দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেট লিগের ক্লাবগুলোকে অনুদান বাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এর আগে দ্বিতীয় বিভাগ লিগের ক্লাবগুলোকে বোর্ডের পক্ষ থেকে অনুদান হিসেবে ৪ লাখ টাকা দেওয়া হতো। আগে থেকেই ক্লাবগুলোকে বোর্ডের টাকা দেওয়ার এই সংস্কৃতি ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। তবু এবার ক্লাবের অনুদান বাড়িয়ে করা হয়েছে ৬ লাখ টাকা। আজ দ্বিতীয় বিভাগ লিগের সভা শেষে এ সিদ্ধান্ত হয়।
এ ব্যাপারে বিসিবি পরিচালক নাজমূল আবেদীনকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি ক্লাবগুলোর আর্থিক সংকটের কথা তুলে ধরেন। আগের ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ক্লাব কর্তাদের অনেকেরই না থাকার বিষয়টিও উল্লেখ করেন তিনি, ‘এবার এমনিতেই অনেকগুলো ক্লাব ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইসিসের মধ্য দিয়ে যাবে। ক্লাবের যাঁরা মালিক ছিলেন, তাঁদের অনেকেই হয়তো থাকবেন না। ক্লাব চালানো তো ব্যয়বহুল ব্যাপার।’
আগামী ২ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেট লিগ, ১৯ ও ২০ নভেম্বর দলবদল। ৩০ নভেম্বর হবে দ্বিতীয় বিভাগ লিগের ট্রফি উন্মোচন। দ্বিতীয় বিভাগ লিগের চ্যাম্পিয়ন দলের প্রাইজমানিও বাড়ানো হচ্ছে। গত বছর চ্যাম্পিয়ন দল পেয়েছে ৩ লাখ টাকা, এবার পাবে ৪ লাখ।
ভবিষ্যতেও ক্লাবগুলোকে আর্থিকভাবে সাহায্য করার আভাস দিয়েছেন তিনি, ‘শুধু ক্লাব নয়, যারা ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িত, তাদের কোনো না কোনোভাবে সাহায্য–সহযোগিতা বাড়ানোর চেষ্টা থাকবে ক্রিকেট বোর্ডের। যে টাকাটা দেওয়া হচ্ছে, সেটা পুরো মৌসুম চিন্তা করলে খুব বেশি নয়। বোর্ডের যে একটা ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি আছে এ ব্যাপারে, সেটাও দেখানোর চেষ্টা এটা।’
সব ঠিক থাকলে আগামী ২ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেট লিগ, ১৯ ও ২০ নভেম্বর দলবদল। ৩০ নভেম্বর হবে দ্বিতীয় বিভাগ লিগের ট্রফি উন্মোচন। দ্বিতীয় বিভাগ লিগের চ্যাম্পিয়ন দলের প্রাইজমানিও বাড়ানো হচ্ছে। গত বছর চ্যাম্পিয়ন দল পেয়েছে ৩ লাখ টাকা, এবার পাবে ৪ লাখ। রানার্সআপ দলের প্রাইজমানি ২ লাখ থেকে বাড়িয়ে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে। গত বছর ম্যাচসেরার পুরস্কার ছিল শুধু সুপার লিগের ম্যাচগুলোতে, এবার লিগের শুরু থেকেই ম্যাচসেরার পুরস্কার হিসেবে ৫ হাজার টাকা পাবেন খেলোয়াড়েরা।
তবে এবারের লিগে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন অ্যান্টি করাপশন বিভাগের (আকসু) উপস্থিতি। এর আগে বাংলাদেশের ক্লাব ক্রিকেটে আকসুর কর্মকর্তারা সক্রিয় থাকতেন না। চলমান তৃতীয় বিভাগ লিগ থেকেই আকসু কর্মকর্তারা কাজ করছেন। তাঁদের উপস্থিতি আরও জোরালো হবে দ্বিতীয় বিভাগ লিগ থেকে। ক্রিকেটাররা যেন ঘরোয়া ক্রিকেট থেকেই ক্রিকেটের নৈতিকতার শিক্ষা পায়, সে জন্যই ক্রিকেট বোর্ড এ উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানা নাজমূল আবেদীন।