বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক গাজী আশরাফ হোসেন সাকিব আল হাসানকে সর্বোচ্চ নম্বর দিয়েছেন
বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক গাজী আশরাফ হোসেন সাকিব আল হাসানকে সর্বোচ্চ নম্বর দিয়েছেন

সর্বোচ্চ সাকিব, সর্বনিম্ন নাজমুল

প্রতিপক্ষ এবং ম্যাচ পরিস্থিতি, আজ আমার রেটিংয়ে প্রভাবক হয়েছে দুটোই। স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচ জিতলে রেটিং এক রকম হবে, হারলে আরেক রকম। ম্যাচের ফলাফলে পারফরম্যান্স কী প্রভাব ফেলছে, সেটি অবশ্যই বিবেচ্য। কিছু খেলোয়াড়ের ক্ষেত্রে একটু ব্যতিক্রম হয়েছি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এত দিন ধরে খেলার অভিজ্ঞতা, দলে অবদানের কারণে লিটন দাস, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ ও মোস্তাফিজের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ২ নম্বর দেব। এ ম্যাচে সিরিজ ড্র করাটাই যখন লক্ষ্য ছিল, তখন এত বড় ব্যবধানে হারের পর কাউকে নম্বর দেওয়াটাই কঠিন হয়ে যায়। হারের ব্যবধান কমাতেও সেভাবে অবদান রাখেনি কেউ।

লিটন দাস ২/১০
এমন পরিস্থিতিতে উইকেটে তার উপস্থিতিই হুমকি হতে পারত। উল্টো তার অমন আউটে ধাক্কা খেয়েছে দল। ন্যূনতম ২-এর বেশি পাবে না।

তামিম ইকবাল ২.৭৫/১০
জয়ের জন্য তেমন কিছু করতে পারেনি। ইনিংস পুনর্গঠনের কাজ করেছে একটু। টস হয়তো টিম ম্যানেজমেন্টের সমন্বিত সিদ্ধান্ত, তবে বাংলাদেশ পিচ পড়তে ভুল করেছে। বোলারদের ব্যবহারের ক্ষেত্রে অধিনায়ক তেমন আপ টু দ্য মার্ক ছিল না।

নাজমুল হোসেন ১/১০
ঘরোয়া ক্রিকেটের পর এই সিরিজের প্রথম ম্যাচেও রান পেয়েছে। কিন্তু সবাই যেখানে জানে স্যাম কারেনের অ্যাওয়ে সুইং হবে, তার মতো ব্যাটসম্যান সেখানে নিজের স্কিলের প্রয়োগে মারাত্মক ভুল করেছে। বলটি ছেড়ে দিতে পারত। তবে স্লিপে একটা ভালো ক্যাচ নিয়েছে আজও।

মুশফিকুর রহিম ২/১০
সে ইনিংস পুনর্গঠনের জন্য সেরা ব্যক্তি হতে পারত। অথচ টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যর্থ। উইকেটকিপিংয়েও ভুল করেছে।

ফিফটির দেখা পেয়েছিলেন সাকিব

সাকিব আল হাসান ৪/১০
বোলিংয়ে তার কাছে প্রত্যাশা আরও বেশি থাকে। ব্যাটিংয়ে লড়াই করেছে, পুনর্গঠনের দায়িত্ব পালন করেছে, পরে আক্রমণও শুরু করতে চেয়েছে।

মাহমুদউল্লাহ ২.৫/১০
ফিল্ডিংয়ে দলের জন্য সে একটু বোঝাই হয়ে উঠছে। ব্যাটিংয়ে কিছুটা রান করলেও উইকেটে উপস্থিতি বিবর্ণই ছিল। তার ব্যাটিং আসলে আস্থা তৈরি করতে পারছে না। তাকে খুবই ম্লান মনে হচ্ছে।

আফিফ হোসেন ১.৫/১০
শুরুটা খুবই নড়বড়ে ছিল। স্ট্রাইকও বদলাতে পারছিল না, যাতে একটু অবাকই হয়েছি। তার ব্যাটিং তেমন আশা জোগাতে পারেনি। তবু এ ম্যাচেই সব শেষ নয় বলেই মনে করি।

বল হাতে ব্রেকথ্রু দিলেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ মিরাজ

মেহেদী হাসান মিরাজ ২.৭৫/১০
ডেভিড ম্যালানকে ফিরিয়ে প্রথম ব্রেকথ্রু দিয়েছে। বিপজ্জনক হয়ে ওঠা জস বাটলারের উইকেট নিয়েছে, সেটিও দারুণ একটি রিফ্লেক্স ক্যাচে। ব্যাটিংয়ে তেমন কিছু করেনি। অবশ্য ততক্ষণে তো দল হেরেই গেছে।

তাইজুল ইসলাম ২.৫/১০
তার টার্ন আর লুপ বেশ কিছু ব্যাটসম্যানকে পরাস্ত করেছে, ভাগ্য ভালো হলে হয়তো উইকেট পেত আরও। সাকিবের পাশে তেমন অনুজ্জ্বলও দেখায়নি।

তাসকিন আহমেদ ৩.৭৫/১০
অধিনায়ক যেখানেই ব্যবহার করেছে, সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। ব্রেকথ্রু দিয়েছে বিভিন্ন সময়ে। শেষের দিকে ব্যাটিং করতে এলেও ‘ইন্টেন্ট’ দেখিয়েছে। যেটা স্বীকৃত ব্যাটসম্যানরা দেখাতে পারেনি।

মোস্তাফিজুর রহমান ২/১০
বোলিংয়ে একটু আগে আনা হয়েছিল, তবু দাগ কাটার মতো পারফরম্যান্স করতে পারেনি। তৃতীয় ম্যাচের আগে হয়তো তার দলে জায়গা নিয়ে আলোচনা হবে। এ ম্যাচ থেকে কিছু অর্জন করেনি, ফিল্ডিংয়েও দৃষ্টিকটু ছিল। ন্যূনতম ২-এর বেশি পাবে না।