প্রথম ইনিংসে মুমিনুলের ৮২ রান ও তাইজুলের ৫ উইকেট ছাড়া এই টেস্টে বলার মতো পারফর্ম করতে পারেনি বাংলাদেশের আর কেউ। প্রথম ইনিংসে এক অঙ্কের ঘরে আউট হয়েছেন ৮ জন ব্যাটসম্যান। বাংলাদেশ অলআউট হয়েছে ১৫৯ রানে।
দ্বিতীয় ইনিংসে এক অঙ্কে আউট হওয়া ব্যাটসম্যানদের সংখ্যা একজন কমেছে। তাতে অবশ্য দলীয় সংগ্রহ বাড়েনি। ৪১৬ রানে পিছিয়ে থেকে বাংলাদেশ গুটিয়ে গেছে ১৪৩ রানে। ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স এমন থাকলে ধবলধোলাই না হয়ে উপায় কী!
প্রথম টেস্টে ৭ উইকেটে হারের পর দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশ হেরেছে ইনিংস ও ২৭৩ রানে।
চট্টগ্রাম টেস্টে আপনাকে স্বাগতম। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আজ ১০টায় শুরু হচ্ছে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট।
চট্টগ্রাম টেস্টটি বাংলাদেশের জন্য সিরিজ বাঁচানোর লড়াই। মিরপুরে প্রথম টেস্ট হেরে যাওয়ায় সিরিজ ড্র করতে হলে এ ম্যাচে জিততেই হবে বাংলাদেশকে। এমন একটি ম্যাচের আগের দিন বড় ধাক্কা খায় বাংলাদেশ দল। অনুশীলনে মাথায় বল লেগে কানকাশন হয়েছে জাকের আলীর। এ কারণে চট্টগ্রাম টেস্টে খেলতে পারছেন না দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচ দিয়ে টেস্ট অভিষেক হওয়া জাকের। তাঁর জায়গায় টেস্ট অভিষেক হচ্ছে উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যান মাহিদুল ইসলামের।
বাংলাদেশের একাদশে এসেছে ৩ পরিবর্তন। অসুস্থতার কারণে নেই লিটন দাস ও চোটে নেই জাকের আলী। দল থেকে বাদ পড়েছেন স্পিনার নাঈম হাসান। এদের জায়গায় দলে এসেছেন মাহিদুল ইসলাম, জাকির হাসান, নাহিদ রানা। দক্ষিণ আফ্রিকা দলে এসেছে ২ পরিবর্তন। দলে সুযোগ পেয়েছেন সেনরুয়ান মুথুসামি, ডেন প্যাটারসন। বাদ পড়েছেন ডেন পিট ও ম্যাথু ব্রিটজ।
টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরু করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এইডেন মার্করাম ও টনি ডি জর্জিকে নতুন বলের সুবিধা নিয়ে এখন পর্যন্ত বিপদে ফেলতে পারেননি দুই পেসার হাসান ও নাহিদ। ৪ ওভার শেষে রান উঠেছে ২৩।
অবশেষ একটা সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। হাসানের বলে ডি জর্জি ব্যাটের বাইরের কানায় লেগে বল গিয়েছিল অভিষিক্ত উইকেটকিপার মাহিদুল ইসলামের পাশ দিয়ে। ডানদিকে ঝাঁপিয়ে পড়লেও ক্যাচটি নিতে পারেননি মাহিদুল।
দক্ষিণ আফ্রিকার রান বিনা উইকেটে ২৭।
১৬ ওভার শেষে বিনা উইকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার রান ৬৫। ৩৩ রান নিয়ে ব্যাটিং করছেন মার্করাম, জর্জি অপরাজিত ২৮ রানে। হাসান, নাহিদ রানা কিংবা তাইজুল বাংলাদেশকে উইকেট দিতে পারেননি। বল হাতে প্রথমবার আক্রমণে এসেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তিনি কি পারবেন?
বড় জুটির পথে এগোচ্ছিলেন মার্করাম–ডি জর্জি। বোলাররা তেমন কোনো সুযোগও তৈরি করতে পারছিলেন না। শেষ পর্যন্ত সুযোগটা দিলেন মার্করাম নিজেই। তাইজুলের হাওয়ায় ভাসানো বলে ডাউন দ্য উইকেটে এসে ক্যাচ তুলে দেন মুমিনুলের হাতে। ৩৩ রান করেছেন মার্করাম।
দক্ষিণ আফ্রিকার রান ১ উইকেটে ৬৯।
চট্টগ্রাম টেস্টে দাপুটে শুরু করল দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম সেশনটি পুরোপুরিই ছিল তাদের নিয়ন্ত্রণে। বাংলাদেশের বোলাররা প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানদের খুব বেশি বিপদেও ফেলতে পারেননি। ৩৩ রানে মার্করাম আউট হয়েছেন, সেটাও নিজের ভুলে।
৬৯ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পরও দক্ষিণ আফ্রিকা সাবলীল ক্রিকেট খেলেছে। ১ উইকেটে ১০৯ রান নিয়ে লাঞ্চে গেছে তারা। ৪৯ রানে অপরাজিত আছেন ডি জর্জি, ২৩ রান নিয়ে ব্যাটিং করছেন ত্রিস্তান স্টাবস। প্রথম সেশনে খেলা হয়েছে ২৮ ওভার। ওভারপ্রতি রান উঠেছে ৩.৮৯।
ডি জর্জির প্যাডে লাগতেই জোরালো আবেদন করেছিলেন বোলার নাহিদ রানা ও উইকেটকিপার মাহিদুল ইসলাম। অধিনায়ক নাজমুল হোসেনও তাদের ওপর ভরসা রেখে রিভিউ নেন। তবে বল পিচ করে লেগ স্টাম্পের বেশ বাইরে। তাতে রিভিউ নষ্ট! একই ওভারে ফিফটির দেখা পেয়েছেন ডি জর্জি। টেস্ট ক্যারিয়ারে এটি তাঁর তৃতীয় ফিফটি। দক্ষিণ আফ্রিকার রান ১ উইকেটে ১১১।
লাঞ্চের পর এখন পর্যন্ত খেলা হয়েছে ১৫ ওভার। উইকেটের দেখা এখনো পায়নি বাংলাদেশ। রান উঠেছে ৪৩। দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ১ উইকেটে ১৫২। ৭৫ রানে অপরাজিত ডি জর্জি, স্টাবসের রান ৩৮।
ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় টেস্ট ফিফটি পেলেন স্টাবস। ফিফটি এসেছে ১০৭ বলে। দক্ষিণ আফ্রিকার রান ১ উইকেটে ১৭৫। ডি জর্জির সঙ্গে তাঁর জুটি থেকে এসেছে এখন পর্যন্ত ১০৬ রান।
মিরাজের হাওয়ায় ভাসানো বলটিকে সুইপ করলেন। বল চলে গেল ব্যাকওয়ার্ড লেগ দিয়ে বাউন্ডারিতে। তাতে ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন ডি জর্জি। দক্ষিণ আফ্রিকার রান এখন ১ উইকেটে ২০৩ রান। ৬ রানে জীবন পেয়েছিলেন তিনি।
আরও একটি হতাশার সেশন কাটল বাংলাদেশের। চট্টগ্রাম টেস্টে দ্বিতীয় সেশনে খেলা হয়েছে ২৮ ওভার। রান উঠেছে ৯৬। এই সেশনে বাংলাদেশের বোলাররা কোনো উইকেট পাননি। পুরোটা সময়েই চলেছে দুই প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান ডি জর্জি ও স্টাবসের দাপট। স্টাবসের ফিফটির পর নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন ডি জর্জি। দক্ষিণ আফ্রিকার রান ১ উইকেটে ২০৫। দুজনের জুটি থেকে এখন পর্যন্ত রান উঠেছে ১৩৬।
দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম উইকেট হারিয়েছিল ৬৯ রানে। ৩৩ রান করে তাইজুলের বলে ফিরেছিলেন মার্করাম। সেই থেকেই বাংলাদেশের বোলারদের হতাশ করে চলেছেন ডি জর্জি ও স্টাবস। এই জুটি থেকে এখন পর্যন্ত এসেছে ১৫২ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার মোট রান ১ উইকেটে ২২২ রান।
৬ রানে একবার জীবন পেয়েছিলেন। হাসান মাহমুদের বলে উইকেটের পেছনে ডি জর্জির ক্যাচ ছেড়েছিলেন মাহিদুল ইসলাম। এবার রানআউট হওয়া থেকে বাঁচলেন ডি জর্জি।
ব্যক্তিগত ১০৭ রানে সেই হাসানের বলে ডিপ স্কয়ার লেগে বল পাঠিয়েছিলেন। সেখানে থাকা ফিল্ডার সরাসরি স্টাম্প ভাঙতে পারলে এতক্ষণে ড্রেসিংরুমে থাকতেন এই সেঞ্চুরিয়ান।
টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটের প্রসঙ্গ এলেই তাঁর নাম বেশি শোনা যায়। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে খেলেছেন ৩১ টি–টোয়েন্টি। অন্যদিকে টেস্ট আর ওয়ানডে মিলে খেলেছেন ১১টি ম্যাচ। এতেই বোঝা যায়, টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটেই তিনি সবার আগে বিবেচিত হন।
তবে আজকের পর থেকে টেস্ট ক্রিকেটের প্রসঙ্গ এলেও হয়তো স্টাবসের নাম মনে করতে হবে দক্ষিণ আফ্রিকার। চট্টগ্রাম টেস্টে যে স্টাবস পেয়েছেন ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি। সেটিও এসেছে ১৯৪ বলে। অর্থাৎ, টি–টোয়েন্টির স্টাবসের অন্যরূপও আছে!
সেঞ্চুরি করেই ফিরলেন স্টাবস। তাইজুলের মিডল স্টাম্প বরাবর করা বলে পেছনে গিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন, তবে বল নিচু হওয়ায় হয়েছেন বোল্ড। তাতে ভেঙেছে ২০১ রানের জুটি। ১০৬ রান করেছেন স্টাবস। প্রথম উইকেটটিও নিয়েছিলেন তাইজুল। দক্ষিণ আফ্রিকার রান ২ উইকেটে ২৭৪।
চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনে খেলা হয়েছে ৮১ ওভার। তাতে ২ উইকেটে ৩০৭ রান করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সেঞ্চুরি পেয়েছেন ডি জর্জি ও স্টাবস। দুজনের ক্যারিয়ারেই প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি এটি।
ডি জর্জি–স্টাবসের ২০১ রানের জুটিতেই মূলত বড় সংগ্রহের পথে আছে প্রোটিয়ারা। স্টাবস আউট হলেও ১৪১ রানে অপরাজিত থেকে দিনের খেলা শেষ করেছেন ডি জর্জি। বাংলাদেশের হয়ে ২টি উইকেটই নিয়েছেন তাইজুল ইসলাম।
দক্ষিণ আফ্রিকার রান ২ উইকেটে ৩০৭ রান
চট্টগ্রাম টেস্টে ফিরতে হলে দ্বিতীয় দিনের সকালটা হতে হবে বাংলাদেশের। নতুন বলে জ্বলে উঠতে হবে দুই পেসার হাসান মাহমুদ ও নাহিদ রানাকে। বলটা নতুন কারণ, গতকাল এই বলে খেলা হয়েছে মাত্র ১ ওভার। দেখা যাক, নতুন বলের সুবিধা বোলাররা নিতে পারেন কি না!
দ্বিতীয় দিনে এখন পর্যন্ত খেলা হয়েছে ৪ ওভার। রান উঠেছে মাত্র ৫। উইকেট না পেলেও প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানদের সহজ রান দিচ্ছেন না হাসান ও তাইজুল। দিনের দ্বিতীয় ওভারে হাসানের বলে বেডিংহামকে এলবিডব্লিউ দিয়েছিলেন আম্পায়ার। তবে রিভিউ নিয়ে বেঁচেছেন তিনি।
দ্বিতীয় দিনের শুরুটাও ভালো হলো না বাংলাদেশের। আজ এখন পর্যন্ত খেলা হয়েছে ১৫ ওভার, রান উঠেছে ৫৯। সেই অর্থে কোনো সুযোগও তৈরি করতে পারেননি বাংলাদেশের বোলাররা।
দক্ষিণ আফ্রিকার রান ২ উইকেটে ৩৬৬। ডি জর্জি ব্যাটিং করছেন ১৬৬ রান নিয়ে। ফিফটি পেয়েছেন বেডিংহাম।
ওভারের প্রথম বলটিতে মারলেন ছক্কা। পরের বলেও ছক্কা মারতে চাইলেন। তবে এবার আর হয়নি। জোরের ওপর করা তাইজুলের বলটি মিস করেছেন বেডিংহাম, হয়েছেন বোল্ড।
দক্ষিণ আফ্রিকার রান ৩ উইকেটে ৩৮৬। ৫৯ রান করে আউট হয়েছেন বেডিংহাম।
সুইপ–রিভার্স সুইপে এতক্ষণ রান করেছেন। খেলেছেন ১৭৭ রানের ইনিংস। শেষ পর্যন্ত সেই সুইপ করতে গিয়েই আউট হলেন ডি জর্জি। তাইজুলের করা মিডল–লেগ স্টাম্প বরাবর করা বলটি প্যাডে লাগে এই ওপেনারের। আম্পায়ারও আবেদনে সাড়া দেন। ডি জর্জি রিভিউ নিয়েছিলেন। কাজে লাগেনি। তাতে তাইজুল পেয়েছেন চতুর্থ উইকেট।
দক্ষিণ আফ্রিকার রান ৪ উইকেটে ৩৯১।
৩৮৬ রান তুলতে দক্ষিণ আফ্রিকা উইকেট হারিয়েছিল ২ টি। সেখান থেকে স্কোরবোর্ডে আর ৫ রান তুলতে প্রোটিয়ারা ৩ উইকেট হারিয়েছে। ৩টি উইকেটই নিয়েছেন তাইজুল। সর্বশেষ গত টেস্টের সেঞ্চুরিয়ান কাইল ভেরেইনাকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেছেন। তাতে আরও একবার ৫ উইকেটের স্বাদ পেলেন তাইজুল। সিরিজের প্রথম টেস্টে ৮ উইকেট নিয়েছিলেন এই স্পিনার।
দক্ষিণ আফ্রিকার রান এখন ৫ উইকেটে ৩৯১।
চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে খেলা হয়েছে ২৯ ওভার। রান হয়েছে ১০৬। বাংলাদেশ উইকেট নিয়েছে ৩টি। দক্ষিণ আফ্রিকা ওভারপ্রতি রান তুলেছে ৩.৬৬ করে।
এই সংখ্যাগুলো বিবেচনায় নিলে প্রথম সেশনটা দুই দলেরই। তবে এরসঙ্গে প্রথম দিনে করা দক্ষিণ আফ্রিকার ৩০৭ রান যোগ করলে এখন পর্যন্ত চট্টগ্রাম টেস্টে প্রোটিয়াদেরই এগিয়ে রাখতে হবে। এরইমধ্যে যে ৫ উইকেটে ৪১৩ রান স্কোরবোর্ডে তুলে ফেলেছে তাঁরা।
লাঞ্চের পর তাইজুলের সঙ্গে নাহিদ রানার ওপর ভরসা রেখেছিলেন অধিনায়ক নাজমুল। সেই প্রতিদান দিয়েছেন নাহিদ রানা। ফিরিয়েছেন রায়ান রিকেলটনকে। নাহিদ রানার ব্যাংক অফ লেংথে করা বলটিকে অফ সাইডে খেলতে চেয়েছিলেন রিকেলটন। তবে বল নিচু হয়ে যাওয়ায় ব্যাটের নিচের কানায় লেগে চলে যায় মাহিদুল ইসলামের হাতে। টেস্ট ক্রিকেট এটি মাহিদুলের প্রথম ডিসমিসাল।
দক্ষিণ আফ্রিকার রান ৬ উইকেটে ৪২৬।
৪১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েছেন মুতুসামি ও মুল্ডার। দক্ষিণ আফ্রিকার রান এখন ৬ উইকেটে ৪৬৪। ৪৪ রান নিয়ে ব্যাটিং করছেন মুল্ডার, ১৮ রান নিয়ে উইকেটে আছেন মুথুসামি।
মিরপুরে একমাত্র ইনিংসে ৫৪ রান করা উইয়ান মুল্ডার চট্টগ্রামে প্রথম ইনিংসেও পেয়েছেন ফিফটি। ৫০ ছাড়িয়ে মুল্ডার–মুতুসামি সপ্তম উইকেট জুটিতেও। দক্ষিণ আফ্রিকার রান ৪৮৮/৬।
দুবছর আগে চট্টগ্রামেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একটি বল করেছিলেন মাহমুদুল হাসান। সেটি ছিল ড্র হওয়া ম্যাচের শেষ বল। আজ সেই চট্টগ্রামেই আবার বোলিংয়ে এলেন মাহমুদুল। প্রথম ওভারে অফ স্পিন করে ১ রান দিয়েছেন। তবে পরের ওভার দিয়েছেন ১৩ রান। এই ১৩ রানের ১২–ই দুই ছক্কায় নিয়েছেন মুল্ডার। দক্ষিণ আফ্রিকার রান ৫০৯/৬।
চট্টগ্রাম টেস্টে দ্বিতীয় সেশন শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার রান ৬ উইকেটে ৫২৭। ৭৮ রান নিয়ে ক্রিজে আছেন মুল্ডার ও ৪৭ রানে ব্যাটিং করছেন মুতুসামি। এই সেশনে খেলা হয়েছে ২৫ ওভার। ওভারপ্রতি ৪.৫৬ রান তুলে প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানরা তুলেছে ১১৪ রান। বাংলাদেশ নিতে পেরেছে ১টি উইকেট।
টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথম ফিফটির দেখা পেলেন মুতুসামি। এর আগে তাঁর সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ছিল ৪৯*। ২০১৯ সালে অপরাজিত ৪৯ রান করেছিলেন ভারতের বিপক্ষে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৪৮০৫ রান আছে মুতুসামির।
দক্ষিণ আফ্রিকার রান ৬ উইকেটে ৫৩৩।
টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি পেয়েছিলেন এই বাংলাদেশের বিপক্ষে। মিরপুর টেস্টের প্রথম ইনিংসে করেছিলেন ৫৪ রান। এবার উইয়ান মুল্ডারের প্রথম সেঞ্চুরিও এসেছে বাংলাদেশের বিপক্ষে। চট্টগ্রাম টেস্টে ১৫০ বলে অপরাজিত ১০৫ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি। এর আগে এই ইনিংসে সেঞ্চুরি করেছেন ডি জর্জি ও স্টাবস।
৩ সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ৬ উইকেটে ৫৭৫ রান। ছক্কা মেরে মুল্ডার তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছানোর পরই ইনিংস ঘোষণা করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। মুতুসামি অপরাজিত ছিলেন ৭০ রানে। ৫ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল ইসলাম।
লেগ স্টাম্পের বাইরের বলে সাদমান ফ্লিক করতে চেয়েছিলেন। তাতে বল এজ হয়ে যায় উইকেটকিপার ভেরেইনার হাতে। আম্পায়ার শুরুতে সাড়া না দিলে রিভিউ নেন মার্করাম। আল্ট্রাএজে সাদমানের ব্যাটে বড় এজ ধরা পড়ে। তাতে তিনি ফেরেন খালি হাতেই।
বাংলাদেশের রান ১ উইকেটে ১৪।
আরও একবার ব্যর্থ জাকির। পাকিস্তান ও ভারত সফরের ৪ টেস্টের ৮ ইনিংসে তাঁর সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ছিল ৪০। মিরপুর টেস্টে তাই দল থেকে বাদও পড়েছিলেন। চট্টগ্রাম টেস্টে আবারও দলে ফেরেন। সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেন না।
রাবাদার অফ স্টাম্পের বাইরে করা বলটিকে ব্যাক ফুট পাঞ্চ করতে চেয়েছিলেন জাকির। দিয়েছেন উইকেটকিপার হাতে ক্যাচ। আবার রিভিউও নষ্ট করেছেন।
বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ২৫। এরমধ্যে ১০ রান এসেছে অতিরিক্ত থেকে।
সাদমান–জাকিরের পর এবার আউট হলেন মাহমুদুল। ডেন প্যাটারসনের বলে ড্রাইভ খেলতে গিয়ে মার্করামের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন এই ওপেনার।
বাংলাদেশের রান ৩ উইকেটে ৩২। তিনি করেছেন ১০ রান করে।
'নাইটওয়াচম্যান' হিসেবে এসেছিলেন পেসার হাসান মাহমুদ। তাঁকে দেওয়া দায়িত্ব তিনি পালন করতে পারেননি। স্পিনার কেশব মহারাজের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়েছেন হাসান।
৮ ওভারে বাংলাদেশের রান ৪ উইকেটে ৩৪।
দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ইনিংসে করেছে ৬ উইকেটে ৫৭৫ রান। সেই রানের জবাবে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ৩৮ রান তুলতেই হারিয়েছে ৪ উইকেট। উইকেটে আছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন(৪*) ও মুমিনুল হক(৬*)।
প্রথম ইনিংসে পিছিয়ে আছে ৫৩৭ রানে। দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসে সেঞ্চুরি করেছেন তিনজন—ডি জর্জি, স্টাবস ও মুল্ডার। তাইজুল নিয়েছেন ৫ উইকেট।
আলোক স্বল্পতার কারণে আজ অন্তত ১৭ ওভার কম খেলা হয়েছে। সেই ঘাটতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে আগামীকাল তৃতীয় দিনের খেলা শুরু হবে ১৫ মিনিট আগে। অর্থাৎ, সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে।
এখন পর্যন্ত খেলা হয়েছে মাত্র ৩ ওভার। রান হয়েছে ৭। উইকেটে আছেন নাজমুল হোসেন ও মুমিনুল হক। দুজনেই খেলছেন স্বচ্ছন্দে। বাংলাদেশের রান ৪ উইকেটে ৪৫।
কী চেয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল? রাবাদার বলটিতে ডিফেন্ড করেননি, ড্রাইভও খেলেননি। বাইরে বেরিয়ে যাওয়া বলে খোঁচা দিয়ে উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন। আউট হয়েছেন মাত্র ৯ রানে।
বাংলাদেশের রান ৫ উইকেটে ৪৬।
সময় নিলেন না মুশফিকুর রহিমও। ড্যান প্যাটেরসনের বলে ফ্লিক করতে গিয়ে মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়েছেন এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। ফিরেছেন কোনো রান না করেই।
বাংলাদেশের রান ৬ উইকেটে ৪৮।
দেখে বোঝার উপায় নেই, এই একই উইকেটে বোলিং করেছে বাংলাদেশও। যে উইকেটে প্রথম ইনিংসে ৫৭৫ রান করে ইনিংস ঘোষণা করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা, সেখানেই বাংলাদেশ ৭৫ রান করতে পারবে কি না তা নিয়ে শঙ্কা আছে। কারণ, মাত্র ৪৮ রানেই ৮ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ।
মুশফিকের পর আউট হয়েছেন মিরাজ ও অভিষিক্ত মাহিদুল। অভিষেক ইনিংসে মাহিদুল কোনো রান না করেই আউট হয়েছেন।
দুজনকে আউট করে ৫ উইকেটের স্বাদ পেয়েছেন রাবাদা। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের বুঝিয়ে দিচ্ছেন, কেন তিনি টেস্ট বোলারদের র্যাংকিংয়ে ১ নম্বর বোলার।
৪ উইকেটে ৩৮ রান নিয়ে দিন শুরু করেছিল বাংলাদেশ। রানের খাতায় আর ১০ রান যোগ করতেই বাংলাদেশ উইকেট হারায় আরও ৪টি। ৪৮ রানে ৮ উইকেট হারানোর পর মুমিনুল হক ও তাইজুল ইসলাম ৩৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েছেন।
বাংলাদেশের রান এখন ৮১/৮। ফলো–অন এড়াতে বাংলাদেশের এখনো প্রয়োজন ২৯৫ রান।
কেশব মহারাজের বলে সুইপ খেলতে চেয়েছিলেন মুমিনুল। প্যাডে লাগতেই আম্পায়ার আউট দিয়েছিলেন। রিভিউ নিয়ে বেঁচেছেন মুমিনুল। বল লেগেছে ব্যাটের নিচের অংশে।
বাংলাদেশের রান ৮ উইকেটে ৯৭।
৪৮ রানে ৮ উইকেট হারানোর পর ৮৯ রানের জুটি গড়েছেন মুমিনুল ও তাইজুল। বাংলাদেশের রান এখন ৮ উইকেটে ১৩৭। ৭৪ রান নিয়ে অপরাজিত আছেন মুমিনুল, ১৮ রানে তাইজুল। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ এখনো পিছিয়ে ৪৩৮ রানে। ফলো–অন এড়াতে এখনো করতে হবে ২৩৯ রান।
মুমিনুল–তাইজুলের অবিচ্ছিন্ন ৮৯ রানের জুটি দলকে লজ্জার হার থেকে বাঁচিয়েছে। ঘরের মাঠে বাংলাদেশের সর্বনিম্ন সংগ্রহ ছিল ৮৭ রান। বাংলাদেশ এই জুটিতে সেই রান টপকে গেছে। যদিও ম্যাচের ফলে এই জুটি কতটা প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। তবে ব্যাটসম্যানদের আসা–যাওয়ার মিছিলের মধ্যে লজ্জা বাঁচাতেই বা পারেন কজন!
মুতুসামির হাওয়ায় ভাসানো বল ব্যাকফুটে খেলতে চেয়েছিলেন মুমিনুল। তবে বল টার্ন করলে লাগে প্যাডে। তাতে এলবিডব্লিউ হয়ে ৮২ রানে ফিরতে হয় মুমিনুলকে। বাংলাদেশের রান ১৫১/৯। পিছিয়ে ৪২৪ রানে।
সাদমান, নাজমুল, মুশফিকরা ব্যর্থ হয়েছেন। ১৫ ওভারের মধ্যে আউট হয়েছেন বাংলাদেশের ৮ জন ব্যাটসম্যান। সেখান থেকেই বাংলাদেশকে টানছিলেন মুমিনুল–তাইজুল জুটি। এই জুটি ব্যাটিং করেছে ২৭ ওভারের বেশি সময়। গড়েছে ১০৩ রানের জুটি। টেস্টে যা নবম উইকেট জুটিতে বাংলাদেশের চতুর্থ সর্বোচ্চ।
সংগ্রহটা আরও ছোট হতে পারত। ৪৮ রানে ৮ উইকেট হারানোর পর ১০৩ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকে ১৫৯ রানের সংগ্রহ দিয়েছেন মুমিনুল ও তাইজুল। ৮২ রান করেছেন মুমিনুল, তাইজুল ৩০। এই দুজন ছাড়া দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পেরেছেন শুধু মাহমুদুল, তিনি করেছেন ১০ রান।
প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা করেছে ৫৭৫ রান। তাদের প্রথম ইনিংসের লিড ৪১৬ রানের।
দক্ষিণ আফ্রিকা ফলো–অন করানোয় দ্বিতীয় ইনিংসে এখন আবার ব্যাটিংয়ে নামতে হবে বাংলাদেশকে। ফলো–অন এড়াতে বাংলাদেশের করতে হতো ৩৭৬ রান।
দ্বিতীয় ইনিংসেও কি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যাদের আসা–যাওয়ার মিছিল শুরু হয়ে গেল? প্রশ্নটা করতেই পারেন। সাদমান ইসলাম ও মাহমুদুল হাসান সাবধানী শুরুই করেছিলেন। তবে ষষ্ঠ ওভারে বোলিংয়ে এসেই সাদমানকে ফেরালেন ডেন প্যাটারসন। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও উইকেটের পেছনে কাইল ভেরেইনাকে ক্যাচ দিলেন সাদমান। ১৬ বলে ৬ রানের নড়বড়ে ইনিংসে নেই কোনো বাউন্ডারি।
৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ১ উইকেটে ১৬।
ইনিংসের সপ্তম ওভার করতে আসেন কাগিসো রাবাদা। দ্বিতীয় বলটা করেছিলেন অফ স্টাম্পের একটু বাইরে। তাতে জাকির হাসান খোঁচা দিলে বল যায় দ্বিতীয় স্লিপে। কিন্তু সুযোগটা নিতে পারেননি দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক এইডেন মার্করাম। জীবন পাওয়া জাকির ইনিংসটাকে বড় করতে পারেন কি না, এখন সেটাই দেখার।
৭ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ১ উইকেটে ১৬।
কিছুক্ষণ আগেই জাকির হাসানকে জীবন দিয়েছেন এইডেন মার্করাম। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক এবার ভুল করেননি। নিজের প্রথম ওভার করতে এসেই মাহমুদুল হাসানকে ফেরালেন সেনুরান মুতুসামি। মাহমুদুলের ব্যাট ছুঁয়ে প্রথম স্লিপে নিচে হয়ে যাওয়া বলটা সহজেই তালুবন্দী করেছেন মার্করাম।
১১ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ২৮।
প্রথম ইনিংসে ৮২ রান করে ঘরের মাঠে বাংলাদেশকে সর্বনিম্ন রানে অলআউট হওয়া থেকে বাঁচিয়েছেন মুমিনুল হক। ইনিংস হার এড়াতে হলে দ্বিতীয় ইনিংসেও মুমিনুলকে বড় ইনিংস উপহার দিতে হতো। কিন্তু তা আর পারলেন কই? বাঁহাতি ব্যাটসম্যান এবার ফিরলেন খালি হাতে।
সীমানার কাছাকাছি দক্ষিণ আফ্রিকার একজন ফিল্ডারই ছিলেন। ডিপ স্কয়ার লেগে দাঁড়ানো সেই মুতুসামির হাতে ধরা পড়লেন মুমিনুল। ‘সৌভাগ্যে’ পাওয়া এই উইকেট যেন বিশ্বাসই হতে চাইছিল না বোলার কেশব মহারাজের।
বাংলাদেশের রান ৩ উইকেটে ৩৮।
বাংলাদেশ যেন তৃতীয় দিনেই টেস্ট শেষ করতে চাইছে! নইলে কী আর চা বিরতির আগে শেষ বলে ডাউন দ্য উইকেটে আসেন জাকির। উইকেট থেকে বেরিয়ে এসে ডিফেন্ড করতে গিয়ে স্টাম্পড হয়েছেন এই বাঁহাতি। ৭ রানে আউট হয়েছেন জাকির।
১৫ ওভারে ৪ উইকেটে ৪৩ রান করেছে বাংলাদেশ। দুই ইনিংস মিলিয়ে এই সেশনে বাংলাদেশ তুলেছে ৬৫ রান। উইকেট গেছে ৬টি।
বোলারদের খুব বেশি সমস্যার কারণ হলেন না মুশফিকুর রহিম। মাত্র ২টি বল খেললেন, প্রথম বলে ২ রান নেওয়ার পর দ্বিতীয় বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ড্রেসিংরুমে ফিরে গেছেন।
বাংলাদেশের রান ৫ উইকেটে ৫২।
ডি জর্জি, স্টাবসের কাছে সুইপটা শিখতে পারেন মেহেদী হাসান মিরাজরা। একের পর এক সুইপ খেলেই বাংলাদেশের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছেন এই দুই ব্যাটসম্যান। অথচ ঘরের মাঠে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের সুইপ মানেই যেন প্রতিপক্ষ দলের একটি সুযোগ। সর্বশেষ সুইপ খেলতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন মিরাজ। করেছেন মাত্র ৬ রান।
বাংলাদেশের রান ৬ উইকেটে ৭০। দক্ষিণ আফ্রিকাকে আবার ব্যাটিংয়ে নামাতে হলে এখনো করতে হবে ৩৪৬ রান।
মুতুসামির হাওয়ায় ভাসানো বল ডিফেন্ড করতে গিয়ে লেগ গালিতে ক্যাচ দিলেন নাজমুল। ফিরলেন ৩৬ রান করে। বাংলাদেশের রান ৭৮/৭। দক্ষিণ আফ্রিকাকে আবার ব্যাটিংয়ে নামাতে হলে এখনো করতে হবে ৩৩৫ রান।
প্রথম ইনিংসে করেছিলেন ৩০ রান। খেলেছেন ৯৫টি বল। দ্বিতীয় ইনিংসে তেমন ধৈর্য দেখাতে পারেননি তাইজুল। বড় শট খেলতে গিয়ে আউট হয়েছেন ১ রান করে।
বাংলাদেশের রান ৮ উইকেটে ৯৫।