২০২৩ সালে আইসিসির বর্ষসেরা পুরুষ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটারের জন্য ভারতের সূর্যকুমার যাদব, জিম্বাবুয়ের সিকান্দার রাজা ও নিউজিল্যান্ডের মার্ক চ্যাপম্যানের সঙ্গে মনোনয়ন পেয়েছেন উগান্ডার আল্পেশ রামজানি। নারী টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটারের সংক্ষিপ্ত তালিকায় আছেন অস্ট্রেলিয়ার এলিস পেরি, ওয়েস্ট ইন্ডিজের হেইলি ম্যাথুস, ইংল্যান্ডের সোফি একলস্টোন ও শ্রীলঙ্কার চামারি আতাপাত্তু।
রামজানি গত বছর ছিলেন পুরুষদের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক। ৩০ ম্যাচে ৪.৭৭ ইকোনমি রেটে বোলিং করে মাত্র ৮.৯৮ গড়ে তিনি নেন ৫৫টি উইকেট। প্রতি ১১ বলেই উইকেটের দেখা পান বাঁহাতি এই স্পিনার। পাশাপাশি ব্যাটিংয়েও অবদান রাখেন; এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২৬ বলে ৪০ রানের ইনিংস। উগান্ডা প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও জায়গা করে নেয়।
বর্ষসেরা পুরুষ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার (২০২৩): মার্ক চ্যাপম্যান (নিউজিল্যান্ড), আল্পেশ রামজানি (উগান্ডা), সিকান্দার রাজা (জিম্বাবুয়ে) ও সূর্যকুমার যাদব (ভারত)।
অন্যদিকে জিম্বাবুয়ে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে বাদ পড়ে গেলেও বছরটি স্মরণীয় ছিল ব্যাটিং ও বোলিংয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করা রাজার। ১১ ইনিংসে ৫১.৫০ গড় ও ১৫০.১৪ স্ট্রাইক রেটে ৫১৫ রানের পাশাপাশি ১৪.৮৮ গড়ে ১৭ উইকেট নেন তিনি। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বেও দুর্দান্ত ছিলেন অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করা রাজা, রুয়ান্ডার বিপক্ষে অর্ধশতকের পর হ্যাটট্রিকও করেন।
সেরা ক্রিকেটারের লড়াইয়ে রামজানি ও রাজার কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারেন ভারতের সূর্যকুমার। ২০২২ সালের বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি খেলোয়াড়ের ২০২৩ সালও দারুণ কেটেছে। ১৭ ইনিংসে ৪৮.৮৮ গড় ও ১৫৫.৯৬ স্ট্রাইক রেটে তিনি করেন ৭৩৩ রান। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৭ রানের ইনিংসে বছর শুরু হলেও বাকি সময় দারুণ ব্যাটিং করেন তিনি। সে সিরিজে শতকের দেখা পান। বছরের শেষ দিকে এসে ভারতকে নেতৃত্বও দেন। জোহানেসবার্গে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেন বছরে নিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি শতক।
বছরটি স্মরণীয় ছিল নিউজিল্যান্ড ব্যাটসম্যান চ্যাপম্যানের জন্যও। পাকিস্তানের বিপক্ষে ৫ ম্যাচ সিরিজে করেন ২৯০ রান। সেখানে খেলেন ৫৭ বলে ১০৪ রানের অপরাজিত ইনিংস, যাতে সিরিজ ড্র করে নিউজিল্যান্ড। বছরে সব মিলিয়ে এ সংস্করণে ৫০.৫৪ গড়ে ৫৫৬ রান করতে তিনি ব্যাটিং করেছেন ১৪৫.৫৪ স্ট্রাইক রেটে।
বর্ষসেরা নারী টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার (২০২৩): চামারি আতাপাত্তু (শ্রীলঙ্কা), সোফি একলস্টোন (ইংল্যান্ড), হেইলি ম্যাথুস (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) ও এলিস পেরি (অস্ট্রেলিয়া)।
অন্যদিকে মেয়েদের বিশ্বকাপের বছরে মনোনয়নে এসেছে বড় বড় নামই। বছরজুড়েই দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন আতাপাত্তু, ১৬ ম্যাচে ৪৭০ রান করার পাশাপাশি ৮টি উইকেট নেন শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক। অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে আতাপাত্তুকেও ছাড়িয়ে গেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ম্যাথুস। আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ অলরাউন্ডার ১৪ ম্যাচে ৭০০ রান করার সঙ্গে নেন ১৯টি উইকেটও।
সংক্ষিপ্ত তালিকায় আছেন আইসিসির র্যাঙ্কিংয়ের ১ নম্বর বোলার একলস্টোন। এ বছর কাঁধে অস্ত্রোপচার করাতে হলেও স্বরূপে ছিলেন বাঁহাতি এই স্পিনার—১১ ম্যাচে ১০.৬০ গড়ে তিনি নেন ২৩টি উইকেট। এই তিনজনের সঙ্গে আছেন অস্ট্রেলিয়া কিংবদন্তি এলিস পেরি। আইসিসির দুবারের বর্ষসেরা নারী ক্রিকেটার গত বছর ১৪ ম্যাচে ৩১৯ রান করার সঙ্গে নেন ৬টি উইকেট।