৮ উইকেটে হেরেছে নিউজিল্যান্ড
৮ উইকেটে হেরেছে নিউজিল্যান্ড

দ্রুততম রান তাড়ার রেকর্ড ইংল্যান্ডের

ক্রাইস্টচার্চে তৃতীয় দিন শেষেই জয়ের কাছাকাছি ছিল ইংল্যান্ড। চতুর্থ দিনে বলা যায় দলটি আনুষ্ঠানিকতা সেরেছে।

৪ রানের লিড নিয়ে দিন শুরু করা নিউজিল্যান্ড স্কোরবোর্ডে শেষ ৪ উইকেটে আর ৯৯ রান যোগ করতে পেরেছে। তাতে ইংল্যান্ডের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১০৪, যা ১২.৪ ওভারে ২ উইকেট হারিয়েই ছুঁয়ে ফেলে বেন স্টোকসের দল। ১০০ এর চেয়ে বেশি রান তাড়ায় যা টেস্ট ইতিহাসে দ্রুততম।

ইংল্যান্ডের অভিষিক্ত ব্যাটসম্যান জ্যাকব বেথেল ফিফটি করেছেন ৩৭ বলে। জো রুট করেছেন ১৫ বলে ২৩। দুজনেই ছিলেন অপরাজিত। এ ছাড়া বেন ডাকেটের ব্যাট থেকে এসেছে ১৮ বলে ২৭ রান।

তবে নিউজিল্যান্ডকে হারাতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন পেসার ব্রাইডন কার্স। দ্বিতীয় ইনিংসে উইকেট নিয়েছেন ৬টি, প্রথম ইনিংসে ৪টি। ১০ উইকেট নিয়ে তিনিই হয়েছেন ম্যাচসেরা। গত ১৬ বছরে ইংল্যান্ডের কোনো পেসারের দেশের বাইরে ১০ উইকেট পাওয়ার ঘটনা এটাই প্রথম।

৮৪ রান করেছেন মিচেল

৬ উইকেট ১৫৫ রান নিয়ে ব্যাটিং করতে নামা নিউজিল্যান্ড দলীয় ১৯০ রানে হারায় নাথান স্মিথকে। এরপর ২০৯ রান পর্যন্ত যেতে আউট হন ম্যাট হেনরি ও টিম সাউদি।

দশম উইকেট জুটিতে ও’রুর্ককে নিয়ে ৪৫ রানের জুটি গড়েন ড্যারিল মিচেল। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে মিচেল ৮৪ রানে আউট হলে নিউজিল্যান্ড থামে ২৫৪ রানে। আজ নিউজিল্যান্ডের করা ৯৯ রানের ৫৩ রানই এসেছে মিচেলের ব্যাট থেকে।

জয়ের ভিত্তি মূলত ইংল্যান্ড পায় প্রথম ইনিংসের বড় লিডেই। প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ডকে ৩৪৮ রানে অলআউট করে ইংল্যান্ড তোলে ৪৯৯ রান। ১৭১ রানের ইনিংস খেলেন হ্যারি ব্রুক। এই ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের ফিল্ডারদের অবদানও কম ছিল না। ব্রুক একাই জীবন পেয়েছেন ৫ বার। এমন ফিল্ডিংয়েই ক্রাইস্টচার্চে পিছিয়ে পড়েছে নিউজিল্যান্ড। এই জয়ে ৩ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল ইংল্যান্ড।

১০ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা কার্স

ইংল্যান্ডের এমন ভালো দিনে চোটের শঙ্কা জেগেছে অধিনায়ক স্টোকসের। আজ বল হাতে দিনের শুরু করেছিলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক। তবে টানা ৫ ওভার বোলিং করতে পারেননি, পঞ্চম ওভারের তৃতীয় বলের পর কোমরে জড়তা অনুভব করায় ঝুঁকি নিয়ে বোলিং করেননি। এই টেস্টে সব মিলিয়ে ১৯.৩ ওভার বোলিং করেছেন স্টোকস, যা ২০২২ সালের ডিসেম্বরের পর সর্বোচ্চ।

সিরিজে এগিয়ে গিয়ে স্টোকস ম্যাচশেষে বলেছেন, ‘পুরো সপ্তাহে যেভাবে পারফর্ম করেছি তাতে খুবই খুশি। ৪৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়েছিলাম, এরপর পছন্দমতো একটা লিড পাওয়া খুবই ভালো বিষয়। পুরোটা সময় আমাদের বোলাররাও পরিশ্রমী ছিল।’

সংক্ষিপ্ত স্কোর:
নিউজিল্যান্ড ৩৪৮ ও ২৫৪ (উইলিয়ামসন ৬১, মিচেল ৮৪; কার্স ৬/৪২, ওকস ৩/৫৯)
ইংল্যান্ড: ইংল্যান্ড: ৪৯৯ ও ১০৪/২( বেথেল ৫০*, রুট ২৩*; হেনরি ১/১২, ও রুর্ক ১/২৭)
ফল: ইংল্যান্ড ৮ উইকেট জয়ী
ম্যাচসেরা: ব্রাইডন কার্স