বাংলাদেশ দলের অনুশীলনে এমনিতেই ক্যামেরার চোখ সবচেয়ে বেশি খুঁজে ফেরে সাকিব আল হাসানকে। আলোচিত, সমালোচিত, বিতর্কিত দুবাই সফর শেষে আজই সিলেটে দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ায় সাকিবকে নিয়ে আগ্রহটা ছিল আরও বেশি। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সকাল সকাল সতীর্থদের সঙ্গে সাকিবের ফুটবল খেলতে নেমে যাওয়া থেকে শুরু করে অনুশীলনের শেষ পর্যন্ত সাকিবের প্রতিটি পদক্ষেপে ছিল সংবাদকর্মীদের চোখ।
অনুশীলনের একফাঁকে সাকিব মাঝমাঠে ছক্কা মারার অনুশীলন করছিলেন। কিছুক্ষণ পর সেটি থামিয়ে সাকিব যা করলেন, তা দেখে সংবাদকর্মীদের অনেকেরই চোখ কপালে। হুট করেই বাঁহাতি সাকিব হয়ে গেৃলেন ডানহাতি! হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন। লাক্কাতুরা স্টেডিয়ামের মাঝমাঠে ডানহাতি সাকিবকেই আজ ব্যাটিং করতে দেখা গেছে।
থ্রোয়ারের ছোড়া বলগুলো ‘ডানহাতি’ সাকিব উড়িয়ে মারার চেষ্টা করছিলেন। বেশির ভাগ সময় চেষ্টা করছিলেন উইকেটের আড়াআড়ি শট খেলতে।
কিছুক্ষণ পর সাকিবের এই অদ্ভুত অনুশীলন মাঝমাঠ থেকে নেটে স্থানান্তরিত হলো। দলের সাপোর্ট স্টাফদের একজন করে ডেকে পুরোনো বল নিয়ে তাঁর নেটে আসতে বলেন সাকিব। সেখানেও সাকিবকে ডানহাতি ব্যাটসম্যানের মতো স্টান্স নিয়ে স্লগ সুইপ, ল্যাপ সুইপ খেলার অনুশীলন করতে দেখা গেল। টাইমিং ঠিকঠাকমতো হলেই সাকিবের মুখ থেকে বেরিয়ে আসছিল, ‘এটা চার।’
সাকিবের এই অনুশীলন যে ম্যাচে অফ স্পিন সামলানোর জন্য, সেটি বোঝা গেল সাকিবেরই কথায়। থ্রোয়ারকে তিনি লাইন-লেংথ বুঝিয়ে দিতে গিয়ে বলছিলেন, ‘অফ স্টাম্পে বল করেন। অফ স্পিনার বল করছে।’
সাকিবের এই অনুশীলন চলে মিনিট দশেক। এরপর তিনি বাঁহাতি স্টান্সেও ব্যাটিং করেছেন। কিন্তু থ্রোয়ার বল মারার পর রিভার্স সুইপের জন্য ঠিকই ডানহাতি ব্যাটসম্যানের স্টান্স নিচ্ছিলেন সাকিব। আর কবজির মোচড়ে বল উড়িয়ে মারছিলেন স্কয়ার লেগে।
আগামীকাল শুরু হতে যাওয়া ওয়ানডে সিরিজে সাকিব কী প্রত্যাশা করছেন, সেটি বোঝা যায় সাকিবের পুরোনো বলের এই অনুশীলনে। আয়ারল্যান্ড সিরিজেও তাঁকে মাঝের ওভারে ব্যাটিং করতে দেখা যাবে। যখন স্পিন বোলাররাই বেশির ভাগ বোলিং করেন।
আর বাঁহাতি সাকিবকে অফ স্পিন বোলিংটাই বেশি সামলাতে হয়। টার্ন করে বেরিয়ে যাওয়া বোলিংয়ে সাকিবের রিভার্স সুইপ হতে পারে কার্যকর। মাঠে রিভার্স সুইপ করতে মুহূর্তের মধ্যে ডানহাতি হয়ে যেতে হয়। অনুশীলনটা হয়তো সেদিক থেকে ব্যতিক্রমীই, যেখানে শুরু থেকেই তিনি ডানহাতি ব্যাটসম্যান।