নিশ্চয়ই আফসোসে পুড়ছে অস্ট্রেলিয়া! বাগে পেয়েও যে ভারতের বিপক্ষে বড় লিড নেওয়া হলো না।
রোহিত শর্মা, চেতেশ্বর পূজারা, বিরাট কোহলিরাই যেখানে অস্ট্রেলিয়ার স্পিনারদের জবাব দিতে পারেননি, সেখানে অস্ট্রেলিয়ার পথের বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন অক্ষর প্যাটেল ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন। এই দুই লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানের ১১৪ রানের জুটির কারণেই প্রথম ইনিংসে বড় লিড পায়নি প্যাট কামিন্সের দল। মাত্র ১ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় দিন শেষে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ১ উইকেটে ৬১ রান।
রোহিত-পূজারাদের আটকে ফেলার কাজটা করেছেন অস্ট্রেলিয়ান স্পিনার নাথান লায়ন। ৬৭ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট। পাঁচ উইকেট নেওয়ার পথে তৃতীয় বোলার হিসেবে ভারতের বিপক্ষে টেস্টে ১০০ উইকেট নিয়েছেন লায়ন। এর আগে এই কীর্তি ছিল জেমস অ্যান্ডারসন ও মুত্তিয়া মুরালিধরনের।
দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার ৬১ রান এসেছে ১২ ওভার ব্যাট করে। কনকাসন হওয়ার কারণে ডেভিড ওয়ার্নার দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ছিটকে গেলে তাঁর জায়গায় দ্বিতীয় ইনিংসে ওপেন করেছেন ট্রাভিস হেড। ওয়ানডে মেজাজে ব্যাট করে এই ব্যাটসম্যান করেছেন ৪০ বলে ৩৯ রান। মারনাস লাবুশেন দিন শেষে অপরাজিত ১৯ বলে ১৬ রান করে। প্রথম ইনিংসে ৮১ রান করা উসমান খাজা ৬ রান করে রবীন্দ্র জাদেজার বলে আউট হয়েছেন।
দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে টেস্টের প্রথম দিনে প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়াকে ২৬৩ রানে আটকে ফেলেছিল ভারত। জবাবে ভারত দিন শেষে করে বিনা উইকেটে ২১ রান। ভারত আজ প্রথম উইকেট হারায় ৪৬ রানে। তবে সেখান থেকেই পা হড়কায় দলটি, দলীয় স্কোরটা ৬৬ হতেই নেই আরও ৩ উইকেট। ভারতের প্রথম চারটি উইকেটই পেয়েছেন লায়ন।
রাহুলকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলার পর আগের টেস্টের সেঞ্চুরিয়ান রোহিত শর্মাকে বোল্ড করেন লায়ন। কিছুটা ফুল লেংথের বল ব্যাকফুটে খেলতে গিয়ে বোল্ড হন ভারত অধিনায়ক। নিজের শততম টেস্টটা রাঙাতে পারেননি পূজারা। এলবিডব্লুর শিকার হয়ে তিনি ফেরেন শূন্য হাতেই।
এই টেস্ট দিয়ে চোট থেকে ফিরেছিলেন শ্রেয়াস আইয়ার। আইয়ারকে কিছুটা দুর্ভাগাই বলতে হবে। শর্ট লেগে লায়নের বলে অবিশ্বাস্য এক ক্যাচে আইয়ারকে ফিরিয়েছেন পিটার হ্যান্ডসকম্ব। ব্যাটসম্যানদের আসা যাওয়ার মিছিলের মধ্যেও কোহলি অবশ্য বড় ইনিংস খেলারই স্বপ্ন দেখছিলেন। ম্যাথু কুনেমানের বলে এলবিডব্লুর হওয়ার আগে তিনি করেছেন ৪৪ রান।
প্রথম টেস্টের মতো এই টেস্টেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়ে শ্রীকর ভরত যখন ফিরেছেন, তখন ভারতের রান ৭ উইকেটে ১৩৯। অস্ট্রেলিয়া তখন স্বাভাবিকভাবে বড় লিডের কথাই ভাবছিল। তবে অশ্বিন ও অক্ষর জুটি তা হতে দেয়নি। প্রথম টেস্টে ফিফটির পর এই টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৭৪ রানের ইনিংস খেলেছেন অক্ষর। অশ্বিন করেছেন ৩৭ রান।
তাদের জুটি একসময় ভারতকেই লিডের স্বপ্ন দেখায়। তবে নতুন বল হাতে নিয়ে প্যাট কামিন্স ভারতকে লিড পেতে দেয়নি। ২৫৩ রানে অষ্টম উইকেট হারানো ভারত ২৬২ রানেই অলআউট হয়ে যায়। লায়নের ৫ উইকেটের সঙ্গে কুনেমান ও টড মার্ফি নিয়েছেন ২ উইকেট। কামিন্স নিয়েছেন ১ উইকেট।