এক সময়ের জমজমাট ওয়ানডে ক্রিকেটকেই এখন একঘেয়ে লাগছে ওয়াসিম আকরামের
এক সময়ের জমজমাট ওয়ানডে ক্রিকেটকেই এখন একঘেয়ে লাগছে ওয়াসিম আকরামের

ওয়ানডে ক্রিকেটকে ‘একঘেয়ে’ ‘ক্লান্তিকর’ বললেন ওয়াসিম আকরাম

টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটের উন্মাদনার যুগে ৫০ ওভারের ক্রিকেট প্রাসঙ্গিকতা হারাবে কি না, এ নিয়ে টুকটাক কথাবার্তা যে আগে হয়নি, ব্যাপারটা এমন নয়। কিন্তু সেটি এমন প্রকাশ্যে আগে কখনো হয়েছে কি না, সেটা একটা বিষয়। বেশ কিছুদিন ধরেই ওয়ানডে ক্রিকেট নিয়ে মুখ খোলা শুরু করেছেন সাবেক ও বর্তমান তারকারা। ক্রিকেটের এই সংস্করণ নিয়ে তাঁরা বেশ বিরক্ত। তবে সম্প্রতি ইংল্যান্ডের টেস্ট অধিনায়ক বেন স্টোকস ওয়ানডে থেকে সরে দাঁড়ানোর পর এটি নিয়ে নতুন করে আলোচনা এখন তুঙ্গে। ওয়াসিম আকরাম, রবি শাস্ত্রীরা তো ওয়ানডে ক্রিকেট বিলুপ্ত করে দেওয়ার পক্ষেই মত দিয়েছেন।

কিছুদিন আগে ভারতীয় অফ স্পিনার অশ্বিন বলেছিলেন, টেলিভিশনে ওয়ানডে ক্রিকেট হলে তিনি সেটি দেখেন না। তারও আগে সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার ও বর্তমানের বিশ্লেষক আকাশ চোপড়া এর প্রাসঙ্গিকতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছিলেন। রবি শাস্ত্রী ও ওয়াসিম আকরাম এটি বন্ধ করে দেওয়ারই পক্ষে। পাকিস্তানের কিংবদন্তি ফাস্ট বোলার মনে করেন, ক্রিকেটে এখন দুটি সংস্করণ থাকলেই চলবে—টেস্ট ও টি–টোয়েন্টি। তিনি ওয়ানডে ক্রিকেটকে ‘অর্থহীন’ও বলেছেন।

ওয়ানডে ক্রিকেটকে অর্থহিন মনে হচ্ছে অনেকেরই

ওয়াসিম আকরাম ব্রিটিশ দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফের ‘ভনি অ্যান্ড টাফার্স (সাবেক ইংলিশ ক্রিকেটার মাইকেল ভন ও ফিল টাফনেল এটি পরিচালনা করেন) ক্রিকেট ক্লাব পডকাস্টে আলোচনায় এর চরম বিরোধিতাই করেছেন। এই ‘ওয়ানডে ক্রিকেটটা ক্রিকেটারদের জন্য খুব ক্লান্তিকর হয়ে পড়েছে। টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটের এই যুগে মনে হচ্ছে ওয়ানডে ক্রিকেট অতীত যুগের ব্যাপার। ক্রিকেটাররা এখন টেস্ট আর টি–টোয়েন্টি সংস্করণেই বেশি মনোযোগ দিচ্ছে। ওয়ানডে ক্রিকেট আমার মতে বিলুপ্তির পথেই।’

টি–টোয়েন্টির যুগে ওয়ানডে ক্রিকেটকে ধারাভাষ্যকারদের জন্যও ক্লান্তিকর মনে করেন ওয়াসিম আকরাম, ‘ধারাভাষ্যকারদের জন্যও ওয়ানডে ক্রিকেটও এখন একটা বোঝা। ৫০–৫০, ১০০ ওভারের খেলা। এর আগে প্রি ম্যাচ, পোস্ট ম্যাচ, লাঞ্চ সেশন!

ওয়ানডে ক্রিকেটটা এখন হতে হবে দেখেই হচ্ছে বলে মনে করেন আকরাম, ‘ওয়ানডে ক্রিকেট এখন আয়োজন করতে হবে দেখেই করা হচ্ছে। আমার কাছে মনে হয় ওয়ানডের প্রথম ১০ ওভার ঠিক আছে। এরপর বলে বলে রান রান নেওয়া, একটি–দুটি বাউন্ডারি মারা, চারজন ফিল্ডার সার্কেলের মধ্যে রাখা। আর ব্যাটিং দলের ৪০ ওভারে ২০০, ২২০ রান করা। শেষ ১০ ওভারে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং। পুরোটাই একঘেয়ে একটা ব্যাপার।’