নিউইয়র্কের মাঠ দেখে বিস্মিত নাজমুল
নিউইয়র্কের মাঠ দেখে বিস্মিত নাজমুল

নিউইয়র্কের স্টেডিয়াম এমন হবে, আশাই করেননি নাজমুল

নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়াম দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন। সেখানে এমন স্থাপনা দেখবেন, এমন প্রত্যাশা ছিল না বলেও জানিয়েছেন নাজমুল।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রে খেলা হবে তিনটি ভেন্যুতে—নিউইয়র্ক, ডালাস ও ফ্লোরিডা। এর মধ্যে নিউইয়র্কের স্টেডিয়ামটিকে বলা হচ্ছে ক্রিকেটের প্রথম ‘মডিউলার’ বা অস্থায়ী স্টেডিয়াম।

পপুলাস নামের একটি কোম্পানির ডিজাইন করা অস্থায়ী গ্যালারিতে বসে খেলা দেখতে পারবেন প্রায় ৩৪ হাজার দর্শক। মেজর লিগ বেসবল ও ইন্টার মায়ামি ফুটবল দলের কাজ করা ল্যান্ডটেক গ্রুপের কাছ থেকে কেনা হয়েছে টার্ফ বা ‘মাঠ’। আর ড্রপ ইন পিচ আনা হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেড ওভাল থেকে, যেটি বানিয়েছেন ড্যামিয়েন হোউ।

প্রায় শূন্য থেকে প্রায় চার মাসের মধ্যে তৈরি হয়েছে এ স্টেডিয়াম। আগামী ৩ জুন বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এখানে। তার আগে দুটি আন্তর্জাতিক দলের প্রথম ম্যাচ আগামীকাল, প্রস্তুতি ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও ভারত।

নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে নাজমুল

এর আগে শুধু ছবি ও গড়ে ওঠার ভিডিও দেখেছিলেন নাজমুল। এবার সশরীর মাঠ নিজের অনুভূতির কথা আইসিসিকে বাংলাদেশ অধিনায়ক জানিয়েছেন এভাবে, ‘অবিশ্বাস্য। খ্যাপাটে মনে হচ্ছে। মানে (তিন মাস আগেও) ইন্টারনেটে দেখেছি কিছুই ছিল না। এখন একেবারে পুরোদস্তুর ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মতো দেখাচ্ছে। দারুণ অনুভূতি।’

আগামী ১০ জুন এ মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। স্টেডিয়ামটির বিশেষ করে ইস্টার্ন গ্র্যান্ডস্ট্যান্ড দেখে নাজমুল বেশ বিস্মিত, ‘এমন হবে প্রত্যাশা করিনি। আমার মনে হচ্ছে একেবারে পূর্ণাঙ্গ স্টেডিয়াম। মাঠটিকেও বেশ সুন্দর দেখাচ্ছে। পুরোদস্তুর ক্রিকেট মাঠ। সত্যি বলতে কি, এমন কিছু প্রত্যাশা করিনি। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখেছি উইকেট কেমন দেখাচ্ছে, মাঠ কেমন হবে। এখানে যা হতে চলেছে, তাতে রোমাঞ্চিত। দারুণ লাগছে। একদম খ্যাপাটে মনে হচ্ছে।’

স্টেডিয়ামটি মনে ধরেছে ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মারও। তিনি বলেছেন, ‘সুন্দর দেখাচ্ছে। খোলা একটা মাঠ। প্রথম যে ম্যাচ খেলব, এখানকার আবহটা পেতে তর সইছে না। ধারণক্ষমতাও ভালো। আশা করি ভালো হবে।’

ভারত এ মাঠে খেলবে গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম তিনটি ম্যাচই। এর মধ্যে আছে ৯ জুন পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটিও। এ মাঠের কন্ডিশন বোঝায় তাই গুরুত্ব দিচ্ছেন রোহিত। তাঁর আশা, স্থানীয় বাসিন্দাদের মনোযোগ আকর্ষণ করবে বিশ্বকাপ, ‘আমি নিশ্চিত, বিভিন্ন দলের সমর্থকেরা বেশ রোমাঞ্চিত, এ টুর্নামেন্টের জন্য মুখিয়ে আছে। আর খেলোয়াড়দেরও তর সইছে না।’