মেয়েদের ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচটা জিতেছে বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার বেনোনির উইলোমুর পার্কে আজ মেয়েদের ক্রিকেটের পরাশক্তি অস্ট্রেলিয়ার অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল।
প্রথমে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ১৩০ রান করে অস্ট্রেলিয়া। ১৩১ রানের লক্ষ্য ১২ বল হাতে রেখেই পেরিয়ে যায় বাংলাদেশ। জয়সূচক রানটা হতেই উইলোমুর পার্কে উচ্ছ্বাসে ভাসেন বাংলাদেশের মেয়েরা। ডাগআউট থেকে ছুটে এসে দুই অপরাজিত ব্যাটার স্বর্ণা আক্তার ও সুমাইয়া আক্তারকে জড়িয়ে ধরেন সতীর্থরা।
রান তাড়ার শুরুতে বোঝা যায়নি বাংলাদেশের মেয়েরা এত সহজেই জিতে যাবে। শুরুটা যে হয়েছিল যতটা সম্ভব বাজেভাবে। ইনিংসের প্রথম বলেই উইকেটকিপারকে ক্যাচ দিলেন ওপেনার মিষ্টি সাহা।
সেখান থেকে ৬০ বলে ৬৬ রানের জুটি গড়েন দিলারা আক্তার ও আফিয়া প্রত্যাশা। ওয়ানডাউনে নামা দিলারা ৪২ বলে ৪০ রান করে ফেরেন একাদশ ওভারের প্রথম বলে দলকে ৬৬ রানে রেখে। ৫ বলও ৫ রান পর প্রত্যাশাও ফেরেন ২২ বলে ২৪ রান করে। ২টি করে চার-ছক্কা ছিল প্রত্যাশার ইনিংসে। দিলারার ইনিংসটি সাজানো ৭টি চারে।
দ্রুতই ২ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর চেপে বসা চাপটাকে এরপর কী দারুণভাবেই না উড়িয়ে দিলেন স্বর্ণা ও সুমাইয়া। পাল্টা আক্রমণ করে কাজটা করেছেন তাঁরা দুজন যখন জুটি গড়লেন, সে সময় ৫৪ বলে ৬০ রান দরকার বাংলাদেশের।
সেখান থেকেই ১২ বল হাতে রেখে দলকে জেতালেন তাঁরা। ১৮তম ওভারের তৃতীয় বলে বিশাল এক ছক্কা মারা স্বর্ণা ১৮ বলের ২৩ রানের ইনিংসে মেরেছেন ২টি চারও। অন্য প্রান্তে সুমাইয়া ২৫ বলে ৩১ রান করে অপরাজিত ছিলেন, মেরেছেন ৫টি চার।
এর আগে ২২ রানেই অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ২ উইকেট তুলে নেন বাংলাদেশের বোলাররা। দুটি উইকেটই পেয়েছেন দিশা বিশ্বাস। এরপর ৭৬ রানের জুটি গড়েন ক্লেয়ার মুর ও এলা হেওয়ার্ড। ৫১ বলে ৭ চারে ম্যাচের সর্বোচ্চ ৫২ রান করেন ক্লেয়ার। ৩৯ বলে ৩৫ রান করেছেন এলা। দিশা ছাড়াও বাংলাদেশের হয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন মারুফা আক্তার।
পরশু বেনোনিতেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশে অনূর্ধ্ব-১৯ দল।
অস্ট্রেলিয়া অ–১৯: ২০ ওভারে ১৩০/৫ (ক্লেয়ার ৫২, এলা ৩৫; দিশা ২/২৫, মারুফা ২/২৯, রাবেয়া ১/২৭)। বাংলাদেশ অ–১৯: ১৮ ওভারে ১৩২/৩ (দিলারা ৪০, সুমাইয়া ৩১*, আফিয়া ২৪, স্বর্ণা ২৩*; ক্লোয়ি ২/৯)। ফল: বাংলাদেশ অ–১৯ দল ৭ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা: দিলারা আক্তার।