চোটের কারণে গত বছরের আগস্ট থেকেই মাঠের বাইরে ছিলেন। প্রায় এক বছর পর আজ পাকিস্তানের পক্ষে ম্যাচ খেলতে নেমেছেন ইয়াসির শাহ। আর গলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্ট খেলতে নেমেই ছাড়িয়ে গেলেন তিনি কিংবদন্তি লেগ স্পিনার আবদুল কাদিরকে। টেস্টে পাকিস্তানের স্পিনারদের মধ্যে এখন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি ইয়াসির। তাঁর সামনে শুধু আরেক লেগ স্পিনার দানিশ কানেরিয়া।
গলে প্রথম দিনে কুশল মেন্ডিসকে আউট করে ইয়াসির ছুঁয়ে ফেলেন কাদিরকে, ছাড়িয়ে যান অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসকে আউট করে। টেস্ট ক্রিকেটে এখন ইয়াসিরের উইকেট ২৩৭টি। ৬১ টেস্ট খেলে কানেরিয়ার উইকেট ২৬১টি, ১৫ বার যিনি ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছেন, গড় ৩৪.৭৯।
আবদুল কাদির ৩২.৮০ গড়ে ২৩৬ উইকেট ৬৭ ম্যাচ খেলে, ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছেন ১৫ বার, ম্যাচে ১০ উইকেট ৫ বার। ৪৭তম টেস্ট খেলতে নামা ইয়াসিরের গড় ৩১.০৫, ইনিংসে ১৬ বার ৫ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়েছেন ৩ বার।
পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে সব মিলিয়ে টেস্ট পঞ্চম সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি ৩৬ বছর বয়সী ইয়াসির। টেস্টে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি তিন বোলারের তিনজনই ফাস্ট বোলার। ২৩.৬২ গড়ে ৪১৪ উইকেট নিয়ে সবার ওপরে ওয়াসিম আকরাম। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওয়াকার ইউনিসের উইকেট ২৩.৫৬ গড়ে ৩৭৩টি। এরপর আছেন অলরাউন্ডার ইমরান খান। ২২.৮১ গড়ে তাঁর উইকেটসংখ্যা ৩৬২।
গলে প্রথম দিনে লেগ স্পিনার ইয়াসিরের চেয়ে লঙ্কান ব্যাটসম্যানদের বেশি ভুগিয়েছেন আসলে পাকিস্তানি পেসাররাই। শাহিন শাহ আফ্রিদি নিয়েছেন ৪ উইকেট, ২ উইকেট হাসান আলীর, ১টি নাসিম শাহর। প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কা অলআউট হয়ে গেছে ২২২ রানে। এই প্রতিবেদন লেখার সময় কোনো উইকেট না হারিয়ে ১২ রান তুলেছে পাকিস্তান।