যেভাবে ফিরেছেন রিজওয়ান
যেভাবে ফিরেছেন রিজওয়ান

৫৫৬ রানে কোনো দল প্রথম ইনিংসে অলআউট হতে চাইবে না, হলেই যে হার

৫৫৬—সংখ্যাটা কি অভিশপ্ত? হয়তো বলাই যায়। কারণ, পরিসংখ্যান সেটাই বলছে। টেস্টে এক ইনিংসে ৫৫৬ রান উঠলে সেই দল নিজেদের নিরাপদই ভাবার কথা। জিততে পারুক বা না পারুক, অন্তত হারতে তো হবে না। এমন একটা ভাবনা আসাই স্বাভাবিক। তবে মুলতান টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৫৫৬ রানে অলআউট হওয়ার পর পাকিস্তান ইংল্যান্ডের কাছে ইনিংস ব্যবধানে হেরেছে!

এই শতকে শুধু পাকিস্তান নয়, আরও দুটি দল এক ইনিংসে ৫৫৬ রান করেও হেরেছে। যার একটি বাংলাদেশ, অন্যটি অস্ট্রেলিয়া। ২০০৩ সালে ভারতের বিপক্ষে অ্যাডিলেডে প্রথম ইনিংসে ৫৫৬ রান তুলেছিল অস্ট্রেলিয়া। ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন রিকি পন্টিং। তবে শেষ পর্যন্ত ভারতের কাছে তারা হারে ৪ উইকেটে।

বাংলাদেশের সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটে ২০১২ সালে, প্রতিপক্ষ ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের একটু পার্থক্য আছে। বাংলাদেশ এই রান তুলেছিল নিজেদের প্রথম ইনিংস আর টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে। সেই টেস্টের প্রথম ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ করেছিল ৫২৭ রান। এরপরও এই টেস্টে বাংলাদেশ হারে ৭৭ রানে। পাকিস্তান আবার সবার চেয়ে এগিয়ে—তারা হেরেছে ইনিংস ব্যবধানেই!

অ্যাডিলেডে সেই টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন দ্রাবিড়

এত রান তোলার পর টেস্টে হারতে হলে দ্বিতীয় ইনিংসে খুব বাজে ব্যাটিং করতে হয় সেই দলটিকে। অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংসে ৫৫৬ রান করলেও দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের বিপক্ষে গুটিয়ে গিয়েছিল মাত্র ১৯৬ রানে। টেস্ট জিততে ভারতের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৩০ রানের।

অন্যদিকে মিরপুরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বাংলাদেশকে লক্ষ্য দিয়েছিল ২৪৫ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে প্রথম ইনিংসের মতো রান পাননি ব্যাটসম্যানরা। বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় ১৬৭ রানে।

মিরপুরে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় ১৬৭ রানে

আর পাকিস্তান তো দ্বিতীয় ইনিংসে গুটিয়ে যায় ২২০ রানে। এরপরও তাদের হারটা ইনিংস ব্যবধানে। কারণ, ইংল্যান্ড ৭ উইকেটে ৮২৩ রান তুলে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছে।

এত বড় সংগ্রহ গড়ার পরও এমন হারে, দলগুলো ৫৫৬ সংখ্যাটা নিয়ে অন্যভাবে ভাবতেই পারে!