শেষ ওভারে ভারতের দরকার ছিল ১৬ রান। পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম ওই ওভারে বল তুলে দেন মোহাম্মদ নেওয়াজের হাতে। উইকেটে তখন ৭৪ রান নিয়ে বিরাট কোহলি, সঙ্গী হার্দিক পান্ডিয়ার রান ৪০। কিন্তু শেষ ওভারে নেওয়াজকে নিয়ে ধরা বাবরের বাজি কাজে লাগেনি। রোমাঞ্চ-উত্তেজনার নানা অলিগলি পেরিয়ে আজ মেলবোর্নে ম্যাচ জিতে নেয় ভারত।
স্পিনারদের বিপক্ষে কোহলির সব সময়ই সাবলীল। আর পাকিস্তানের স্পিনারদের সামনে পেলে তো আর কথাই নেই। গত ১০ বছরে পাকিস্তানের স্পিনারদের বিপক্ষে কোহলির ব্যাটিং গড় ৪১৫। না, মোটেই ভুল দেখছেন না, ৪১৫-ই! দীর্ঘ এই সময়ে মাত্র একবারই পাকিস্তানের স্পিনারদের উইকেট দিয়েছেন কোহলি।
স্পিনারদের বিপক্ষে বড় শট খেলায় পান্ডিয়াও বেশ পারদর্শী। আজকের ম্যাচের আগে টি-টোয়েন্টিতে কখনোই পাকিস্তানের স্পিনারদের বিপক্ষে আউট হননি পান্ডিয়া। গত এশিয়া কাপে এই পাকিস্তানের বিপক্ষে নেওয়াজের করা শেষ ওভারে ৩ বলে ৬ রান নিয়ে ম্যাচ জেতানোর আত্মবিশ্বাসও ছিল পান্ডিয়ার সঙ্গে।
তারপরও কোহলি আর পান্ডিয়ার সামনে কেন শেষ ওভারে আজ নেওয়াজকে আনলেন বাবর? কেন শাহিন শাহ আফ্রিদি, নাসিম শাহ বা হারিস রউফের ওভার রাখলেন না?
বাবর এ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে। কোহলি ও পান্ডিয়ার জুটি ভাঙতেই আগে পেসারদের বল করাতে হয়েছে বলেন তিনি, ‘আমাদের আগেই উইকেটের দরকার ছিল। সে জন্য প্রধান বোলারদের আগেই বল করাতে হয়েছে, নেওয়াজকে শেষ ওভারের জন্য রাখতে হয়েছে।’ ভারতের কাছে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে শেষ পর্যন্ত ৪ উইকেটে হারলেও এ ম্যাচ থেকে অনেক ইতিবাচক দিক দেখছেন বাবর।
পাকিস্তান অধিনায়ক বলছেন, ‘যেভাবে ইফতিখার ব্যাটিং করেছে ও শান মাসুদ যেভাবে ইনিংস শেষ করেছে, তা সত্যিই দারুণ! ম্যাচ হারলেও অনেক ইতিবাচক দিক আছে।’
কোহলি ও পান্ডিয়া ম্যাচটা ছিনিয়ে নিয়েছেন পাকিস্তানের মুঠো থেকে। হার দিয়ে শুরু হলো পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।
অন্যদিকে, জয়ে শুরু ভারতের। ভারতকে দুর্দান্ত জয় এনে দিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন ভারতীয় দুই ব্যাটসম্যান কোহলি ও পান্ডিয়া। বাবরও এ দুজনকে কৃতিত্ব দিতে ভোলেননি, ‘ম্যাচটা কঠিন ছিল। কোহলি ও পান্ডিয়া যেভাবে ম্যাচটা বের করে নিয়েছে, সব কৃতিত্ব ওদের। আমাদের সুযোগ ছিল, দলের সবাইকে বিশ্বাস ধরে রাখতে বলেছি। কিন্তু হলো না। আবারও সেই কোহলিকেই কৃতিত্ব দিতে হচ্ছে।’