আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এক ভেন্যুতে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ডটা একসময় রিকি পন্টিংয়ের ছিল। ২০১২ সালে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে শেষ ম্যাচটি যখন খেললেন, মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এমসিজি) আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৩৪৬৭ রান পন্টিংয়ের। ২০১৬ সালে রেকর্ডটা ভাঙেন বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে পন্টিংকে ছাড়িয়ে যান সাকিব।
বাংলাদেশের ক্রিকেটে ‘হোম’ শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের রান দিয়ে এরপর পন্টিংকে ছাড়িয়ে গেছেন বাংলাদেশের তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহও। হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে ৩৫০৩ রান করে পন্টিংকে পেছনে ফেলেছেন জিম্বাবুয়ের ব্রেন্ডন টেলরও।
২০১৮ সালের ৯ ডিসেম্বর প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে এক ভেন্যুতে ৪ হাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলেন সাকিব। দুই দিন পরেই তাঁকে অনুসরণ করে ওই মাইলফলক পেরোন তামিম ইকবাল। পরে মিরপুরে ৪ হাজার ছুঁয়েছেন মুশফিকুর রহিমও। এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এক ভেন্যুতে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ডটা মুশফিকেরই।
সাকিব ও তামিমকে পেছনে ফেলা উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান আগামীকাল মিরপুর টেস্টটা শুরু করবেন বড় এক মাইলফলক সামনে রেখেই। ইতিহাসের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এক ভেন্যুতে ৫ হাজার রানের মাইলফলক থেকে যে আর ৮৮ রানের দূরত্ব মুশফিকের।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ৩ সংস্করণের ১৫৩টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে মুশফিকের রান এখন ৪৯১২। এই মাঠে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৭৬৪ রান ১৪২ ম্যাচ খেলা সাকিবের।
তিন সংস্করণ মিলিয়ে এক ভেন্যুতে রানের রেকর্ডের মালিক হলেও আলাদা আলাদা সংস্করণের হিসাব করলে কোনোটিরও শীর্ষে মুশফিক নেই। টেস্টের রেকর্ডটা শ্রীলঙ্কার মাহেলা জয়াবর্ধনের। কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব গ্রাউন্ডে ২৯২১ রান সাবেক লঙ্কা দলপতির। ওয়ানডের রেকর্ডটা তামিম ইকবালের। মিরপুরে ২৮৯৭ রান তাঁর। ২৬৮৪ রান নিয়ে দুইয়ে মুশফিক।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির রেকর্ড একসময় বাংলাদেশের মাহমুদউল্লাহর ছিল—মিরপুরে ৭৫০ রান। তবে এখন রেকর্ড তানজানিয়ার ইভান ইসমাইল সেলেমানির। রুয়ান্ডার গাহাঙ্গা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ৯২৫ রান করেছেন ২৩ বছর বয়সী ওপেনার।