সংবাদ সম্মেলনে নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক টিম সাউদি
সংবাদ সম্মেলনে নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক টিম সাউদি

‘আমার ক্যারিয়ারে দেখা সবচেয়ে বাজে উইকেট’

মিরপুরে টেস্ট ক্রিকেট মানেই স্পিনারদের উল্লাসনৃত্য দেখার উপলক্ষ। এখানে রান হবে দ্রুত, উইকেটও পড়বে দ্রুত। পাঁচ দিনের ম্যাচ দুই-আড়াই দিনে শেষ হওয়া এই মাঠের জন্য নতুন কিছু নয়। প্রতিপক্ষ দলগুলোকে এসব মেনে নিয়েই এ মাঠে খেলতে হয়। কিন্তু বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের শেষ টেস্টে যা হয়েছে, তাতে সন্তুষ্ট মনে হয়নি নিউজিল্যান্ড দলের অধিনায়ক টিম সাউদিকে। তাঁর দল জিতেছে। তবু মিরপুর টেস্টের উইকেটকে তাঁর ক্যারিয়ারে দেখা সবচেয়ে বাজে উইকেট আখ্যা দিয়েছেন সাউদি।

সাউদির মুখেই শুনুন সে কথা, ‘হয়তো আমার ক্যারিয়ারে দেখা সবচেয়ে বাজে উইকেট। ব্যাট ও বলের মধ্যে ভারসাম্যের যে ব্যাপারটা, সেখানে বোলারদের পক্ষেই পাল্লা ভারী ছিল। পুরো ম্যাচে খেলা হয়েছে ১৭০ ওভারের মতো, এতেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়। সেদিক থেকে আমাদের জন্য এই জয়টা তৃপ্তির।’

মিরপুর টেস্টের চার ইনিংস মিলিয়ে মোট ১৭৮.১ ওভার খেলা হয়েছে। ১৭৮.১ ওভার মানে মোট ১০৬৯ বলের খেলা হয়েছে মিরপুর টেস্টে। টেস্ট ক্রিকেটে গত ১০০ বছরের ইতিহাসে ন্যূনতম ৩৬ উইকেট পড়েছে, এমন ম্যাচগুলোর মধ্যে বলের হিসাবে এই ম্যাচ তৃতীয় সংক্ষিপ্ততম। ৩৬ উইকেটের মধ্যে মাত্র ৫টি উইকেট পেয়েছেন পেসাররা।

স্পিন–বান্ধব মিরপুরের উইকেটে ব্যাটসম্যানদের ঘিরে ছিলেন ফিল্ডাররা

সাউদি নিজে যেহেতু পেসার, তাঁর মতামতটা শোনা যাক, ‘অবশ্যই উইকেট কঠিন ছিল। রান করা খুবই কঠিন ছিল। ওই ছোট ছোট জুটিগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কন্ডিশনে ভারসাম্য থাকলে ওই ছোট ছোট মুহূর্তগুলো হয়তো চোখে পড়ে না। আমাদের এখানে লড়াই করা, টিকে থাকাটা বেশ সন্তোষজনক ছিল।’

মিরপুর টেস্টের প্রসঙ্গ এলে গ্লেন ফিলিপসের পারফরম্যান্সের বিষয়টিও নিশ্চয়ই আলোচিত হবে। প্রথম ইনিংসে দলের বিপদে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ৮৭ রান। দ্বিতীয় ইনিংসেও তাঁর ৪০ রানের ইনিংসটি নিউজিল্যান্ডের জয় নিশ্চিত করে। বল হাতে ৩ উইকেটও নিয়েছেন তিনি। মিরপুর টেস্ট নিয়ে সাউদি তাঁর ভাবনা জানাতে গিয়ে তরুণ এই ক্রিকেটারের পারফরম্যান্সের বিষয়টি সামনে নিয়ে এসেছেন।

মিরপুরের উইকেটে ভালো বোলিং করেছেন দুই কিউই স্পিনার এজাজ প্যাটেল, মিচেল স্যান্টনারও

সাউদির কথা, ‘কঠিন উইকেটে আমাদের ছেলেরা খুব ভালো ক্রিকেট খেলেছে। অবশ্যই গ্লেন ফিলিপস, পুরো ম্যাচেই সে দারুণ ছিল। প্রথম ইনিংসে তার ব্যাটিং আমাদের ম্যাচে টিকিয়ে রেখেছে। স্পিন বোলার হিসেবে সে নতুন, তবু ম্যাচে তার বোলিং প্রভাব বিস্তার করেছে। হ্যাঁ, আমরা যেমন রান করতে চেয়েছিলাম, তা পারিনি। কিন্তু এখানে ২০-৩০ রানের জুটিই অনেক বড় হয়ে যায়। আর এজাজ এই স্পিন–সহায়ক উইকেটে ভালো করেছে, ৬ উইকেট নিয়েছে।’