দ্রুতগতিতে রান তুলে দিনের প্রথম সেশনেই দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। উদ্দেশ্য ছিল, বাকি দুই সেশনের মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে অলআউট করে ম্যাচ জিতে নেওয়া। কিন্তু ত্রিনিদাদে কাল ম্যাচের পঞ্চম ও শেষ দিনে ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানরা ছিলেন অটল। অ্যালিক অ্যাথানেজের ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস আর কিভাম হজ ও জেসন হোল্ডারদের প্রতিরোধে ম্যাচ ড্র করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
সাম্প্রতিক সময়ে টানা ২৮ ম্যাচ পর প্রথম ড্র দেখল টেস্ট ক্রিকেট। এর আগে টেস্টে সর্বশেষ ড্র ম্যাচ দেখা গেছে ২০২৩ সালের জুলাইয়ে। এই পোর্ট অব স্পেনেই সমতা নিয়ে মাঠ ছেড়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ভারত।
এক বছরের বেশি সময় পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ-দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট ড্র হওয়ার বড় কারণ অবশ্য আবহাওয়া। পাঁচ দিনে বৃষ্টির কারণে ১৪২ ওভারের খেলা নষ্ট হয়েছে। প্রতিকূল আবহাওয়ার পরও অবশ্য চতুর্থ দিন শেষে জয়ের সম্ভাবনা দেখছিল প্রোটিয়ারা। প্রথম ইনিংসে পাওয়া ১২৪ রানের লিডের সঙ্গে ওই দিনই বিনা উইকেটে ৩০ রান করেছিল তারা।
পঞ্চম দিন সকালে ২৪ ওভার ব্যাট করে ৩ উইকেটে ১৪৩ রান যোগ করে দলটি। তিনে নামা ত্রিস্তান স্টাবস ২ ছয় ও ৬ চারে ৫০ বলে করেন ৬৮ রান। দুই ওপেনারের মধ্যে টনি ডি জর্জি ৬০ বলে ৪৫ আর এইডেন মার্করাম ৪৮ বলে ৩৮ রানের ইনিংস খেলেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে অলআউট করার জন্য দুই সেশনের বেশি সময় হাতে ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। আট ওভারের মধ্যে দুই ওপেনার কার্লোস ব্র্যাথওয়েট (০) এবং মিকাইল লুইসকে (৯) তুলে নিয়ে শুরুটাও ছিল দারুণ।
কিন্তু ক্যারিয়ারের অষ্টম টেস্ট খেলতে নামা অ্যাথানেজ প্রথমে কিসি কার্টি, এরপর কিভাম হজ ও জেসন হোল্ডারদের নিয়ে প্রোটিয়াদের জয়ের সম্ভাবনা আটকে দেন। কার্টি ৫৪ বলে ৩১ আর হজ ৫৫ বলে ২৯ রান করে ফিরলেও এক প্রান্ত আগলে রাখেন অ্যাথানেজ। বাঁহাতি এ ব্যাটসম্যান শেষ পর্যন্ত যখন ১১৬ বলে ৯২ রান করে কেশব মহারাজের বলে আউট হন, ততক্ষণে ৫২.৫ ওভারের খেলা হয়ে গেছে। জয়ের আশা নেই বলে দক্ষিণ আফ্রিকা এর তিন ওভার পরই ম্যাচের সমাপ্তি মেনে নেয়। হোল্ডার অপরাজিত থাকেন ৭৬ বলে ৩১ রানে।
দুই ইনিংস মিলিয়ে ৮ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা দক্ষিণ আফ্রিকার মহারাজ। গায়ানায় সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট শুরু ১৫ আগস্ট।
দক্ষিণ আফ্রিকা: ৩৫৭ ও ১৭৩/৩ ডিক্লে. (স্টাবস ৬৮, ডি জর্জি ৪৫, মার্করাম ৩৮; ওয়ারিকান ২/৫৭)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২৩৩ ও ২০১/৫ (অ্যাথানেজে ৯২, হোল্ডার ৩১*, কার্টি ৩১; মহারাজ ৪/৮৮)।
ফল: ড্র।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: কেশব মহারাজ (দক্ষিণ আফ্রিকা)।