এখনো আইসিসি টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর ব্যাটসম্যান তিনি। কিন্তু খেলাটা যখন ওয়ানডে ক্রিকেট, তখন যেন কূলকিনারাই পাচ্ছেন না সূর্যকুমার যাদব। ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচের মতো আজ তৃতীয় ওয়ানডেতেও শূন্য রানে আউট সূর্যকুমার!
ওয়ানডে ইতিহাসের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে দ্বিপক্ষীয় তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের সব কটিতেই শূন্য রানে আউট হয়েছেন ভারতের এই ব্যাটসম্যান। শুধু শূন্যই নয়, সব ম্যাচে আউট হয়েছেন প্রথম বলেও। এ কথা না বললেও চলে, এক সিরিজে টানা তিন গোল্ডেন ডাকেও সূর্যকুমারই প্রথম।
উদ্ভাবনী শট খেলার দক্ষতা আর স্ট্রাইক রেটে দুর্দান্ত ধারাবাহিকতার কারণে অনেকে তাঁকে ‘মিস্টার ৩৬০ ডিগ্রি’ ব্যাটসম্যান বলে থাকেন। কিন্তু ৩২ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টানা তিন ম্যাচে আউট হয়েছেন স্টাম্পের বলে।
তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম দুটিতে আউট হন মিচেল স্টার্কের বাঁহাতি পেসে। দুটিই ইনসুইঙ্গারে এলবিডব্লিউ হয়ে। আজ তৃতীয় ওয়ানডেতে যখন ব্যাটিংয়ে নামেন, তখন বোলার ছিলেন অ্যাস্টন অ্যাগার। বাঁহাতি এ স্পিনারের শর্ট লেংথের ডেলিভারিতে হন বোল্ড।
ওয়ানডে ইতিহাসে দ্বিপক্ষীয় সিরিজে তিনবার শূন্য রানে আউট হওয়ার এটি ১৩তম ঘটনা। তবে ভারতীয়দের মধ্যে সূর্যকুমারই প্রথম।
এ ছাড়া একাধিক সিরিজ ও টুর্নামেন্ট মিলিয়ে টানা তিনটি ডাক আছে আরও পাঁচ ভারতীয়র। যাদের মধ্যে একজনই ব্যাটসম্যান—শচীন টেন্ডুলকার (১৯৯৪)। অন্যরা হচ্ছেন অনিল কুম্বলে (১৯৯৬), জহির খান (২০০৩-০৪), ইশান্ত শর্মা (২০১০-১১), যশপ্রিত বুমরা (২০১৭-১৯)।
ভারতের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে টানা তিন ম্যাচে আর প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে দ্বিপক্ষীয় সিরিজে শূন্য রানে আউট হওয়ার পর সূর্যকুমারকে নিয়ে একটি টুইট করেছেন হার্শা ভোগলে।
ভারতীয় ধারাভাষ্যকার লিখেছেন, ‘এই খেলাটি এখনো অনেক কিছু দেয়। আবার খেলোয়াড়দের গভীরে টেনে পরীক্ষাও করে। চার মাসের ব্যবধানে সূর্যকুমার যাদব সবই দেখেছেন। এ জন্যই বলা হয়, আপনি কীভাবে মেঝে থেকে উঠে দাঁড়ালেন, সেটিই আপনার পরিমাপক। তোমাকে আইপিএলে দেখার অপেক্ষায়।’