আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলা চালিয়ে যাবেন কি না, সে ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কিছু জানাননি কুইন্টন ডি কক। তবে এই উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান এ সংস্করণে খেলা চালিয়ে যাবেন, এমন আশা দক্ষিণ আফ্রিকার।
২০২১ সালে টেস্ট এবং গত বছরের বিশ্বকাপ দিয়ে ওয়ানডেকে বিদায় বলেন ডি কক। এবারের বিশ্বকাপ দিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিও ছেড়ে দেবেন, ভাবা হচ্ছিল এমন। তবে এখন পর্যন্ত সে ঘোষণা দেননি সামনের ডিসেম্বরে ৩২ পূর্ণ করতে চলা ডি কক।
অবশ্য তাঁর খেলা চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে ‘ক্ষীণ’ আশা দেখছেন দক্ষিণ আফ্রিকার সীমিত ওভারের কোচ রব ওয়াল্টার। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতের কাছে ৭ রানে হারের পর দেশে ফিরে ওয়াল্টার বলেন, ‘কুইনির (ডি কক) ব্যাপারটি বোঝা দায়। সে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় বলেনি। তবে দূরে আমাদের জন্য ক্ষীণ আশা আছে।’
সাতবার সেমিফাইনালে আটকে যাওয়ার পর এবারই প্রথম কোনো বিশ্বকাপের ফাইনালে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ব্রিজটাউনে ফাইনাল ম্যাচটিও জেতার পথেই ছিল তারা, তবে শেষ ৩০ বলে ৩০ রানের সমীকরণ মেলাতে পারেনি দলটি।
আরও অনেকের মতো ডি ককেরও যে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে, ওয়াল্টার বলেছেন সেটি, ‘কুইনি বেশ উঁচু একটা মান ধরে রাখে এবং অনেক দিন ধরে একটা বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন দেখে এসেছে। অনেকগুলো ইনিংস খেলেছে, শুধু ফাইনালেরটিই নয়। দেখে থাকবেন, সে বেশ আবেগপ্রবণ ছিল। আমরা আবার তাকে দেখব কি না, সময়ই বলবে।’
দক্ষিণ আফ্রিকার পরের টি-টোয়েন্টি সিরিজ আগামী মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। তবে সেখানে ডি কককে না দেখা গেলেই যে তাঁর শেষ ধরে নিতে হবে, ব্যাপারটি এমন নয়। দক্ষিণ আফ্রিকার কেন্দ্রীয় চুক্তিতে তিনি এমনিতেও নেই। আর টুর্নামেন্টের আগে এমন চুক্তির বাইরে থাকা খেলোয়াড়দের দলে নেওয়ার ব্যাপারেও দক্ষিণ আফ্রিকা এখন আগের চেয়ে বেশ নমনীয়।
ফলে ২০২৬ সালে পরের বিশ্বকাপ পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি লিগগুলোতে খেলা চালিয়ে গেলে ডি কককে পাওয়ার আশা করতেই পারে দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে এ প্রসঙ্গে ডি ককের সঙ্গে কোনো কথা হয়নি ওয়াল্টারের, ‘আমার তার সঙ্গে কোনো আলোচনাই হয়নি। ফাইনালের পর এমন কথা বলার উপযুক্ত সময়ও ছিল না। ফলে এ ব্যাপারে আপনাদের (সাংবাদিকদের) মতো আমিও পরিষ্কার কিছু জানি না।’
২০২৭ সালে পরবর্তী ওয়ানডে বিশ্বকাপটি দক্ষিণ আফ্রিকার নিজেদের মাটিতে। সেটিকে সামনে রেখে এ সংস্করণে অবসর ভেঙে ডি কক ফিরবেন কি না, সে আলোচনাও আছে। সেটি করতে গেলে আগামী বছর চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে তাঁর খেলা গুরুত্বপূর্ণ। দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় দল এখন পর্যন্ত একটি ট্রফিই জিতেছে, সেটি এসেছিল ১৯৯৮ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রথম আসরেই।
এ টুর্নামেন্ট প্রসঙ্গে ওয়াল্টার বলেন, ‘আমার মনে হয়, লোকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি কতটা কঠিন, সেটি খাটো করে দেখে। আমার কাছে অন্য টুর্নামেন্টগুলোর মতোই কঠিন এটি। আশা করি, দল হিসেবে আমরা সমৃদ্ধ হতে থাকব এবং এমন একটা অবস্থানে থাকব, যেখান থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে পারি। গত বছর ৫০ ওভারের বিশ্বকাপের পর আমি বলেছিলাম, আমার বিশ্বাস, (ওই) সেমিফাইনাল আমাদের প্রথম (দ্বিতীয়) বৈশ্বিক ট্রফি জয়ের প্রভাবক হবে। আমার ওই কথা বদলায়নি। এখন আমাদের বিশ্বাস বরং আরও দৃঢ় হয়েছে।’