দেশ ছাড়ার আগে বাংলাদেশ নারী দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা বলেছিলেন, শ্রীলঙ্কায় এশিয়া কাপ টি–টোয়েন্টিতে সেমিফাইনালে জায়গা করে নেওয়াটাই প্রথম লক্ষ্য তাঁদের। গ্রুপ পর্বে থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়াকে হারিয়ে সে লক্ষ্য পূরণও করেছেন বাংলাদেশের মেয়েরা।
বাংলাদেশ নারী দলের এশিয়া কাপও ওখানেই শেষ। সেমিফাইনালে শক্তিশালী ভারতের কাছে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয় বাংলাদেশ। নকআউট ম্যাচেও বাজে ব্যাটিংই ছিল বাংলাদেশের হারের কারণ। দলের অভিজ্ঞ পেসার জাহানারা আলম উপলব্ধি করছেন, আগামী অক্টোবরে ঘরের মাঠের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভালো করতে হলে ব্যাটিংয়ে উন্নতির বিকল্প নেই।
আজ দেশে ফেরার পর ফাইনালে যেতে না পারার ব্যর্থতা মেনে নিয়ে জাহানারা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘সবকিছু মিলিয়ে আমরা আবারও ব্যর্থ। আমরা কাজ করব, আমাদের হাতে কিছু সময় আছে। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ আছে। সবার প্রত্যাশা অনেক বেশি থাকবে। ভুলত্রুটি শুধরে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করব। আমার মনে হয়, আমরা যদি ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে একটু ভালো করতে পারি, ইনশা আল্লাহ ফল আমাদের দিকে আসবেই।’
এশিয়া কাপ টি–টোয়েন্টির শিক্ষা টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কাজে লাগাতে চান জাহানারা, ‘আমরা সেমিফাইনালে উঠতে চেয়েছিলাম। সেখান থেকে পরের ধাপে যেতে চেয়েছিলাম, যেহেতু হয়নি, সমস্যা নেই। আমরা তা ভুলে যেতে চাই। আমরা যা যা শিখেছি, সেটা নিয়ে বিশ্বকাপে যাব। বিশ্বকাপে লক্ষ্য থাকবে প্রত্যাশা অনুযায়ী ভালো করার।’
এশিয়া কাপে অধিনায়ক নিগার সুলতানা ও মুর্শিদা খাতুন ধারাবাহিকভাবে রান করেছেন। নিগার ৪ ম্যাচে ৩ ইনিংস ব্যাট করে করেছেন ১৪১ রান। ৩ ম্যাচের ৩ ইনিংসে মুর্শিদার ব্যাট থেকে এসেছে ১৩৪। দুই স্পিনার রাবেয়া খান ও নাহিদা আক্তার ছিলেন বল হাতে ধারাবাহিক। দুজনই ৪ ম্যাচে ৫টি করে উইকেট নিয়েছেন। নতুনদের মধ্যে দিলারা আক্তার ও স্বর্ণা আক্তারের পারফরম্যান্স ছিল চোখে পড়ার মতো।
সতীর্থদের ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের প্রশংসা জাহানারার কথায়ও, ‘মুর্শিদা ভালো পারফরম্যান্স করেছে। অধিনায়ক ধারাবাহিকভাবে ভালো পারফরম্যান্স করেছে। স্বর্ণা যখনই সুযোগ পেয়েছে, ইতিবাচক মানসিকতা দেখিয়েছে। এমনকি দোলাও (দিলারা আক্তার) ভালো শুরু করেছে প্রত্যেক ম্যাচ।’