অস্ট্রেলিয়া সফরের শুরুতেই স্বাগতিক কোনো ব্যাটসম্যানের বিপক্ষে ‘অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড’ আউটের আবেদন করাটা ‘ঝুঁকি হয়ে’ যেত বলে ম্যাথু ওয়েডকে আউট করার সুযোগ ‘হাতছাড়া’ করেছেন জস বাটলাররা। আজ পার্থের অপটাস স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ঘটেছে ওই ঘটনা।
ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে ২০৮ রান তাড়ায় ব্যাটিং করছিল অস্ট্রেলিয়া। ১৭তম ওভারের তৃতীয় বলে মার্ক উডের বাউন্সারে ব্যাট চালিয়েছিলেন তখন ০ রানে ব্যাটিং করা ওয়েড। ব্যাটের কানায় লাগার পর ওয়েডের হেলমেটে লেগে ওপরে ওঠে বল।
ক্যাচের জন্য ছুটতে থাকা উডকে থেমে যেতে হয় ওয়েডের দেওয়া ‘বাধায়’। ততক্ষণে ক্রিজের বাইরে থাকা ওয়েড শুরুতে যেন বুঝেই উঠতে পারেননি, বল কোথায় গেছে বা তিনি কোথায় আছেন।
এরপর যখন দেখেছেন ক্রিজের বাইরে, ফেরার চেষ্টা করেন তিনি। তবে সে সময় নিজের হাত প্রসারিত করেন ওয়েড, দেখে মনে হয়েছে উডকে আটকাচ্ছেন। এরপর ডাইভ দেন ক্রিজে ফিরতে।
‘বাধা’ পেয়ে থেমে যান উডও। ওদিক থেকে ক্যাচের কাছে সময়মতো পৌঁছাতে পারেননি উইকেটকিপার ও অধিনায়ক বাটলারও।
ওয়েডের এমন কাণ্ডের পর আম্পায়ারের দিকে তাকিয়ে হতাশা প্রকাশ করতে দেখা গেছে উড-বাটলারকে।
ক্রিকেট আইনের ৩৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী, ক্রিজের কোনো ব্যাটসম্যান ক্যাচ নেওয়ার ক্ষেত্রে বাধা দিলে তিনি অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড আউটের জন্য বিবেচ্য হবেন।
তবে ম্যাচ শেষে বাটলার জানিয়েছেন, সুযোগ থাকলেও ওই সময় ওয়েডকে অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড আউটের আবেদন করেননি তাঁরা।
এর ব্যাখ্যা হিসেবে বলেছেন, ‘আমি আসলে পুরোটা সময় বলের দিকে তাকিয়ে ছিলাম, তাই কী ঘটেছে সে ব্যাপারে পুরো নিশ্চিত ছিলাম না। তারা আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিল, আবেদন করতে চাই কি না। কিন্তু আমার মনে হলো, অস্ট্রেলিয়ায় বেশ লম্বা সময় থাকব। সফরের শুরুতেই এমন করাটা ঝুঁকি হয়ে যাবে।’
বাটলার যে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী অস্ট্রেলিয়া ও ওই দলের সমর্থকদের দিকে ইঙ্গিত করেছেন, সেটি নিশ্চিতই। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ডাউন আন্ডারে ইংল্যান্ড গেছে আগেভাগেই। তাদের সফর শুরু হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিন ম্যাচের এই সিরিজ দিয়ে।
ওয়েডের ওই কাণ্ড অবশ্য ম্যাচের ফলে তেমন পার্থক্য গড়তে পারেনি। ২০৮ রান তাড়ায় অস্ট্রেলিয়া থেমেছে ২০০ রানেই, শেষ ওভারে গিয়ে ১৫ বলে ২১ রান করে আউট হয়েছেন ওয়েড।
অবশ্য আজকের এ ঘটনা বিশ্বকাপের কোনো ম্যাচে হলে আউটের আবেদন করতেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে বাটলার বলেছেন, ‘হয়তো করতাম!’