বাংলাদেশের মার্কশিট

মুশফিক ৬, আফিফ ১

আগের দিন ব্যাটসম্যানরা শুরুতে ব্যর্থ, কাল বোলাররা একইভাবে ব্যর্থ। টসে জিতে এমন উইকেটে ব্যাটিং নিলেই হয়তো বেশি কাজে আসত।

মোহাম্মদ নাঈম: ২/১০

যে রান তাড়া করছিল দল, তার ইন্টেন্টটা দেখা যায়নি শরীরী ভাষা বা ফুটওয়ার্কে। বেশ কিছুদিন পর দলে ফিরেছে বলে হয়তো একটু ছাড় পেতেই পারে। তবে পারফরম্যান্স অনুযায়ী ২-এর বেশি দেওয়ার সুযোগ নেই।

লিটন দাস: ৩/১০

আরেকটু সময় ক্রিজে থাকার ভাবনা থাকা উচিত ছিল। ওদের বোলিং আক্রমণ মাথায় রেখে অতি-আক্রমণাত্মক হওয়াটা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়। প্রথম ১০ ওভারে বিনা উইকেটে ৬০-৬৫ রান করলে সুযোগ থাকত। আর অধিনায়কত্বেও উদ্ভাবনী কিছু আলাদা করে চোখে পড়েনি। তবে ব্যাটিংয়ের ইন্টেন্টের জন্য নাঈমের চেয়ে ১ বেশি পাবে।

নাজমুল হোসেন: ১/১০

ভালো বলে আউট হয়েছে, তবে মুজিবকে নিয়ে হোমওয়ার্কটা বোধ হয় করেনি। নাহলে বেরিয়ে যাওয়া একটা বলে ওভাবে আড়াআড়ি খেলত না। সোজা খেলত।

তাওহিদ হৃদয়: ৪/১০

চেষ্টা করেছে প্রথম ম্যাচের মতো পুনর্গঠনের। আত্মবিশ্বাসী মনে হয়েছে। রশিদের অমন গুগলি ধরতে পারেনি একেবারেই। তবে ইনিংসে অ্যাপ্লিকেশনটা ভালো ছিল। এ কারণে তাকে ৪ দেব।

সাকিব আল হাসান: ৫/১০

তার সামর্থ্য ও অভিজ্ঞতা অনুযায়ী আরেকটু বড় ইনিংস আশা করি অমন পরিস্থিতি থেকে। বোলিংয়ে অন্যদের চেয়ে তুলনামূলক ভালো করেছে, গুরুত্বপূর্ণ ব্রেকথ্রু দিয়েছিল। এর আগেও দু-একটি সুযোগ তৈরি করেছিল।

এটা মুশফিকের কম্প্রোমাইজড একটা ইনিংস।

মুশফিকুর রহিম: ৬/১০

অন্য কোনো ম্যাচে তার ইনিংসের কারণে আরেকটু বেশি পেত। তবে এমন পরিস্থিতিতে পড়ে গেছে, ওর ইনিংস শুধু পরাজয়ের ব্যবধানটাই কমিয়েছে। ওর নজরও সেদিকেই ছিল। এটা ওর কম্প্রোমাইজড একটা ইনিংস।

আফিফ হোসেন: ১/১০

সময়টা ভালো যাচ্ছে না ওর। ঘরোয়াতে ভালো করে আসার পরও দুই ম্যাচেই ব্যর্থ। উইকেটে সময় কাটাতে পারেনি দুঃখজনকভাবে।

মেহেদী হাসান মিরাজ: ৫/১০

বোলিংয়েও খুব একটা খারাপ করেনি। ব্যাটিংয়েও চেষ্টা করেছে সে সময় মুশফিকের সঙ্গে। ব্যাটিং-বোলিং মিলিয়ে ৫ পেতেই পারে।

ইবাদত মাঝে মাঝেই অতি-আক্রমণাত্মক বোলিংয়ের চেষ্টা করেছে

হাসান মাহমুদ: ৪/১০

কার্যকর ইয়র্কার বা বাউন্সারের চেষ্টা করে সাধারণত হাসান। এ ম্যাচেও করেছে, তবে দারুণ ওই জুটির পর তেমন কিছু করতে পারেনি এ দিন। তাকে ৪ দেব।

মোস্তাফিজুর রহমান: ৪/১০

নতুন বলে সুইং করাবে, ব্যাটসম্যানদের পরাস্ত করবে—সে আশা এ ম্যাচেও পূর্ণ করতে পারেনি মোস্তাফিজ।

ইবাদত হোসেন: ৩.৫/১০

জুটি যখন বেশ ভালোভাবে এগোচ্ছে, তখন রান একটু আটকানোর বদলে অতি-আক্রমণাত্মক বোলিংয়ের চেষ্টা করেছে। দু-একটা ওভার ভালোও করেছে। বোলারদের মধ্যে তাকে সর্বনিম্ন দেব।