বাংলাদেশে উদ্ভূত পরিস্থিতির পর এখানে আসন্ন নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করা ভুল হবে বলে মনে করেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক অ্যালিসা হিলি। এ মুহূর্তে বাংলাদেশে কীভাবে ক্রিকেট খেলা হতে পারে, মানবিক বিবেচনায় সেটিও ঠিক বোধগম্য হচ্ছে না তাঁর।
হিলি বলেছেন, ‘এ মুহূর্তে সেখানে (বাংলাদেশে) একটা ক্রিকেট ইভেন্ট চলা এবং যে দেশ সত্যিই ভুগছে—তাদের পুঁজি নিয়ে অন্য জায়গায় (বিশ্বকাপে) ব্যবহারের ব্যাপারটি আমার কাছে কঠিন মনে হচ্ছে। যেসব মানুষ মারা যাচ্ছে, তাদের সহায়তায় এখন সবাইকে প্রয়োজন।’
অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকদেরও এ মুহূর্তে বাংলাদেশ ভ্রমণ না করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। হিলি বলেছেন, ‘এ মুহূর্তে মানুষ হিসেবে সেখানে খেলার ব্যাপারটি আমার জন্য ঠিক বোধগম্য হচ্ছে না। মনে হচ্ছে এটি হয়তো ভুল একটা কাজ হবে। নিশ্চিতভাবেই বাংলাদেশে একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজনের চেয়ে বড় ব্যাপার ঘটছে। তবে আমি এটি আইসিসির ওপর ছেড়ে দেব।’
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন এবং এরপর শেখ হাসিনার পতনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে অস্থিরতা চলছে। আন্দোলনের শুরু থেকে এ পর্যন্ত শিশুসহ প্রাণ গেছে শত শত মানুষের। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও, সংস্থাটির সভাপতি নাজমুল হাসানসহ বেশ কয়েকজন পরিচালক আছেন আত্মগোপনে।
এমন পরিস্থিতিতে সামনের অক্টোবরে অনুষ্ঠেয় নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে প্রশ্ন চলছে। এরই মধ্যে বিকল্প ভেন্যুর আলোচনাও উঠেছে। যদিও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে এ বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে এখনো আশার কথা শোনানো হচ্ছে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এ সপ্তাহের মধ্যেই চলে আসতে পারে।
এরই মধ্যে বিশ্বকাপ আয়োজনের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছে ভারত। বার্তা সংস্থা এএপি জানিয়েছে, সেটিতে আগ্রহী নয় অস্ট্রেলিয়াও। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে বিশ্বকাপ সরে গেলে সেটি আয়োজিত হতে পারে জিম্বাবুয়ে বা সংযুক্ত আরব আমিরাতে।
গত মার্চ–এপ্রিলে বাংলাদেশ সফরে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলে গেছে অস্ট্রেলিয়া। ২০১৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর এটিই ছিল অস্ট্রেলিয়া নারী দলের প্রথম বাংলাদেশ সফর।
শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশে বিশ্বকাপ না হলেও সে অভিজ্ঞতা কাজে দেবে বলে আশা হিলির, ‘সেখানে গিয়ে কন্ডিশন ও ধীরগতির টার্নিং উইকেটে খেলে অভ্যস্ত হওয়া আমাদের ভালো একটা অবস্থানে নিয়ে গেছে। বিশ্বকাপ বাংলাদেশে হোক বা বাংলাদেশে না হোক; মনে হয় না আমাদের যা আছে, তাতে প্রভাব ফেলবে। আমাদের সামনে যা-ই আসুক না কেন, আমরা ভালোমতোই প্রস্তুত।’