ঢাকার হয়ে পারফর্ম করেছেন নাঈম–শরীফুল
ঢাকার হয়ে পারফর্ম করেছেন নাঈম–শরীফুল

নাঈম–শরীফুলরা ‘দুর্দান্ত’, ঢাকা তবু ‘নিরীহ’

এবারের বিপিএলে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক কে? দুর্দান্ত ঢাকার ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ নাঈম। ৯ ইনিংসে ২৬৬ রান নিয়ে শীর্ষে তিনি। বল হাতে এবারের বিপিএলে সর্বোচ্চ উইকেট নিয়েছেন কে? শরীফুল ইসলাম। তিনিও দুর্দান্ত ঢাকার। রান সংগ্রহে ও উইকেট পাওয়ায় শীর্ষে থাকা এ দুজনের দলের কী অবস্থা? বিপিএলের খোঁজখবর রাখলে এতক্ষণে জেনে গেছেন, দুর্দান্ত ঢাকা বিপিএলে বিব্রতকর এক রেকর্ড গড়েছে।

বিপিএলের ইতিহাসে একমাত্র দল হিসেবে হেরেছে টানা ৮ ম্যাচে। এর আগের রেকর্ড ছিল সিলেট রয়্যালসের। বিপিএলের প্রথম আসরে প্রথম সাত ম্যাচে হেরেছে দলটি। টুর্নামেন্ট থেকে ঢাকার এখন ছিটকে পড়া সময়ের ব্যাপার। বোলিং-ব্যাটিংয়ে দুই ক্রিকেটার শীর্ষে থাকার পরও ঢাকার কেন এই দশা?

ব্যর্থ মোসাদ্দেক

ঢাকার ব্যাটিংটা মূলত নির্ভর করছিল মোসাদ্দেকের ওপর। ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রতিষ্ঠিত এই ক্রিকেটার ছিলেন ঢাকার অধিনায়কও। তবে এই অলরাউন্ডারের প্রথম ৬ ম্যাচে সর্বোচ্চ রান ছিল ১৫। ফলে অধিনায়ক হয়েও দল থেকে বাদ পড়তে হয় তাঁকে।

অধিনায়ক হয়েও দল থেকে বাদ পড়েন মোসাদ্দেক

স্থানীয় ক্রিকেটাররা নামের প্রতি সুবিচার করতে না পারা

ঢাকার খেলোয়াড় তালিকায় চোখ রাখলেই বোঝা যায়, অপেক্ষাকৃত কম বাজেটের দলটি ছিল মূলত স্থানীয় ক্রিকেটারনির্ভর। সাইফ হাসান, ইফরান শুক্কুর, আলাউদ্দিন বাবু, মেহরব হোসেন, সাব্বির হোসেনদের কাছে অনেক প্রত্যাশা ছিল ঢাকার। সাইফ এক ম্যাচ আগে কুমিল্লার বিপক্ষে অর্ধশতক পেলেও প্রত্যাশা মেটাতে পারেননি। অন্যদের অবস্থা আরও বাজে।

বড় নামের অভাব
বিপিএলের অন্য দলগুলোর মতো বড় বিদেশি তারকা নেই ঢাকায়। সাইম আইয়ুবের কাছে প্রত্যাশা ছিল বেশি, তবে পাকিস্তানের এই তরুণ ব্যাটসম্যান ম্যাচ খেলতে পেরেছেন মাত্র ৫টি। তাঁর সর্বোচ্চ ছিল ৩৫ রান। চতুরঙ্গা ডি সিলভা, উসমান কাদির, লাসিথ ক্রসপুল্লে, দানুস্কা গুনাতিলাকারাও তেমন কিছুই করতে পারেননি। অবশ্য তাদের কাছে প্রত্যাশা কতটুকু ছিল, সেটাও প্রশ্ন! বিদেশি হিসেবে আরও কয়েকজনকে মাঝপথে দলে নেয় ঢাকা। এর মধ্যে অ্যালেক্স রস দুটি অর্ধশতক পেয়েছেন।

তাসকিন ৯ ম্যাচে উইকেট নিয়েছেন মাত্র ৭টি

নিষ্প্রভ তাসকিন
শরীফুল-তাসকিন একসঙ্গে কেমন করেন, বিপিএলের শুরুতে অনেকেই এটা দেখতে চেয়েছিলেন। ঢাকার বোলিং আক্রমণের প্রাণভোমরা ছিলেন এ দুজনই। সেই প্রত্যাশা তাঁরা কতটা পূরণ করতে পেরেছেন? শরীফুল পুরোপুরি পেরেছেন। শরীফুল ৯ ম্যাচে উইকেট নিয়েছেন ১৭টি। তবে তাঁর সঙ্গী তাসকিন উইকেট নেওয়ার ধারাবাহিকতা দেখাতে পারেননি। ৯ ম্যাচে উইকেট নিয়েছেন মাত্র ৭টি।

সাদিরা সামারাবিক্রমাকে না পাওয়া
এবারের বিপিএল ঢাকার প্রধান ‘রোগ’ ছিল ব্যাটিং। সেই রোগের ওষুধ হতে পারতেন এই শ্রীলঙ্কান। জাতীয় দলের সঙ্গে থাকায় দুর্দান্ত ছন্দে থাকা এই ব্যাটসম্যানকে পায়নি ঢাকা।