হায়দরাবাদের জয়ের নায়ক আবদুল সামাদ
হায়দরাবাদের জয়ের নায়ক আবদুল সামাদ

নো বল নাটকীয়তার পর শেষ বলে ছক্কা মেরে হায়দরাবাদকে জেতালেন সামাদ

সুপার সানডে নাইট ড্রামা বলতে যা বোঝায়!

ধারাভাষ্যকার বারবার রিংকু সিংয়ের কথা বলছিলেন। কলকাতা নাইট রাইডার্সের রিংকু কী করেছিলেন, সেটা এত দ্রুত কারও ভোলার কথা নয়। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের আবদুল সামাদকে রিংকুর মতো অসাধ্য সাধন করতে হয়নি। তবে যতটুকু করলেন, সেটাই বা কম কীসে!

শেষ বলে ৫ রান দরকার ছিল হায়দরাবাদের। রাজস্থান রয়্যালসের ডেথ বোলিং বিশেষজ্ঞ হয়ে ওঠা সন্দীপ শর্মার বলে তুলে মারতে গিয়ে লং অফে জস বাটলাররের হাতে ধরা পড়েন সামাদ। নিজেদের দুর্গ জয়পুরে প্রিয় দলের জয় ধরে নিয়ে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে রাজস্থান সমর্থকেরা। সন্দীপও দলকে জিতিয়েছেন ভেবে দুই চোখ বন্ধ করে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে থাকেন। কিন্তু এরপর যা হলো, সেটার জন্য বোধ হয় কেউ প্রস্তুত ছিলেন না।

বেজে উঠল সাইরেন। কীসের? নো বলের! টিভি রিপ্লেতে দেখা গেল, পপিং ক্রিজ পেরিয়ে গিয়েছেন সন্দীপ। এ ধরনের পরিস্থিতিতে এমন কাজ অগ্রাহ্য, ভুল কিংবা অন্যায় নয়; রীতিমতো মহাপাপ। শেষ বলটা তাই আবার করতে হলো সন্দীপকে। সেটার খেসারতও দিতে হলো।

এবার টাইমিংয়ে কোনো গড়বড় করেননি সামাদ। সোজা সাইট স্ক্রিনের ওপর দিয়ে ছক্কা মেরে হায়দরাবাদকে এনে দিলেন অবিশ্বাস্য জয়। এ জয়ে আবারও দিল্লি ক্যাপিটালকে তলানিতে ঠেলে দিয়ে নয়ে উঠে এল হায়দরাবাদ। জিইয়ে রাখল প্লে অফে ওঠার সম্ভাবনাও।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা রাজস্থান জস বাটলারের ৯৫ রানের সুবাদে ২ উইকেট হারিয়ে গড়েছিল ২১৪ রানের পাহাড়। সেই পাহাড় হায়দরাবাদ টপকে গেল শেষ বলে ৪ উইকেট অক্ষত রেখে। আইপিএল ইতিহাসে এটি তৃতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়, আর হায়দরাবাদের সর্বোচ্চ।

এভাবেই সতীর্থদের আলিঙ্গনে বাধা পড়েন সামাদ

এর আগে চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে শেষ ওভারে দুর্দান্ত বোলিং করে রাজস্থানকে জিতিয়েছিলেন সন্দীপ। আজও সেটার পুনরাবৃত্তি হতে যাচ্ছিল। কিন্তু এক নো বলেই মুহূর্তে নায়ক থেকে খলনায়ক বনে গেলেন এ পেসার।