ব্যাটসম্যান সাকিব আল হাসানকে নিয়ে দুশ্চিন্তার যথেষ্ট কারণ আছে বাংলাদেশ দলের ম্যানেজমেন্টের। লাল বলের ক্রিকেটে সর্বশেষ সেঞ্চুরি করেছেন সাত বছর আগে। সেঞ্চুরি না পেলেও এরপর কার্যকর কিছু ইনিংস খেলেছেন। তবে বেশ কিছুদিন ধরে সেটাও পারছেন না সাকিব।
সাম্প্রতিক সময়ে টেস্টে বড় ইনিংস বলতে গত বছরের এপ্রিলে মিরপুরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৮৭ রান। এরপর গত মার্চে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্ট এবং সর্বশেষ পাকিস্তান সফরের দুই টেস্টেও ব্যাটিংটা মনমতো হয়নি এই বাঁহাতির। তবে ভারত সফরে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন সাকিবকে অলরাউন্ডার রূপেই দেখতে চান।
টেস্টে রান না পাওয়া সাকিব সারের হয়ে ইংলিশ কাউন্টিতে একটি ম্যাচ খেলতে পাকিস্তান থেকে উড়ে গিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের টন্টনে। সমারসেটের বিপক্ষে সেই ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং করে দুই ইনিংস মিলিয়ে নিয়েছেন ৯ উইকেট, প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেটের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট। তবে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন দুই ইনিংসেই। প্রথম ইনিংসে ১২ রানে আউটের পর দ্বিতীয় ইনিংসে কোনো রানই পাননি।
নাজমুল যদিও সাকিবের প্রস্তুতিতে সন্তুষ্ট, ‘আগে যা প্রত্যাশা করতাম, তা–ই করছি। প্রস্তুতি ওনার (সাকিবের) ভালোই হয়েছে, বোলিংটা। যদিও ব্যাটিংয়ে রান করতে পারেননি। কিন্তু প্রস্তুতি ভালো হয়েছে ওনার। এই সিরিজে আশা করি ভালো করবেন।’
প্রশ্ন আছে অধিনায়ক নাজমুলের ব্যাটিং নিয়েও। নাজমুলের টেস্টে সব মিলিয়ে অধিনায়ক হিসেবে গড় মাত্র ২৩.২৭। ৬ টেস্টে ১১ ইনিংসে মোট রান করেছেন ২৫৬। পূর্ণ মেয়াদে দায়িত্ব পাওয়ার পর তো পরিসংখ্যান আরও খারাপ। ৪ টেস্টে ৭ ইনিংসে মোট রান ৯০।
সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটা খেলেছেন রাওয়ালপিন্ডিতে, পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৮। পাকিস্তান সিরিজের আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৪ ইনিংস মিলিয়ে ছিল মাত্র ৩২ রান।
ভারত সফরের আগে নাজমুল নিজের ব্যাপারে শুনিয়েছেন আশার কথা, ‘আমার ব্যক্তিগত লক্ষ্য বাংলাদেশ দল জিতুক। ব্যাটার হিসেবে দলে যেন অবদান রাখতে পারি। ওটার জন্য যে প্রস্তুতি নেওয়ার দরকার ছিল, আলহামদুলিল্লাহ নিতে পেরেছি। বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা। আমি দলে অবদান রাখার সর্বোচ্চটা চেষ্টা করব।’