জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) টি–টোয়েন্টি এর আগে একবারই হয়েছিল, ২০১০ সালে। তবে তখন টি–টোয়েন্টির এমন জয়জয়কার ছিল না। বাংলাদেশের ক্রিকেটে ছিল না বিপিএল বলে কিছু।
তবে আগামীকাল থেকে সিলেটে শুরু হতে যাওয়া আট দলের এনসিএল টি–টোয়েন্টিতে ভর করে থাকবে বিপিএলের আবহ। ৩০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া একাদশ বিপিএলকে পাখির চোখ করেই জাতীয় লিগের আট দলের অংশগ্রহণে এই টি–টোয়েন্টি টুর্নামেন্টটি খেলবেন ক্রিকেটাররা।
আজ সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দলগুলোর জার্সি উন্মোচন ও ক্যাপ্টেনস মিটে এসে সে কথাই বলেছেন বিভিন্ন দলের প্রতিনিধিরা। খুলনার অধিনায়ক নুরুল হাসান হলেও তাদের প্রতিনিধি হিসেবে ছিলেন জিয়াউর রহমান। এনএসিএল তাঁর কাছে বিপিএলের প্রস্তুতির দারুণ সুযোগ, ‘আমরা সব সময় চাই ঘরোয়া টি–টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আরও বেশি হোক। এবার এনসিএল টি–টোয়েন্টি হচ্ছে, এটা ভালো। বিপিএলের প্রস্তুতিতে টুর্নামেন্টটা কাজে দেবে।’
বিপিএলে আমাদের কম খেলোয়াড়ই খেলার সুযোগ পায়। কিন্তু এনসিএল টি–টোয়েন্টিতে সব মিলিয়ে ১২০ জনের মতো ক্রিকেটার খেলবে। সবাই খুব রোমাঞ্চিত।রংপুরের অধিনায়ক আকবর আলী
একই কথা বলেছেন রংপুরের অধিনায়ক আকবর আলী, ‘অন্যান্য সময় জাতীয় লিগ বা বিসিএলের পর বিপিএল খেলতে হতো। সাদা বলে প্রস্তুতির সুযোগ কম থাকে। এবার টি–টোয়েন্টি খেলেই বিপিএলে যাব বলে সবার প্রস্তুতি ভালো হবে। বিপিএলে খেলা বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের এটা কাজে লাগবে।’ আকবরের কাছে আরেকটি দিক দিয়েও টুর্নামেন্টটা গুরুত্বপূর্ণ, ‘বিপিএলে আমাদের কম খেলোয়াড়ই খেলার সুযোগ পায়। কিন্তু এনসিএল টি–টোয়েন্টিতে সব মিলিয়ে ১২০ জনের মতো ক্রিকেটার খেলবে। সবাই খুব রোমাঞ্চিত।’
এনসিএল টি–টোয়েন্টির অন্যতম আকর্ষণ তামিম ইকবাল। গত বছরের সেপ্টেম্বরের পর থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে থাকা তামিম মাঝে প্রিমিয়ার লিগ খেলেছেন, এবার চট্টগ্রামের হয়ে খেলবেন এনসিএল টি–টোয়েন্টিতে।
তামিমকে দলে পেয়ে উদ্দীপ্ত চট্টগ্রামের অধিনায়ক ইয়াসির আলী বলেছেন, ‘তামিম ইকবালের মতো একজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার থাকা দলের জন্য অবশ্যই অনুপ্রেরণাদায়ক। উনিও নিশ্চয়ই চাইবেন ওনার কাজটা করতে, সেরাটা দিতে, প্রস্তুতিটা ঠিকমতো করতে। দলের তরুণ ক্রিকেটারদের তাঁর উপস্থিতি উজ্জীবিত করবে।’
এনসিএল টি–টোয়েন্টির পৃষ্ঠপোষক আল–আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক, সহযোগী পৃষ্ঠপোষক ওয়ালটন। টুর্নামেন্টের ম্যাচগুলো হবে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম ও পাশের আউটার স্টেডিয়ামে। প্রতিদিন ম্যাচ হবে চারটি করে। পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ চার দল খেলবে প্লে–অফ। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের ফাইনাল ২৪ ডিসেম্বর।