প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ইমরুল কায়েসের বিদায়ী ম্যাচে দাপট দেখালেন সুমন খান। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে খুলনা বিভাগের বিপক্ষে ঢাকা বিভাগের এই পেসার ৫০ রানে ৬ উইকেট নিয়েছেন। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে রাজশাহীর বিপক্ষে চট্টগ্রামের পেসার ফাহাদ হোসেন নিয়েছেন ৫ উইকেট। খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে দাপট দেখাচ্ছে সিলেট বিভাগ। ঢাকা মহানগরকে তারা অলআউট করেছে ১৩০ রানে।
জাতীয় লিগের এবারের আসরের একটি ম্যাচই পেয়েছে মিরপুর স্টেডিয়াম। খুলনার অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ইমরুল প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর জন্য সেই ম্যাচটাই বেছে নিয়েছেন। ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে পঞ্চম রাউন্ডের এ ম্যাচটিই যে দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটে ইমরুলের শেষ ম্যাচ হতে যাচ্ছে, তা আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। তবে শেষ ম্যাচের প্রথম ইনিংসটা ভালো হয়নি ইমরুলের। ২৭ বল খেলে ১৬ রানে আউট হয়েছেন তিনি, দল অলআউট হয়েছে ১৭২ রানে।
তবে প্রথম দিনের মধ্যাহ্নবিরতিতে ইমরুলকে খুলনা বিভাগের পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক ক্রেস্ট ও গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন তামিম ইকবাল, মোহাম্মদ আশরাফুল, মিনহাজুল আবেদীন। দিনের খেলা শেষে খুলনা দল থেকে জানানো হয়েছে, ম্যাচ শেষে বিসিবির প্রধান ফারুক আহমেদের উপস্থিতিতে ইমরুলকে বিদায়ী সংবর্ধনা দেওয়া হবে।
ম্যাচটিতে ইমরুলকে নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হলেও সব আলো কেড়ে নিয়েছেন ঢাকার সুমন খান। চোট থেকে ফেরা এই পেসারের এবারের জাতীয় লিগে তৃতীয় ম্যাচ এটি। আগের দুই ম্যাচের ৪ ইনিংসে তাঁর উইকেট মাত্র ১টি। আজ সেই সুমন মিরপুরের কন্ডিশনের সুবিধা দুই হাতে লুফে নিয়েছেন, তুলে নিয়েছেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তাঁর পঞ্চম ৫ উইকেট। তাঁর ৬০ রানে ৬ উইকেটের পর ঢাকা দিন শেষ করেছে ৩ উইকেটে ৫৮ রানে। আশিকুর রহমান (১১) ও মোসাদ্দেক হোসেন (২০) রানে অপরাজিত আছেন।
জাতীয় লিগের শুরু থেকেই দারুণ ছন্দে সিলেট বিভাগ। খুলনায় ঢাকা মহানগরের বিপক্ষে সে ছন্দ ধরে রাখল দলটি। জাতীয় দলের হয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলে আসা নাসুম আহমেদ ফিরেই নিয়েছেন ৪ উইকেট। চতুর্থ রাউন্ডে বিশ্রাম নিয়ে ফেরা রেজাউরের শিকার ৩ উইকেট। এ নিয়ে ৫ ইনিংসে চতুর্থবার ৩ উইকেট নিলেন তিনি। সমানসংখ্যক উইকেট আরেক পেসার খালেদ আহমেদেরও। তিনজনের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি মহানগর। ৪৩.১ ওভারে ১৩০ রানে অলআউট দলটি। জবাবে অধিনায়ক অমিত হাসানের অপরাজিত ফিফটিতে (৫১) দিন শেষে ২ উইকেটে ১৩৭ রান করেছে সিলেট।
হাসান মাহমুদ ও হাসান মুরাদ জাতীয় দলের সঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গেছেন। টেস্ট দলের আরেক বোলার নাঈম হাসান খেললেও রাজশাহী বিভাগের বিপক্ষে নিজেদের ঘরের মাঠের লড়াইয়ে এক ওভারও বোলিং করেননি। দরকারও হয়নি। যা করার তা তরুণ বাঁহাতি পেসার ফাহাদ হোসেনই করে দিয়েছেন। তিনি ৩১ রানে ৫ উইকেট নিলে রাজশাহীর ইনিংস থামে ১১২ রানে অলআউট হয়। এটি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তাঁর প্রথম ৫ উইকেট। জবাবে চট্টগ্রামের ব্যাটিংও ভালো হয়নি। দিন শেষে ৮ উইকেটে তাদের সংগ্রহ ১৭৩ রান। শামীম হোসেন (১৯) ও আশরাফুল হাসান (০) অপরাজিত আছেন। রাজশাহীর মিডিয়াম পেসার সাব্বির হাসান ও লেগ স্পিনার ওয়াসি সিদ্দিকি ৩ উইকেট নিয়েছেন।
জাতীয় লিগের তৃতীয় রাউন্ডে সেঞ্চুরি করা তরুণ ওপেনার ইফতিখার আহমেদ আজ রংপুরের বিপক্ষে ৭০ রানের ইনিংস খেলেছেন। ফিফটি করে আউট হয়েছেন সালমান হোসেন ও তাসামুল হকও। সালমানের ব্যাট থেকে আসে ৬৭ রানের ইনিংস। ৫১ রান করেছেন অভিজ্ঞ তাসামুল। ৩ ফিফটিতে সৌজন্যে রংপুরের বিপক্ষে প্রথম দিন শেষে বরিশালের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২৬৬।