১০ ওভারে ৪৩ রান দিয়ে ১ উইকেট—ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়ে সাকিব আল হাসানের বোলিং বিশ্লেষণ ছিল এমন। তার আগে দলের বিপদে সাকিবের ব্যাট থেকে এসেছে ৮৫ বলে ৮০ রানের আক্রমণাত্মক ইনিংস। অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের সৌজন্যে স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচসেরার পুরস্কারটা উঠেছে সাকিবের হাতে।
কঠিন ব্যাটিং কন্ডিশনে ১৩৩ বলে ১২১ রানের দারুণ ইনিংস খেলেও ম্যাচসেরার পুরস্কার পাননি ভারতীয় ব্যাটসম্যান শুবমান গিল। কারণও আছে। ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়েও ম্যাচের মোড় ঘুরেছে সাকিবের সৌজন্যে। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে গিলও তাই বললেন, ‘সাকিব বাংলাদেশের হয়ে ভালো খেলেছে। সে-ই আমাদের কাছ থেকে ম্যাচটা ছিনিয়ে নিয়েছে।’
গিলকে অবশ্য বাংলাদশের বিপক্ষে ৬ রানের হারে খুব একটা চিন্তিত মনে হচ্ছে না। নিজেদের ব্যাটিং পরিকল্পনা জানাতে গিয়ে তিনি বলছিলেন, ‘ডট বল যেন কম হয়, আমরা নিজেদের মধ্যে তা নিয়ে আলোচনা করেছি। বেশি সিঙ্গেল নেওয়ার চেষ্টা করেছি। বল যদি ব্যাটে আসে, তাহলে খেলার পরিকল্পনা ছিল।’
কিন্তু তা খুব একটা কাজে দেয়নি এই পরিকল্পনা। রান তাড়ার চাপের মুখে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে ভারত। গিল বলেছেন, ‘রাতের বেলা বলের মুভমেন্ট বেশি ছিল। দিনে ব্যাটিং ও রাতে ব্যাটিংয়ে একটা পার্থক্য তো ছিলই।’ গিল অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে যোগ করেন, ‘আমরা মাঝে ম্যাচের অবস্থা বুঝতে ভুল করেছি। আমাদের এই ভুল থেকে শিখতে হবে, বিশেষ করে ফাইনালের আগে।’
বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচটায় ভারতীয়রা খেলেছে ৫ জন নিয়মিত খেলোয়াড়কে বিশ্রাম দিয়ে। সেটা যে বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে, তা জানিয়ে গিল বললেন, ‘আমাদের খেলোয়াড়দের সতেজ হয়ে ওঠার বিষয়টা দেখতে হবে। কারণ, সামনে বিশ্বকাপ আছে। বিশ্বকাপে আমাদের কিছু ম্যাচ আছে ভারতের উত্তরে, তখন শীতকাল থাকবে। আমাদের খেলোয়াড়দের সে জন্যই বিশ্রাম দিয়ে খেলাতে হবে।’