চুক্তি নবায়ন করতে যাচ্ছেন দ্রাবিড়
চুক্তি নবায়ন করতে যাচ্ছেন দ্রাবিড়

ভারতের প্রধান কোচ পদে থাকছেন রাহুল দ্রাবিড়

ভারত ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ পদে থাকছেন রাহুল দ্রাবিড়। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাবে রাজি হয়েছেন তিনি। তবে ঠিক কত দিন দ্রাবিড়ের মেয়াদ বেড়েছে, সেটা এখনো জানা যায়নি। অন্তত ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত দ্রাবিড় থাকছেন, এটুকু নিশ্চিত করেছে ইএসপিএন ক্রিকইনফো।

দ্রাবিড় তাঁর চুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছেন না, এমন গুঞ্জন ভারতীয় ক্রিকেট বিশ্বকাপের পর থেকেই শোনা যাচ্ছিল।ভারতের সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এর আগে জানিয়েছিল, চুক্তি নবায়ন করতে রাজি নন দ্রাবিড়।

দুই বছরের চুক্তিতে ২০২১ সালের নভেম্বরে ভারতের প্রধান কোচের দায়িত্ব নেন দ্রাবিড়। যে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয় ভারত বিশ্বকাপ শেষে। তাঁর অধীনে ভারত বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ও ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনালে হারলেও জিতেছে এশিয়া কাপ। তিন সংস্করণেই দলকে তিনি আইসিসি র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষেও তুলেছেন।

ফাইনাল হারের পর পুরস্কার–বিতরণীর সময় হতাশ রাহুল দ্রাবিড়–বিরাট কোহলি

ইএসপিএন ক্রিকইনফো জানিয়েছে, দ্রাবিড় সরে গেলে বর্তমান ভারত দলের সমন্বয়ে কিছুটা জটিলতা তৈরি হতে পারে। গত দুই বছরে তিনি ও তাঁর সহকারীরা দলটাকে যেভাবে গুছিয়ে তুলেছেন, তাতে বোর্ড কর্তারা সন্তুষ্ট। সে কারণেই দ্রাবিড়কে চেয়েছেন তাঁরা।

দ্রাবিড় নতুন প্রস্তাবে রাজি হওয়ায় নিজের সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন বিসিসিআই সভাপতি রজার বিনি। বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ভারতের সাফল্যের পেছনে রাহুল দ্রাবিড়ের দূরদর্শিতা, পেশাদারত্ব, অদম্য পরিশ্রম অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। প্রধান কোচের দায়িত্বে থেকে যাওয়ার প্রস্তাবে সে রাজি হওয়ায় আমি অত্যন্ত খুশি। এটা বিসিসিআই ও তাঁর মধ্যে যে সম্মানের সম্পর্ক ও দুই পক্ষের লক্ষ্য যে এক, সেটা প্রকাশ করে।’

নতুন মেয়াদে কোচ হয়ে দ্রাবিড় বলেছেন, ‘গত দুই বছর ভারতীয় দলের সঙ্গে পথচলাটা খুবই স্মরণীয় ছিল। এই পথচলায় একসঙ্গে আমরা উত্থান-পতন দেখেছি। দলে একের অন্যের প্রতি যে আস্থা, সেটা বিস্ময়কর। ড্রেসিংরুমের এই সংস্কৃতি নিয়ে আমি সত্যিই গর্ব করি। আমার ওপর ভরসা রাখার জন্য, আমার লক্ষ্যের প্রতি ভরসা রাখার জন্য ও প্রয়োজনীয় সমর্থন দেওয়ার জন্য বিসিসিআইকে ধন্যবাদ জানাই।’

দ্বিতীয় মেয়াদে দ্রাবিড়ের প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট হতে যাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর। যে সফরে ৩টি-টোয়েন্টি, ৩টি ওয়ানডে ও দুটি টেস্টে খেলবে ভারত। এরপর বিশ্বকাপের আগে ভারত খেলবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ।