রিশাদ-তাসকিনের ঝড় সামলে সিরিজ শ্রীলঙ্কার

টস: শেষ রাউন্ড

টানা তৃতীয় ম্যাচে টসে জিতেছেন নাজমুল হোসেন। আবারও ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। দিনের ম্যাচ হলেও রান তাড়া করতে চায় বাংলাদেশ।

প্রথম ম্যাচে ৩ রানে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ পেয়েছে দাপুটে জয়। সিলেটে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ এটি। ৩ ম্যাচ সিরিজে একবারই এর আগে পিছিয়ে পড়েও জিতেছিল বাংলাদেশ। আজ সেটির পুনরাবৃত্তি করতে পারবে তারা?

প্রথম আলো লাইভে আপনাকে স্বাগত।

অপরিবর্তিত বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কায় পরিবর্তন তিনটি

আজও অপরিবর্তিত আছে বাংলাদেশ একাদশ।

শ্রীলঙ্কা এনেছে তিনটি পরিবর্তন। অনুমিতভাবেই নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরেছেন নিয়মিত অধিনায়ক ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। তাঁর সঙ্গে দলে এসেছেন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ও নুয়ান তুশারা। এ তিন জনকে জায়গা করে দিয়েছেন আভিস্কা ফার্নান্ডো, দিলশান মাদুশঙ্কা ও মাতিশা পাতিরানা। পাতিরানা এ ম্যাচ থেকে ছিটকে গেছেন চোটের কারণে

বাংলাদেশ একাদশ

নাজমুল হোসেন (অধিনায়ক), লিটন দাস, সৌম্য সরকার, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, মেহেদী হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, শরীফুল ইসলাম, রিশাদ হোসেন ও জাকের আলী।

শ্রীলঙ্কা একাদশ

ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা, কুশল মেন্ডিস, কামিন্দু মেন্ডিস, সাদিরা সামারাবিক্রমা, চারিত আসালাঙ্কা (অধিনায়ক), অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস, দাসুন শানাকা, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা (অধিনায়ক), মহীশ তিকশানা, বিনুরা ফার্নান্ডো, নুয়ান তুশারা।

৩ ম্যাচ, ১১ জন 

মাত্র দ্বিতীয়বার তিন ম্যাচ সিরিজের সবকটি ম্যাচে অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে নামছে বাংলাদেশ। এর আগে ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দেশের মাটিতে তিন ম্যাচেই একই একাদশ নামিয়েছিল বাংলাদেশ।

আবার দারুণ শুরু শরীফুলের

প্রথম ম্যাচ—দ্বিতীয় বলে উইকেট।

দ্বিতীয় ম্যাচ—মেডেন।

তৃতীয় ম্যাচ—২ রান, ১ রিভিউ।

শুরুতে চাপ তৈরি করতে হবে? শরীফুল ইসলামকে ডাকুন! এ সিরিজে এ বাঁহাতির পারফরম্যান্স অমনই।

আজ শুরুতে চাপে ফেললেন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকে। ইনসুইংটা শিখেছেন, তাতেই তিনবার ডি সিলভাকে পরাস্ত করলেন। শেষ ৩ বলে হয়েছিল আবেদন। তবে আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা সাড়া দেননি একবারও। শেষ বার রিভিউ নেন নাজমুল। কিন্তু বল ট্র্যাকিং দেখিয়েছে, সেটি যেত স্টাম্পের ওপর দিয়ে।

শ্রীলঙ্কা ২/০, ১ ওভার।

নাজমুলের টস-কপাল

৩ ম্যাচেই টসে জিতলেন নাজমুল। তৃতীয় বাংলাদেশী অধিনায়ক হিসেবে কমপক্ষে ৩ ম্যাচের সিরিজের সবকটিতেই টসে জিতলেন তিনি। এর আগে ২০১৭ সালে নিউজিল্যান্ড সফরে মাশরাফি বিন মুর্তজা, ২০২১ সালে দেশের মাটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে মাহমুদউল্লাহর কীর্তি ছিল এমন।

তাসকিনে ব্রেকথ্রু

তাসকিনের পর শরীফুল—সর্বশেষ ২ ওভারে দুজন করেছেন আলগা দুটি ডেলিভারি। তাসকিনকে কুশল মেন্ডিসের পর শরীফুলকে ধনাঞ্জয়া ভুল করেননি, মেরেছেন চার। শরীফুল সর্বশেষ ওভারে একটু এলোমেলোই ছিলেন, ডাউন দ্য লেগে ওয়াইডও দিয়েছেন।

তবে যে সময় শ্রীলঙ্কা একটু মোমেন্টাম পাচ্ছিল, তখনোই আঘাত করলেন তাসকিন। যেভাবে ঘুরিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন, লেংথ ঠিক সেখানে ছিল না। মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়ে ১২ বলে ৮ রান করেই থামলেন এ ম্যাচ দিয়ে ফেরা ধনাঞ্জয়া। আবারও শুরুতেই উইকেট হারাল শ্রীলঙ্কা।

৩.১ ওভারে ১৮/১

তিন চারে শেষ উইকেটের ওভার

শুরুতে উইকেট। তবে শেষে এসে এলোমেলো তাসকিন। প্রথমে বাইয়ে চার এলো। সামনে পড়ায় বল গ্লাভসে রাখতে পারেননি লিটন। শেষ ২ বলে দুটি চার মেরেছেন কামিন্দু মেন্ডিস। প্রথমে অফ স্টাম্পের বাইরে জায়গা দিয়েছিলেন। এরপর তো উপহার দিয়েছেন ফুলটস।

৪ ওভারে ৩০/১

পাওয়ারপ্লে শেষে...

৪৯/১

৪৫/২

৪১/১

তিন ম্যাচে ক্রমান্বয়ে কমল পাওয়ারপ্লেতে শ্রীলঙ্কার স্কোর। অবশ্য আগের ম্যাচের চেয়ে আজ ১টি উইকেট কম হারিয়েছে তারা। মেহেদী হাসানের পর পাওয়ারপ্লেতে মোস্তাফিজুর রহমানকেও এনেছেন নাজমুল। দুজনই দিয়েছেন একটি করে চার, তবে তাঁদের ২ ওভারে ১১ রানের বেশি তুলতে পারেনি শ্রীলঙ্কা।

ধনাঞ্জয়ার উইকেট পাওয়ার পর তাসকিনের উদ্‌যাপন

ছক্কা খাওয়ার পর সফল রিশাদ

অষ্টম ওভারে প্রথমবারের মতো এসেছেন রিশাদ হোসেন। দ্বিতীয় বলে ম্যাচের প্রথম ছক্কাটি মেরে তাঁকে স্বাগত জানিয়েছেন কুশল মেন্ডিস। তবে রিশাদের ওপর চড়াও হয়ে ভুল করেছেন কামিন্দু মেন্ডিস। এবার লেংথ কমিয়ে এনেছিলেন রিশাদ, বেরিয়ে যাচ্ছিল বল। সামনে এসে তুলে মারলেও তাতে নিয়ন্ত্রণ ছিল না কামিন্দুর। লং অফে শরীফুল ভুল করেননি। ২৭ বলে ৩৪ রানেই থেমেছে এবার দুই মেন্ডিসের জুটি।

ছক্কার পর উইকেট—চিরায়ত লেগ স্পিনিং রেসিপি!

মেন্ডিসে আশা শ্রীলঙ্কার

মোমেন্টামটা আনার চেষ্টা করছেন কুশল মেন্ডিস। সর্বশেষ তাসকিন আহমেদকে স্কয়ার লেগের ওপর দিয়ে দলের ও নিজের দ্বিতীয় ছক্কাটি মেরেছেন তিনি। ২৬ বলে আপাতত ৩৪ রানে অপরাজিত কুশল। চারে এসেছেন অধিনায়ক হাসারাঙ্গা।

৯ ওভারে ৬৩/২।

মোস্তাফিজের ১৮ রানের ওভার

ওভারপিচড। এরপর লেগ স্টাম্পের বাইরে ‘উপহার’। শর্ট বল করতে গিয়ে ওয়াইডে চার। দশম ওভারে মোস্তাফিজের গোলমাল হয়ে গেল সব। উঠল ১৮ রান, এখন পর্যন্ত যা সর্বোচ্চ।

১০ ওভারে ৮১/২

মেন্ডিসের ৫০, শ্রীলঙ্কার ১০০

প্রথম ওভারে সফল হলেও রিশাদকে সরিয়ে নিয়েছিলেন নাজমুল। এ লেগ স্পিনারকে আবার ফিরিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। এবার তাঁকে ছক্কা মেরেছেন হাসারাঙ্গা, অফ স্টাম্পের বাইরে একটু ফুললেংথে করেছিলেন রিশাদ।

এরপর নাজমুল আনেন সৌম্যকে, প্রথম বলে র‍্যাম্প করে চার মারেন কুশল মেন্ডিস। আগের ম্যাচে মেন্ডিসকে ফিরিয়েছিলেন সৌম্যই। প্রায় একই লেংথে আবার করেছিলেন, আবার খোঁচা দিতে গিয়েছিলেন মেন্ডিস। যদিও তাঁর কপাল ভালো, ব্যাটে লাগেনি।

পরের বলে ফিফটি পূর্ণ করেছেন মেন্ডিস। যদিও তা নিয়ে একটু ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল। আম্পায়ার তানভীর আহমেদ শুরুতে লেগ বাই দেন, পরে স্কয়ার লেগ আম্পায়ারের সঙ্গে আলোচনা করে বদলান সিদ্ধান্ত। মেন্ডিসের ফিফটি করতে লাগল ৩৫ বল।

মেন্ডিস অবশ্য এরপর সুযোগ দিয়েছিলেন। অফ স্টাম্পের বাইরে থেকে কাট করে ক্যাচ তুলেছিলেন ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে। আঙ্গুল লাগালেও ক্যাচ নিতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ। মেন্ডিস অক্ষত, হাসারাঙ্গার সঙ্গে তাঁর জুটি শ্রীলঙ্কাকে ভালো একটা অবস্থানেই নিয়ে যাচ্ছে। ১২তম ওভারে ১০০ পেরিয়ে গেছে তারা।

১২ ওভারে ১০১/২।

সেই মোস্তাফিজই ভাঙলেন জুটি

পেসের বৈচিত্র আনতে গিয়ে লাইন-লেংথে বারবার এলোমেলো হয়ে যাচ্ছেন মোস্তাফিজুর রহমান। এমন উইকেটে পেসের বৈচিত্র কতটা দরকার, সেটিও প্রশ্ন।

তবে এরই মধ্যে মোস্তাফিজই এনে দিলেন ব্রেকথ্রু। এবার শর্ট লেংথে করেছিলেন। আপার কাট করতে গিয়ে ডিপ থার্ডে শরীফুলের হাতে ধরা পড়েছেন ১৩ বলে ১৫ রান করা হাসারঙ্গা। মেন্ডিসের সঙ্গে শ্রীলঙ্কা অধিনায়কের জুটি থেমেছে ৩১ বলে ৫৯ রানে।

১৩ ওভারে ১১১/৩।

মেন্ডিসকে মেহেদীর ‘উপহার’

৪০ বলে ৬৩ রানে অপরাজিত একজন। মাত্রই পড়েছে উইকেট। এমন অবস্থায় থিতু ব্যাটসম্যানকে আর যা-ই হোক, ফুলটস দিতে চাইবেন না আপনি। মেহেদী হাসান সেটিই দিলেন কুশল মেন্ডিসকে। তাও একটি নয়, পরপর দুটি। প্রথমটিতে চারের পর মেন্ডিস পরেরটিতে মারলেন ছক্কা।

শুরুতে ওই দুটি বাজে বলের পর অবশ্য আঁটসাঁট ছিলেন মেহেদী। তবে মেন্ডিস হুমকি হয়েই আছেন।

১৪ ওভারে ১২৫/৩।

মেন্ডিসকে রেখে ফিরলেন আসালাঙ্কাও

শরীফুল ফিরে সফল। মেন্ডিস তাঁকে ছক্কা মেরেছিলেন ঠিকই, কিন্তু শর্ট বল যথেষ্ট হয়েছে আসালাঙ্কার জন্য। জোরের ওপর খেলতে গিয়ে ওপরে তুলেছিলেন আসালাঙ্কা। ডিপ স্কয়ার লেগে মোস্তাফিজ ভুল করেননি। শ্রীলঙ্কা ১৩৩/৪।

‘ডেথ’-এর শুরুতে মেন্ডিসের শেষ

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে নিজের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ স্কোর পেয়ে গেছেন মেন্ডিস, ১৭তম ওভারের শুরুতে তিনি অপরাজিত ছিলেন ৮৫ রানে।

ডেথে এসে অনুমিতভাবেই তাসকিনকে ফিরিয়েছেন নাজমুল। এবং সফল হয়েছেন তাসকিন। আরেকটি শর্ট বল, আরেকটি উইকেট। ফিল্ড সেটিং দেখে মনে হয়েছে, পরিকল্পনায় ছিল এমন। মেন্ডিস ফাঁদে পা দিয়েছেন, তুলে মারতে গিয়ে শর্ট মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি ৫৫ বলে ৮৬ রান করে। দারুণ ইনিংস, তবে ফিরলেন কি অসময়ে?

১৬.৫ ওভারে ১৪০/৫।

রিশাদের দ্বিতীয়, শ্রীলঙ্কার ষষ্ঠ

৩ বলের মধ্যে দুটি বাউন্ডারি—শানাকার ব্যাটে চারের পর ম্যাথুসের কাছে ছক্কা খেয়েছিলেন রিশাদ। এরপর অফ স্টাম্পের বাইরে ফেললেন, সেটি টেনে মারতে গিয়ে লং অফে ক্যাচ দিয়েছেন ম্যাথুস। ৪ ওভারে ২/৩৫ বোলিং ফিগার নিয়ে শেষ করলেন রিশাদ।

১৮ ওভারে ১৫৩/৬।

শ্রীলঙ্কা ১৭৪/৭

শেষ ওভারে এসে মোস্তাফিজ দিলেন ১৪ রান। ৪ ওভারে তিনি দিয়েছেন ৪৭ রান।

শেষ বলে লিটনের দারুণ ‘নো লুক’ থ্রো-তে রানআউট হয়েছেন দাসুন শানাকা, তাতে ১ রান কম পেয়েছে শ্রীলঙ্কা।

ডেথ ওভারে বাংলাদেশের বোলিং পারফম্যান্স দারুণই বলতে হবে। শেষ ৫ ওভারে শ্রীলঙ্কা তুলতে পেরেছে ৩৫ রান, ১৪ রানের শেষ ওভারের পরও। শ্রীলঙ্কা থেমেছে ৭ উইকেটে ১৭৪ রানে।

পাওয়ারপ্লেতে উইকেট হারিয়ে আবার ধাক্কা খায় শ্রীলঙ্কা। মাঝের ওভারগুলোতে অবশ্য তাদের টানেন কুশল মেন্ডিস। তবে তাঁর সঙ্গে সে অর্থে কার্যকরী জুটি গড়েছিলেন শুধু ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, তৃতীয় উইকেটে ওঠে ৩১ বলে ৫৯ রান।

এরপর থেকে শ্রীলঙ্কা নিয়মিতই উইকেট হারিয়ে গেছে। মেন্ডিসের বিপক্ষে বাংলাদেশ বোলাররা একটু এলোমেলোই ছিলেন, তবে তাঁরা জুটি ভাঙার উপায় বের করে নেন ঠিকই।

শেষ পর্যন্ত ১৭৪ রানের স্কোর দুই দলকেই খুশি করার কথা। মাঝের ওভারে উইকেট হারিয়ে শ্রীলঙ্কা আসতে পেরেছে এত দূর। অন্য দিকে আগের দুই ম্যাচে রান তাড়ায় বেশ আত্মবিশ্বাসী থাকার কথা বাংলাদেশের। অবশ্য আজ হাসারাঙ্গা-হুমকি সামলাতে হবে স্বাগতিকদের।

প্রথম বলেই আউটের আবেদন, রিভিউ এবং নট আউট

অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের প্রথম বলেই আউটের আবেদন হয়েছিল। লিটন দাসের বিপক্ষে এলবিডব্লিউয়ের আবেদন করেছিল শ্রীলঙ্কা। আম্পায়ার আউট না দেওয়ায় রিভিউ নিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। তৃতীয় আম্পায়ার মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের সঙ্গেই থেকেছেন।

প্রথম ওভার শেষে বিনা উইকেটে ৫ রান বাংলাদেশের। লিটনের সঙ্গে ওপেন করতে নেমেছেন সৌম্য সরকার।

উঠে গেলেন ম্যাথুস। (আরেকবার) উইকেট ছুড়ে এলেন লিটন।

ম্যাথুসের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে অফ সাইডে সরে খেলতে গিয়ে মিস করেছিলেন লিটন। তবে ওই বল পরই উঠে গেলেন ম্যাথুস। ধারাভাষ্যকাররা বলছেন, দেখে মনে হচ্ছে কুঁচকিতে টান পড়েছে শ্রীলঙ্কা অলরাউন্ডারের। ম্যাথুসের অসম্পন্ন ওভার করতে আসেন ধনাঞ্জয়া।

ধনাঞ্জয়ার প্রথম বলেই অফ স্টাম্পের দিকে সরে গিয়ে তুলে মারতে গিয়ে ওপরে ক্যাচ তুলেছেন লিটন। ১১ বলে ৭ রান করে আরেকবার উইকেট ছুড়ে এলেন লিটন। ১৩ রানে প্রথম উইকেট হারাল বাংলাদেশ।

তুশারার হ্যাটট্রিক!

ব্যাট আর প্যাডের মাঝে যে ফাঁক রেখেছিলেন নাজমুল, তাতে একটা ট্রেন ঢুকে যেতে পারে। নুয়ান তুশারার বলের জন্য ছিল পর্যাপ্ত জায়গা। আসলে নিজের ডিফেন্সের দিকে খেয়ালই করেননি নাজমুল। একটু নিচু হয়ে ভেতরের দিকে ঢোকা বলটা ঠেকাতে ব্যাটটা সময়মতো নামাতেই পারেননি। লিটনের পর নাজমুলের উইকেট হারিয়ে শুরুতেই কাঁপছে বাংলাদেশ!

এবং ঠিক পরের বলে স্টাম্প ভাঙল তাওহিদ হৃদয়েরও! এবার লেংথ থেকে সিমে পড়ে বেরিয়ে যাওয়া বলে ভড়কে গেছেন তিনি। অবশ্য হৃদয় উঠে যাওয়ার পথে তৈরি হয়েছিল উত্তপ্ত পরিস্থিতি। শ্রীলঙ্কান খেলোয়াড়দের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়েছিলেন তিনি। আম্পায়ার তানভীর আহমেদ এসে শান্ত করেছেন পরিস্থিতি।

তুশারা এরপর পেয়ে গেছেন হ্যাটট্রিকও! আবার লেংথ থেকে নিচু হওয়া বলে স্কয়ারড-আপ হয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। ব্যাট ফাঁকি দিয়ে বল লাগে প্যাডে। আম্পার তানভীর দেন আউট। যে সিদ্ধান্ত রিভিউ করেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। ব্যাটে লাগেনি, মাহমুদউল্লাহকে বাঁচাতে পারত ইমপ্যাক্ট। তবে সেটির পর উইকেটেও হয়েছে আম্পায়ার্স কল।

১৫/১ থেকে বাংলাদেশ ১৫/৪!

পঞ্চম শ্রীলঙ্কান বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে হ্যাটট্রিক পেলেন তুশারা। এ ম্যাচে যিনি খেলছেন মাতিশা পাতিরানা চোটে ছিটকে যাওয়াতেই!

তুশারার ট্রিপল উইকেট মেডেন ওভার

ডট উইকেট উইকেট উইকেট ডট ডট

লি থেকে তুশারা

ষষ্ঠ বোলার হিসেবে বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে হ্যাটট্রিক করলেন নুয়ান তুশারা।

২০০৭ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে ব্রেট লির হ্যাটট্রিক ছিল আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির ইতিহাসেই প্রথম। এরপর বাংলাদেশের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক পেয়েছেন লাসিথ মালিঙ্গা, দীপক চাহার, নাথান এলিস ও করিম জানাতের। সর্বশেষ সে তালিকায় যুক্ত হলেন তুশারা। যাঁর অ্যাকশনও কিছুটা মালিঙ্গার মতই!

নাজমুল বোল্ড
হৃদয় বোল্ড
মাহমুদউল্লাহ এলবিডব্লু

তুশারার চতুর্থ!

তুশারাকে পড়তে পারছেন না বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানরা। এবার তাঁর শিকার সৌম্য সরকার। তিনিও হয়েছেন বোল্ড! সৌম্য ঘুরিয়ে খেলতে গিয়েছিলেন। আবার দেরিতে সুইং করেছে তুশারার ফুললেংথের বল। সৌম্যর প্যাডে লেগেছিল, তবে তাতেও আটকায়নি। ২৪ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে বাংলাদেশ!

অর্ধেক ব্যাটসম্যান নেই

২৪/৫
টি-টোয়েন্টিতে মাত্র দ্বিতীয়বার এত কম রানে ৫ উইকেট হারাল বাংলাদেশ। আগের একমাত্র ঘটনাটি ২০১১ সালে, পাকিস্তানের বিপক্ষে মিরপুরে সেবার ২৩ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়েছিল তারা।

ষষ্ঠ উইকেট

৮ ওভারে ৫৪/২। শ্রীলঙ্কার এমন স্কোরকে সাদামাটা মনেই হতে পারে আপনার। তবে এ অবস্থায় বাংলাদেশের স্কোর—৩১/৫!

আপাতত তুশারা-ঝড় সামলে টিকে থাকার চেষ্টা জাকের আলী ও মেহেদী হাসানের। কিন্তু জাকের টিকলেন না! হাসারাঙ্গার গুগলি মিস করে গিয়েছিলেন। জাকের অবশ্য এলবিডব্লুর সিদ্ধান্ত রিভিউ করেন সঙ্গে সঙ্গেই। তবে বল ব্যাটে লাগেনি তাঁর। বহাল থেকেছে শরফুদ্দৌলার সিদ্ধান্ত। বাংলাদেশ হারিয়েছে ষষ্ঠ উইকেট।

৮.১ ওভারে ৩২/৬!

প্রথম

৩২/৬
এই প্রথম এত কম রানের মধ্যে ৬টি উইকেট হারাল বাংলাদেশ। আগের রেকর্ড ছিল ৩৯/৬, মিরপুরে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২০১১ সালে।

১০ ওভারে ৪২/৬

বাংলাদেশ সমর্থক হলে স্কোরের দিকে তাকানোর দরকার নেই আপনার। তৃতীয় ওভার করতে এসে পঞ্চম উইকেটটি প্রায় পেয়েই গিয়েছিলেন তুশারা। এক্সট্রা কাভারে ক্যাচ তুলেছিলেন রিশাদ। তবে ফিল্ডার সাদিরা সামারাবিক্রমা ঠিক আত্মবিশ্বাসী ছিলেন না। পরে টেলিভিশন আম্পায়ারও সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, মাটির সঙ্গে স্পর্শে এসেছিল বল।

ছক্কা, ছক্কা

ইনিংসে প্রথম ছক্কাটি মারলেন রিশাদ, হাসারাঙ্গাকে। পরের বলে মিডউইকেট দিয়ে মেরেছেন আরেকটি। এরপরও বাংলাদেশের সামনে সুদীর্ঘ পথ। ৫৪ বলে দরকার ১১৮ রান। বাকি ৪ উইকেট।

ছক্কা #৩

এবার বোলার তিকশানা। এবার স্কয়ার লেগের ওপর দিয়ে আরেকটি ছক্কা মারলেন রিশাদ। শেষ ২ ওভারে এল ২৩ রান। ১২ ওভারে ৬৫/৬।

মেহেদীর দুই চার

১৩তম ওভারে প্রথমবারের মতো এসেছেন শানাকা। মেহেদী প্রথম দুই বলে মেরেছেন দুটি চার। পঞ্চম বলে ডিপে ফিল্ডিং করতে গিয়ে চোট পেয়েছেন বিনুরা ফার্নান্ডো। এরপর উঠে গেছেন তিনি। ম্যাথুস মাঠে নেই আগে থেকেই। ফার্নান্ডো করেছেন ২ ওভার।

সর্বশেষ ৩ ওভারে এসেছে ৩৩ রান। ৪২ বলে প্রয়োজন ৯৯ রান।

উইকেট #৭

ঝুলিয়ে দেওয়া বলে মেহেদীকে আমন্ত্রণ জানালেন হাসারাঙ্গা। সেটি নিতে গিয়ে বোল্ড মেহেদী। রিশাদের সঙ্গে তাঁর জুটি ক্ষীণ একটা আশা হয়তো দিচ্ছিল বাংলাদেশকে, তবে শেষ সেটিও। ৩১ বলে ৪৪ রানে ভেঙেছে সে জুটি। বাংলাদেশ হারিয়েছে সপ্তম উইকেট।

ছক্কা, ছক্কা, ছক্কা!

তিকশানার ওপর চড়াও হলেন রিশাদ। দ্বিতীয় বলে কাউ কর্নার দিয়ে মারলেন ওভারের প্রথম ছক্কা। শেষ দুই বলে মেরেছেন আরও দুটি। ইনিংসে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত মেরেছে ৬টি ছক্কা, ৬টিই মেরেছেন রিশাদ।

রেকর্ড ছক্কায় রিশাদের ফিফটি

আট বা এর পরে নেমে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ফিফটি রিশাদের। প্রথমটি ছিল আফিফ হোসেনের।

বিনুরা ফার্নান্ডোকে টেনে মিডউইকেট দিয়ে ইনিংসের সপ্তম ছক্কাটি মেরেছেন রিশাদ। ওই শটে ফিফটিও হয়ে গেছে তাঁর। লেগেছে মাত্র ২৬ বল। এ ছক্কা দিয়ে এক ইনিংসে কোনো বাংলাদেশী ব্যাটসম্যানের সবচেয়ে বেশি ছক্কার রেকর্ডও হয়ে গেছে রিশাদের।

১৬ ওভারে ১১৫/৭। ২৪ বলে প্রয়োজন ৬০ রান।

বাঁচলেন তাসকিন, ফিরলেন রিশাদ

তাসকিনকে এলবিডব্লু দিয়েছিলেন শরফুদ্দৌলা। বেশ ক্লোজ ছিল উইকেটের সামনে। তবে বল পড়েছিল লেগ স্টাম্পের বাইরে। তাসকিন বাঁচলেন ফিরেছেন রিশাদ। এবার লেংথ পড়তে গড়বড় করে ফেলেছেন তিকশানার বলটি। তুলে মারতে গিয়ে লং অফে সামারাবিক্রমার হাতে ক্যাচ দিয়েছেন। ৩০ বলে ৫৩ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংসের পর। তবে সেটিও এখন বাংলাদেশের জন্য যথেষ্ট না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

৩০ বলে ৫৩ রান করার পথে রিশাদ

দুই ছক্কার পর তুশারার পঞ্চম

তুশারা, তিনি কে?

তাসকিন আহমেদ বললেন এমনই। নিজের শেষ ওভার করতে এসেছিলেন হ্যাটট্রিক করা তুশারা। তাসকিন তাঁর প্রথম দুই বলে মেরেছেন দুটি ছক্কা! প্রথমটি ব্যাটের কানায় লেগে থার্ডম্যানের ওপর দিয়ে গেছে। তবে পরেরটিতে তাসকিনের কর্তৃত্ব ছিল দেখার মতো! এক্সট্রা কাভারের ওপর দিয়ে তুলে মেরেছেন তিনি। অবশ্য পরের ৩ বলে ১ রানের বেশি নিতে পারেননি তিনি। শেষ বলে শরীফুল তুলে মেরেছিলেন, তবে হাত ছুটে গিয়েছিল তাঁর। তুশারা তাঁর স্পেলের শেষ বলে গিয়ে পেয়েছেন পঞ্চম উইকেট। চতুর্থ শ্রীলঙ্কান হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে পঞ্চম উইকেট নিলেন তিনি।

১২ বলে দরকার ৪১ রান।

৬ বলে ৩০

বিনুরার শেষ বলে টেনে এক্সট্রা কাভার দিয়ে ছক্কা মেরেছেন মোস্তাফিজ। তবে এরপরও শেষ ৬ বলে বাংলাদেশের দরকার ৩০ রান। ৫টি ছক্কা?

রিশাদ-তাসকিনের ঝড় সামলে সিরিজ শ্রীলঙ্কার

লং অনে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার দারুণ ক্যাচে শেষ হলো তাসকিনের ২১ বলে ৩১ রানের ক্যামিও। ১৪৬ রানেই থামল বাংলাদেশ। ২৮ রানে শেষ ম্যাচ জিতে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতল শ্রীলঙ্কা।

১৭৫ রানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ৩২ রানে হারিয়েছিল ৬ উইকেট। সিরিজে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা নুয়ান তুশারার তোপে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। তুশারা করেন হ্যাটট্রিক। দ্রুতই পেয়ে যান চতুর্থ উইকেটও।

ম্যাচ শেষ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল সেখানেই। তবে রিশাদ হোসেন ও তাসকিন ভেবেছিলেন অন্য কিছু। ধ্বংসস্তুপে দাঁড়িয়ে ঝড় তুললেন দুজন।

প্রথমে ছক্কা মারা শুরু করলেন রিশাদ। মেহেদীর সঙ্গে ৩১ বলে ৪৪ রানের জুটিতে প্রথমে একটু ধাতস্থ হয়েছিলেন। এরপর তাসকিনের সঙ্গে জুটিতে লাফ দেন রিশাদ। বাংলাদেশী ব্যাটসম্যানের এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ৭টি ছক্কা মারলেন, ২৬ বলে পূর্ণ করলেন ফিফটি।

সমীকরণ বাংলাদেশের জন্য ছিল বেশ কঠিন। তবে রিশাদ ও তাসকিনের ২১ বলে ৪১ রানের জুটি কঠিন হলেও সে সমীকরণকে অসম্ভব হতে দেয়নি। রিশাদ অবশ্য থামেন ৫৩ রান করেই।

এরপর তাসকিন এগিয়ে আসেন। হ্যাটট্রিক করা তুশারার ওপরই চড়াও হন তিনি। তবে তিনিও পারেননি ঠিক সমীকরণটা নাগালের মধ্যে রাখতে। শেষের ঝড়ের পর ২ বল বাকি থাকতে অলআউট হয়ে গেছে বাংলাদেশ।

শেষের প্রতিরোধ

১১৪
শেষ ৪ উইকেট জুটিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান এখন এটিই। আগের সর্বোচ্চ ছিল ৮৮, ২০১৯ সালে মিরপুরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।

বলছেন নাজমুল

প্রথম ৬ ওভারে ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।
নাজমুল হোসেন, বাংলাদেশ অধিনায়ক

ম্যাচসেরা তুশারা

তিনি ছাড়া আর কে! ২০ রানে ৫ উইকেট, সঙ্গে হ্যাটট্রিক। দলে ফিরেই ম্যাচসেরা তুশারা।

সিরিজসেরা মেন্ডিস

৩ ম্যাচে ১৮১ রান, আজ ৮৬ রানের ইনিংস। সিরিজসেরা হয়েছেন কুশল মেন্ডিস।