প্রিয়জনদের সম্মান জানাতে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কাস্টমাইজড (চাহিদা অনুযায়ী আলাদাভাবে বানানো) জার্সি পরে খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকা দল। খেলোয়াড়দের জার্সির কলারে পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের নাম এমব্রয়ডারি (সেলাইয়ের কাজ) করে বসানো থাকবে।
দুবাইয়ে আজ বিকেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে নারী টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের অভিযান শুরু করবে দক্ষিণ আফ্রিকা। এ ম্যাচ থেকেই বিশেষ জার্সিতে খেলতে দেখা যাবে প্রোটিয়া মেয়েদের।
আইসিসি জানিয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকা নারী দলের প্রত্যেক খেলোয়াড়ের জার্সির কলারের ভেতরের অংশে তাঁদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পাঁচ ব্যক্তির নাম লেখা থাকবে। সেটা মা–বাবা, ভাইবোন, দাদা–দাদি, প্রেমিক, স্বামী, কাছের বন্ধু এমনকি কোচও হতে পারেন। এর উদ্দেশ্য হলো যখন খেলোয়াড়েরা খেলতে নামবেন, তখন মাঠের বাইরে থাকা আপনজনদের স্মরণ করিয়ে দেওয়া।
গত বছর নিজেদের মাটিতে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। এবার দলটি নিজেদের আরেক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়। অর্থাৎ লক্ষ্য চ্যাম্পিয়ন হওয়া। ভক্তদের সঙ্গে যুক্ত থাকতে এবং ভক্তরা যেন দলকে অনুপ্রাণিত করে, সে লক্ষ্যে তারা এবারের টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে একটি বার্তা ব্যবহার করবে, ‘সব সময় জেগে ওঠো—আমার জন্য, তার জন্য, তাদের জন্য, সবার জন্য, দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য, প্রোটিয়াদের জন্য।’
দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক লরা উলভার্ট তাঁর জার্সিতে মা, বাবা, দাদি, লুকা নামের একজন এবং তাঁর কোচ লরি ওয়ার্ডের নাম লিখিয়েছেন। দলটির উইকেটকিপার সিনালো জাফটা লিখিয়েছেন তাঁর মা ও পরামর্শকের নাম।
জাফটার মতে, এই উদ্যোগ একটি চমৎকার পরিকল্পনা, যাতে রয়েছে বিশেষ ছোঁয়া, ‘যখন আমি জার্সির দিকে তাকাব এবং আমার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নাম দেখব, তখন মাঠে নিজেদের সেরাটা দেওয়ার কথা স্মরণ করিয়ে দেবে এবং তাঁদের কথা মনে করিয়ে দেবে, যাঁরা প্রথম দিন থেকেই আমার পাশে আছেন।’
অধিনায়ক ভলভার্ট বলেছেন, ‘এটা আমার কাছে এক টুকরো বাড়িকে নিজের সঙ্গে নিয়ে চলার মতো ব্যাপার, যা টুর্নামেন্টের সময় আমাকে শক্তি জোগাবে। আমার মনে হবে মাঠে আমি একা নেই; প্রিয়জনেরাও আমার সঙ্গে আছে।’
এবারের টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের গ্রুপেই পড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। নিগার সুলতানা–রিতু মনিদের বিপক্ষে প্রোটিয়া মেয়েদের ম্যাচ ১২ অক্টোবর।