তাঁর এর আগের সেঞ্চুরিটা ছিল ২০২৩ সালের জুনে, লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। এরপর এই ১৮ মাসে টানা ২৪ ইনিংসে কখনো তিন অঙ্কে পৌঁছাতে পারেননি স্টিভেন স্মিথ। পৌঁছালেন আজ ব্রিসবেনে, ভারতের বিপক্ষে।
দীর্ঘ বিরতির পর পাওয়া সেঞ্চুরির এই ইনিংসে স্মিথ ১৯০ বলে ১২ চারে করেছেন ১০১ রান। ৩৩তম টেস্ট সেঞ্চুরিতে তিনি ছাড়িয়ে গেছেন স্টিভ ওয়াহকে (৩২ সেঞ্চুরি)। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে স্মিথের চেয়ে বেশি সেঞ্চুরি এখন শুধু রিকি পন্টিংয়ের, ৪১টি।
এই সেঞ্চুরিতে আরও একটা রেকর্ড হয়ে গেছে স্মিথের। ভারতের বিপক্ষে এটি তাঁর দশম টেস্ট সেঞ্চুরি, তিন সংস্করণ মিলিয়ে ১৫তম। ভারতের বিপক্ষে স্মিথের বাকি ৫টি সেঞ্চুরিই ওয়ানডেতে। এখন ভারতের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির মালিক স্মিথ।
এত দিন তিন সংস্করণ মিলিয়ে ভারতের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি ছিল স্মিথেরই পূর্বসূরি রিকি পন্টিংয়ের। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে পন্টিংয়ের ৭১টি সেঞ্চুরির ১৪টি ভারতের বিপক্ষে। এর মধ্যে টেস্টে ৮টি, ওয়ানডেতে ৬টি।
এ ছাড়া ভারতের বিপক্ষে ১৩টি সেঞ্চুরি আছে ইংলিশ ব্যাটসম্যান জো রুটের। এখনো খেলছেন, এমন ক্রিকেটারদের মধ্যে একমাত্র তাঁরই সুযোগ আছে ভবিষ্যতে স্মিথকে ছাড়িয়ে যাওয়ার।
তবে কোনো নির্দিষ্ট দেশের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির রেকর্ডটা অনুমিতভাবেই শচীন টেন্ডুলকারের। কিংবদন্তি ভারতীয় ব্যাটসম্যানের ১০০টি আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরির ২০টি এসেছে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। এর মধ্যে টেস্টে ১১টি, ওয়ানডেতে ৯টি।
টেন্ডুলকারের পরের নামটা সর্বকালের সেরা স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের। টেস্ট ছাড়া আর কোনো আন্তর্জাতিক সংস্করণ ছিল না ব্র্যাডম্যানের সময়ে। কিংবদন্তি এই অস্ট্রেলিয়ানের ২৯টি সেঞ্চুরির ১৯টিই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।
অস্ট্রেলিয়া ছাড়াও টেন্ডুলকারের প্রিয় প্রতিপক্ষ ছিল শ্রীলঙ্কা। দ্বীপদেশটির বিপক্ষে ১৭টি আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি করেছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি রানের মালিক এই ব্যাটসম্যান, যার মধ্যে টেস্ট সেঞ্চুরি ৯টি, ওয়ানডে সেঞ্চুরি ৮টি। টেন্ডুলকারের উত্তরসূরি বিরাট কোহলিরও প্রিয় প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কা। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৭টি সেঞ্চুরি করা কোহলি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে করেছেন ১৫টি।