সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেছেন হেরাথ
সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেছেন হেরাথ

এবার আর ভারতের মতো হবে না, মনে করেন হেরাথ

সর্বশেষ যখন চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে খেলেছিল বাংলাদেশ, বোলারদের ওপর দিয়ে বয়ে গিয়েছিল বড় একটা ঝড়। ঈশান কিষানেডাবল সেঞ্চুরিতে ভারত তুলেছিল ৪০৯ রান।

সেটিও ছিল সিরিজের শেষ ম্যাচ, অবশ্য সে ম্যাচে বাংলাদেশ এসেছিল সিরিজ জিতেই। এবার সামনে ইংল্যান্ড, বড় স্কোরের জন্য সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে ‘ধারাবাহিক’ দল যারা।

২০১৫ সালের বিশ্বকাপের পর থেকে সবচেয়ে বেশি ৫ বার ৪০০ রানের স্কোর ইংল্যান্ডের, যেখানে আর সব দল মিলিয়ে এমন স্কোর গড়েছে মাত্র দুবার। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি ৩৫০ রানের স্কোরও ইংল্যান্ডেরই—১৫ বার। ইংল্যান্ড আগে ব্যাটিং করতে পারলে আরেকটি ঝড়ের সম্ভাবনা থাকছেই।

ডাবল সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন ঈশান কিষান

অবশ্য বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথ বলছেন, ভারতের সঙ্গে ওই ম্যাচের উইকেটের চেয়ে এবারেরটি ভিন্ন। পেসার ও স্পিনার—দুই ধরনের বোলারই এখানে ব্যাটসম্যানদের জন্য চ্যালেঞ্জ ছুড়বেন বলেও মনে করেন সাবেক এই বাঁহাতি স্পিনার।

সিরিজের শেষ ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে ভারতের বিপক্ষে ওই ম্যাচের কথা মনে করিয়ে দেওয়া হলে হেরাথ বলেছেন, ‘ভিন্ন একটা উইকেট, ফলে এ পিচে একই ঘটনা ঘটবে বলে মনে করছি না। আমরা দলের সেরাটা বের করে আনার চেষ্টা করছি। অবশ্য তুলনামূলকভাবে মিরপুরে স্পিনারদের জন্য বেশি সহায়তা ছিল।’

অনুশীলনে স্পিনারদের নিয়ে কাজ করেছেন হেরাথ

চট্টগ্রামের উইকেট কেমন হতে যাচ্ছে, সে সম্বন্ধেও একটা ধারণা দিয়েছেন হেরাথ, ‘স্পিনার ও পেসার—সবাই চ্যালেঞ্জ জানাবে। পিচ একটু শুষ্ক মনে হচ্ছে, ফলে পেসারদের দিক থেকে চ্যালেঞ্জ থাকবে। স্পিনারদের ক্ষেত্রেও। ব্যাটার হিসেবে আমাদের সে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে, সে অনুযায়ী খেলতে হবে।’

মিরপুরে প্রথম দুই ম্যাচে ছিল দুটি ভিন্ন ধরনের উইকেট। সেগুলোর ধরন অনুযায়ী নিজেদের খেলার ধরনও বদলেছে ইংল্যান্ড, ডেভিড ম্যালান ও জেসন রয় করেছেন দুই ধরনের সেঞ্চুরি। সর্বশেষ ম্যাচে ইংল্যান্ড গড়েছে ৩২৬ রানের স্কোর।

ইংল্যান্ডকে বড় স্কোর গড়া থেকে আটকাতে রক্ষণাত্মক হওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন হেরাথ, ‘প্রথম ম্যাচে তাইজুল (ইসলাম), মেহেদী হাসান (মিরাজ) ও সাকিব (আল হাসান) দারুণ বোলিং করেছে। তবে ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ম্যাচে বেশ ভালো ব্যাটিং করেছে। ব্যাটারদের এভাবে রান করা থেকে আটকানোর উপায় বের করতে হবে আমাদের। মাঝেমধ্যে আপনার এত বেশি আক্রমণের দরকার নেই। আপনি রক্ষণাত্মক হতে পারেন। মাঝেমধ্যে রক্ষণাত্মক উপায়ও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে। এসব বিষয় আমাদের বুঝতে হবে।’