একটি উইকেট নিতে পারলেই হতো। শাহিন শাহ আফ্রিদি উইকেট নিলেন দুটি। ৪ ওভারে ৪৮ রান দিয়ে তাঁর নেওয়া এই ২ উইকেট ম্যাচে তেমন কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি। সিরিজের পঞ্চম ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাকিস্তানকে জেতাতেও পারেননি শাহিন আফ্রিদি।
কিন্তু এই ২ উইকেট পাওয়ার পথে একটি মাইলফলক ছুঁয়েছেন আফ্রিদি। ইনিংসের প্রথম বলে নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক টম ল্যাথামকে শাদাব খানের ক্যাচ বানিয়ে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে ২০০তম উইকেটটি পেয়েছেন পাকিস্তানের ফাস্ট বোলার। এরপর উইল ইয়াংকে আউট করে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে নিজের উইকেটসংখ্যা ২০১-এ নিয়ে গেছেন আফ্রিদি।
মাইলফলকটি ছুঁয়ে দুটি রেকর্ডও গড়েছেন পাকিস্তানের ২৩ বছর বয়সী ফাস্ট বোলার আফ্রিদি। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে ফাস্ট বোলারদের মধ্যে ২০০ উইকেট নেওয়ায় তিনিই দ্রুততম ও সর্বকনিষ্ঠ। আফ্রিদির এই মাইলফলক ছুঁতে লেগেছে ১৪৩ ম্যাচ। তাঁর আগে ফাস্ট বোলারদের মধ্যে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম ২০০ উইকেট ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার কাগিসো রাবাদার। ২০০ উইকেট পেতে তিনি খেলেছেন ১৪৬ ম্যাচ।
সব মিলিয়ে ২০০ উইকেটে দ্রুততম রশিদ খান। আফগানিস্তানের লেগ স্পিনার স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে ২০০ উইকেট নিতে খেলেছেন ১৩৪ ম্যাচ। এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে পাকিস্তানের সাবেক স্পিনার সাঈদ আজমল। ২০০ উইকেট পেতে তাঁর লেগেছে ১৩৯ ম্যাচ।
এই তালিকায় তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে আছেন যথাক্রমে শাহিন আফ্রিদি ও রাবাদা। ১৪৭ ম্যাচে ২০০ উইকেট নিয়ে তালিকার পঞ্চম স্থানে আছেন পাকিস্তানের সাবেক ফাস্ট বোলার উমর গুল।