মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে তামিম ইকবাল, ইংল্যান্ডে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের আগে
মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে তামিম ইকবাল, ইংল্যান্ডে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের আগে

একটা সময়ে গিয়ে ‘এক্সপেরিমেন্ট’ বন্ধ করতে হবে, বলছেন তামিম

বিশ্বকাপের দলকে টুর্নামেন্ট শুরুর আগে সর্বোচ্চসংখ্যক ম্যাচ খেলার সুযোগ দিতে হবে, এমন মনে করেন বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। এ জন্য একটা সময়ে গিয়ে ‘এক্সপেরিমেন্ট’ বা পরীক্ষা-নিরীক্ষা বন্ধ করে দিতে হবে বলেও মত তাঁর। এশিয়া কাপের দলটিই বিশ্বকাপের দল হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

৯ মে থেকে ইংল্যান্ডে শুরু হচ্ছে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। এরপর এ বছরের অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ পাবে আর তিনটি সিরিজ খেলার সুযোগ—আফগানিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিপক্ষীয় সিরিজের মাঝে এশিয়া কাপ।

সম্প্রতি নির্বাচকেরা বলেছেন, বিশ্বকাপের জন্য একটি পুল করা আছে তাঁদের। শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপের দল বেছে নেওয়া হবে সে পুলের মধ্য থেকেই। আপাতত তাই সিরিজগুলোয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে চান তাঁরা। তবে সেটিও একসময় বন্ধ করে দিতে হবে, আজ ইংল্যান্ডে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এমন জানিয়েছেন তামিম, ‘এই সিরিজ, হয়তো পরের সিরিজে যতজন মানুষকে দেখা, নতুন করে কিছু সুযোগ দেওয়া। এই সিরিজগুলোকেই আমরা মূলত টার্গেট করছি। শেষ সিরিজেও দেখেন, ব্যাটিং অর্ডার বদলেছি, কয়েকজনকে ওপরে ব্যাটিং করিয়েছি। যেকোনো একটা সময়ে তো এক্সপেরিমেন্ট বন্ধ করতে হবে। আপনাকে সর্বোচ্চ ম্যাচ দিতে হবে বিশ্বকাপের স্কোয়াডকে।’

বিশ্বকাপের দলে আফিফ হোসেনও হিসাবের মধ্যে আছেন, বলছেন তামিম

বিশ্বকাপের দলের প্রসঙ্গে সম্প্রতি দুজনকে নিয়ে আলোচনা হচ্ছে বেশি। মাহমুদউল্লাহ ও আফিফ হোসেন—দুজনই বাদ পড়েছেন দল থেকে। তবে তাঁরাও হিসাবের মধ্যে আছেন, তামিম বলেছেন আরেকবার, ‘এমনকি আফিফের কথাও যদি বলি, আমার মনে হয়, তারও একই সুযোগ আছে অন্য যেকোনো খেলোয়াড়ের মতো। সে ভালোও করছে। হয়তো দু-একটা সিরিজ যেকোনো মানুষেরই খারাপ যেতে পারে। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়, রিয়াদ (মাহমুদউল্লাহ)-আফিফ আমাদের হিসাবে আছে।’

শুধু এ দুজন নয়, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে যাঁরা ভালো করছেন, সবাইকে নিয়েই কথা হচ্ছে বলেও জানান তামিম। সব মিলিয়ে এশিয়া কাপের দলটিই বিশ্বকাপে যাবেও বলে জানিয়েছেন তিনি, ‘একটা ধারণা পেয়ে যাবেন যখন আমরা এশিয়া কাপে খেলব। ওই যে স্কোয়াডটা আমরা করব, অনেকটা সেটাই হবে বিশ্বকাপের স্কোয়াড যদি কেউ চরমভাবে ব্যর্থ অথবা চোটে না পড়ে। তা ছাড়া আমার মনে হয় না ওই রকম কোনো পার্থক্য হবে।’

একটা ধারণা পেয়ে যাবেন যখন আমরা এশিয়া কাপে খেলব। ওই যে স্কোয়াডটা আমরা করব, অনেকটা সেটাই হবে বিশ্বকাপের স্কোয়াড যদি কেউ চরমভাবে ব্যর্থ অথবা চোটে না পড়ে।
তামিম ইকবাল, ওয়ানডে অধিনায়ক

যদিও পরীক্ষা-নিরীক্ষা বন্ধ করার কথা বললেও দু-একটি জায়গায় সব সময়ই বাড়তি চাওয়া থাকে, তামিম এমনও বলেছেন আজ, ‘দল নিয়ে কখনোই আপনি সন্তুষ্ট হতে পারবেন না। সব সময়ই এক–দুটো জায়গা থাকবে, যেখানে আপনি চাইবেন যে আরও ভালো খেলুক সবাই। আমি তরুণদের কথা বলছি ওরা সুযোগ পেয়ে দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছে। একটা জিনিস, যেকোনো নির্দিষ্ট একটা জায়গা নিশ্চিত করে বলা যাবে না যে এটি চূড়ান্ত। আমরা যখন এ সিরিজ খেলব, পরের সিরিজে দেখবেন ভিন্ন কন্ডিশন। এর মাঝে যে দলটা সেরা হবে, সেটাই বিশ্বকাপে যাবে। এখন পর্যন্ত যারা সুযোগ পেয়েছে, যেমন তাওহিদ হৃদয়—সে অসাধারণ খেলছে।’

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে সর্বশেষ সিরিজে ছয়জন ব্যাটসম্যান নিয়ে খেলেছে বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডে বদলে যেতে পারে সে কম্বিনেশন, এমন আভাসও দিয়েছেন তামিম, ‘আমরা গত সিরিজে যে পাঁচ-ছয়জন ব্যাটসম্যান বা অলরাউন্ডারসহ খেলেছি। একজন অতিরিক্ত বোলার খেলিয়েছি। কিন্তু কন্ডিশন গুরুত্বপূর্ণ। এর ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। এশিয়ায় আমরা একজন স্পিনার বেশি খেলাব। এখানে হয়তো একজন পেসার বেশি খেলবে। যা–ই হোক, একজন বেশি বোলার বা ব্যাটসম্যান নেওয়া কোনো অসুবিধা না। কারণ, মিরাজ ভালো খেলছে। তাই আমরা বাড়তি বোলার বা ব্যাটসম্যান নিয়ে খেলতে পারি। আর মাঠ এখনো দেখিনি। যেহেতু মাঠটা এখনো দেখিনি, তাই এখনো কিছু বলতে পারছি না।’