আগের দুটি ম্যাচেও আগের দিনই একাদশ ঘোষণা করেছিল পাকিস্তান। বাংলাদেশের বিপক্ষে সুপার ফোরের ম্যাচের আগেও সেটি করল তারা। ভারতের বিপক্ষে পরিত্যক্ত হয়ে যাওয়া ম্যাচ থেকে একটিই পরিবর্তন এনেছে পাকিস্তান। বাঁহাতি স্পিনার মোহাম্মদ নেওয়াজের জায়গায় দলে এসেছেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার ফাহিম আশরাফ।
ভারতের বিপক্ষে ম্যাচেও পাকিস্তানের স্পিনারদের পারফরম্যান্স সামনে এসেছিল। ২৬৬ রানে ভারতকে আটকে দিলেও শাদাব খান ও মোহাম্মদ নেওয়াজ মিলে ১৭ ওভারে দেন ১১২ রান, মানে ওভারপ্রতি প্রায় ৬.৫৯। লাহোরে পাকিস্তান তাই নামছে চারজন পেসার নিয়ে।
ফাহিম সম্প্রতি ওয়ানডে দলে ফিরেছেন প্রায় দুই বছর পর। ২০২১ সালের পর আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ ও এশিয়া কাপের দলে নেওয়া হয় তাঁকে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেললেও এশিয়া কাপে এটিই হতে যাচ্ছে তাঁর প্রথম ম্যাচ। ৩২ ওয়ানডের ক্যারিয়ারে এর আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলেননি তিনি।
পাকিস্তান পেস আক্রমণে অস্ত্র বাড়ালেও বাংলাদেশ কী করবে, সেটি দেখার বিষয়। আফগানিস্তানের বিপক্ষে স্বীকৃত পাঁচ বোলার নিয়ে নেমেছিল বাংলাদেশ, লাহোরের উইকেটে সে কৌশল অবশ্য শেষ পর্যন্ত সেভাবে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেনি ব্যাটসম্যানরা বড় সংগ্রহ এনে দেওয়ায়।
হ্যামস্ট্রিংয়ে চোটের কারণে এরই মধ্যে এশিয়া কাপ শেষ হয়ে গেছে আগের দুই ম্যাচে ৮৯ ও ১০৪ রানের ইনিংস খেলা নাজমুল হোসেনের। ফলে কালকের ম্যাচে একটি পরিবর্তন অবধারিতই। নাজমুলের ছিটকে যাওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগেই পাকিস্তান পাঠানো হয়েছে লিটন দাসকে। যিনি অসুস্থতার কারণে দলের সঙ্গে যেতে পারেননি।
বাংলাদেশের বিপক্ষে পাকিস্তান একাদশ
ইমাম-উল-হক, ফখর জামান, বাবর আজম (অধিনায়ক), সালমান আগা, ইফতিখার আহমেদ, মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটকিপার), ফাহিম আশরাফ, শাদাব খান (সহ-অধিনায়ক), নাসিম শাহ, শাহিন শাহ আফ্রিদি ও হারিস রউফ।