মোহাম্মদ আমির ও বাবর আজম
মোহাম্মদ আমির ও বাবর আজম

আমিরের কাঠগড়ায় অধিনায়ক বাবর

বিশ্বকাপে লিগ পর্ব থেকেই বাড়ি ফিরে গেছে পাকিস্তান। দল সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে না পারার হতাশা যেন শেষই হচ্ছে না পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার ও সমর্থকদের। কেউ কেউ ভবিষ্যতের দল কেমন হতে পারে এবং কোথায় পাকিস্তানকে আরও উন্নতি করতে হবে, সেসব নিয়েও পরামর্শ দিচ্ছেন।

বিশ্বকাপের শুরু থেকেই পাকিস্তানের পারফরম্যান্স নিয়ে সরব থাকা সাবেক পেসার মোহাম্মদ আমির আবার কথা বলেছেন দল নিয়ে। অনেকে পাকিস্তান ক্রিকেটের সিস্টেমে সমস্যা দেখলেও আমির সেভাবে দেখছেন না। তাঁর অভিযোগের তির মূলত অধিনায়ক বাবর আজমের দিকে। বলেছেন, পাকিস্তানকে উন্নতি করতে হলে অধিনায়কের মানসিকতাতেই আগে পরিবর্তন আনতে হবে।

জিও নিউজে ‘হারনা মানা হ্যায়’ নামে এক টক শোতে আমির আঙুল তুলেছেন অধিনায়ক বাবরের দিকে। তিনি বলেছেন, ‘আমরা বলছি সিস্টেম ঠিক করতে হবে। সিস্টেমকে বদলাতে হবে, অধিনায়ক বদলালে হবে না। উদাহরণ দেওয়া যাক। ১৯৯২ সালে ইমরান খানের নেতৃত্বে আমরা বিশ্বকাপ জিতেছি, এই সিস্টেমই কিন্তু ছিল। ১৯৯৯ সালে আমরা ফাইনালে খেলেছি, তখনো একই সিস্টেম ছিল। এরপর আমরা ২০০৯ সালে একই সিস্টেম নিয়ে বিশ্বকাপ জিতলাম। একইভাবে ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিও জিতেছি। এতে কী প্রমাণিত হয়? একই সিস্টেম অনেক দিন ধরে চলে আসছে। তাই অধিনায়কই হচ্ছে আসল ব্যাপার। অধিনায়ককে সিস্টেম থেকে আলাদা করবেন না। এই অধিনায়কই চার বছর ধরে নেতৃত্ব দিচ্ছে। সে–ই নিজের মনমতো এই দল তৈরি করেছে।’

এমন হতাশায় কেটেছে বাবর আজমের বিশ্বকাপ

এরপর ইংল্যান্ড ও বাটলারকে উদাহরণ হিসেবে টেনে এনে আমির বলেছেন, ‘বাটলার কোন সিস্টেমের অংশ? ইংল্যান্ডের। ইংল্যান্ড কেন খারাপ খেলেছে এই বিশ্বকাপে? তাদের কি সিস্টেম বদলানোর দরকার আছে? আগের বিশ্বকাপে অধিনায়ক ছিল মরগান। ২০১৫ সালের পর সে নেতৃত্বে আসে। সে বলেছিল, সে তার মতো করে দল চালাবে। সে তার প্রয়োজনীয় খেলোয়াড় নিয়েই দল গঠন করেছে। চার বছর অধিনায়কত্ব করে সে দলকে বিশ্বকাপ জিতিয়েছে। সিস্টেম বদলায়নি, অধিনায়কের মানসিকতা বদলেছে। সিস্টেম কিন্তু আগেরটাই আছে।’

অধিনায়ক কীভাবে দলকে বদলে দিতে পারেন, আমির সেটা উদাহরণ দিয়ে দেখান এভাবে, ‘ইংল্যান্ড দুই বছর ধরে টেস্ট ক্রিকেটে সংগ্রাম করছিল। জো রুট অধিনায়ক ছিল। সিস্টেম একই আছে কিন্তু ইংল্যান্ড টেস্ট ক্রিকেট বদলে গেছে। বেন স্টোকসই খেলার ধরন বদলে দিয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত অধিনায়কের মানসিকতা বদলাবে না, সিস্টেম কিছুই করতে পারবে না। সিস্টেম কি তাকে বলেছে আবরার আহমেদকে না খেলাতে কিংবা প্রথম ম্যাচের পর ফখরকে বসিয়ে রাখতে কে বলেছে।’

২০০৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাঁর দলভুক্তির কথাও সামনে আনেন আমির, ‘আমাকে তখন নেওয়া হচ্ছিল না। অধিনায়ক ইউনিস খান আমার জন্য লড়েছে। প্রধান নির্বাচক বলেছে সে তরুণ এবং অনভিজ্ঞ। কিন্তু অধিনায়ক আমার জন্য লড়াই করেছে।’ এরপর আমির বলেছেন ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের কথা, ‘ব্যাকস্পাজমের কারণে আমি সেমিফাইনালে ছিলাম না। রুম্মান রইস খেলেছে এবং ভালো করেছিল। ফাইনালে সাইফি (সরফরাজ আহমেদ) বলেছে, না আমির খেলবে, সে আমাদের প্রধান বোলার। সে ফিট এবং ফাইনালে খেলবে।’