সিলেটের পক্ষে ৪৮ বলে সর্বোচ্চ ৭৪ রান করেছেন মুশফিক
সিলেটের পক্ষে ৪৮ বলে সর্বোচ্চ ৭৪ রান করেছেন মুশফিক

সিলেট ২০০ রান না করায় 'খুবই আশ্চর্য' সালাউদ্দিন

ইনিংসের প্রথম বলে ওভার থ্রো থেকে চার, ওই ওভারের শেষ বলে আবার ওভার থ্রো। এরপর একের পর এক ক্যাচ পড়েছে, হয়েছে মিস ফিল্ডিং। তখন যে কেউ বলতে পারতেন, ফাইনালের দিনটা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের নয়। কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনেরও মনে হয়েছিল এমন। তবে সিলেট স্ট্রাইকার্স অমন সুযোগ পেয়েও ১৭৫ রানের বেশি করতে পারেনি, এরপর থেকেই নিজেদের আত্মবিশ্বাস ফিরে পায় কুমিল্লা। টানা দ্বিতীয় ফাইনাল জেতার পর সংবাদ সম্মেলনে এসে এমনই বলেছেন সালাউদ্দিন। সিলেট ২০০ রান না করতে পারায় আশ্চর্যও হয়েছেন তিনি। অন্যদিকে টানা তিন ম্যাচ হেরে টুর্নামেন্ট শুরু করলেও শিরোপা জেতার আত্মবিশ্বাস ছিল, জানিয়েছেন অধিনায়ক ইমরুল কায়েস।

ফিল্ডিংয়ে বেশ বাজে একটা দিনই ফাইনালে কাটিয়েছে কুমিল্লা। পড়েছে চারটি ক্যাচ, ওভার থ্রো থেকে দুটি চার ছাড়াও আরও দুটি চার হয়েছে পিচ্ছিল ফিল্ডিংয়ে। সে সময় আত্মবিশ্বাস নড়বড়ে হয়ে পড়েছিল সালাউদ্দিনের, ‘আজকে যেভাবে ফিল্ডিং করেছি, তাতে মনে হয়েছে দিনটা আমাদের নয়। খুবই বাজে ফিল্ডিং করেছি আমরা।’

এভাবেই ক্যাচ মিসের মহড়া দিয়েছে কুমিল্লা

এমন ফিল্ডিংয়ের পর সিলেটের আরও বড় স্কোর গড়া উচিৎ ছিল বলেও মনে করেন তিনি, ‘উইকেটটাও ভালো ছিল। আমার মনে হয়েছে তারা ব্যাটিং খারাপ করেছে। ২০০ রান করার সুযোগ ছিল। যেভাবে মিসফিল্ড করছিলাম, তাতে তাদের ২০০ না করাতে খুবই আশ্চর্য হয়েছি। তবে স্কোর যখন ১৮০-এর মধ্যে ছিল, তখন মনে হয়েছে জিততে পারব।’

এর আগে বিপিএলের ফাইনালে কখনোই এত রান তাড়া করে জেতেনি কোনো দল। অবশ্য ফাইনালে এর আগের যে রেকর্ড রান তাড়া, সেটিও ছিল কুমিল্লারই। এবার সালাউদ্দিন আত্মবিশ্বাস পেয়েছেন নিজেদের ব্যাটিং লাইনআপ ও সিলেটের বোলিং লাইনআপের দিকে তাকিয়েই, ‘তাদের যে বোলিং কৌশল, সেটা আমাদের সঙ্গে যায়। তাদের চারটা পেস বোলার, একটা স্পিনার, (আত্মবিশ্বাস ছিল) আমরা ম্যাচ বের করতে পারব।’

শেষ ৪ ওভারেও কুমিল্লার প্রয়োজন ছিল ৫২ রান। তবে তখনো আত্মবিশ্বাস হারাননি সালাউদ্দিন, ‘আমরা জানি যে (জনসন) চার্লস আছে, মঈন আলী আছে, (আন্দ্রে) রাসেল আছে, তাদের বোলিং অপশনও শেষ হয়ে গেছে। তখন তাদের আর কিছু করার নেই। এক (লুক) উডের একটা ওভারে ৬-৭ বের করতে পারলেও বাকি ওভারগুলোতে ৫০ রান করতে পারব, এই বিশ্বাস ছিল।’

বিপিএলের ট্রফি নিয়ে কুমিল্লার খেলোয়াড়দের উচ্ছ্বাস

ফাইনালের শুরুতে নিজেদের আত্মবিশ্বাস নড়বড়ে হলেও টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার বিশ্বাসটা ছিল কুমিল্লার। প্রথম তিন ম্যাচে টানা হারা দলটিই শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে টানা ১১টি ম্যাচে জিতে। বিপিএলে টানা জয়ের রেকর্ড আগেই ভেঙে দিয়েছে তারা। পরের মৌসুমে প্রথম ম্যাচ জিততে পারলে ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি লিগগুলোতে টানা জয়ের রেকর্ডে যৌথভাবে দুইয়ে উঠে আসবে কুমিল্লা।

এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো অধিনায়ক হিসেবে বিপিএলের শিরোপা জিতলেন ইমরুল কায়েস। চারটি শিরোপা জেতা মাশরাফি বিন মুর্তজার সঙ্গে দূরত্ব আরেকটু কমে এলো তাঁর। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসের কথাই আরেকবার জানালেন তিনি, ‘কুমিল্লার হয়ে খেলার ক্ষেত্রে অন্য অনুভূতি কাজ করে। আমরা রানার্সআপ হওয়ার জন্য কাজ করি না। প্রথম তিনটা ম্যাচ হারার পরও অনেকে অনেক কথা বলেছে, করতে পারব না বা এমন কিছু। কিন্তু বিশ্বাসটা ছিল।’