট সাহায্য ছিল। আমাদের ওপেনার ও মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানরা খুবই ভালো খেলেছে, ম্যাচটা সেট করে দিয়েছে। আমি খুবই উপভোগ করেছি ওই সময়টা। কারণ, উইকেট ও কন্ডিশন ব্যাটিংয়ের জন্য খুবই ভালো ছিল। আমি শুধু আমার দক্ষতাটা কাজে লাগিয়েছি।’